মানুষ পশুর পার্থক্য
একজন শিশুর যৌনাঙ্গে আঙুল ঢুকিয়ে মজা নিতেই পারে, মানুষ বলে কি পশুত্ব নেই আমাদের? আছেই তো। শিশুটার চরম পরিণতিও হতে পারে। হয় না? পুরুষ কুকুর বাচ্চা কুকুরগুলোকে মেরে ফেলে..ইত্যাদি ইত্যাদি।
মানুষ
সদ্যোজাত মানুষের পাশে
মানুষকেই দেখেছি প্রসন্ন মুখে
কোনো দেবতাকে নয়
মৃত মানুষকে কাঁধে নিয়ে
মানুষকেই দেখেছি সাশ্রুনয়নে
কোনো দেবতাকে নয়
মর্দানা
মানবজমিতে চষতে হয়
( উঠল কথা বাজার মাঝে, যার কথা তার বুকে বাজে)
মা
মহাকাব্য
আকাশ ছুঁতে চাওয়া
প্রবল বিক্রমে তাকে ছুঁয়ে ফেলা
এতো মহাকাব্যর মুখবন্ধ
তারপর সজোরে পতন
সে কি মহাকাব্য নয়?
সেই তো মহাকাব্যের উপসংহার
নইলে তা মহাকাব্য কিসের?
মধ্যরাতের প্রমোদাগার
অপু দিদির সাথে কাশের বনে ছুটেছিল। শরতের সেই দৃশ্যই হয়ত বা বাঙালীর মনে শেষ ডক্যুমেন্টেড শরতের দৃশ্য তার আগে পরে আরো ছিল আর হবেও বা। কিন্তু সেই দৃশ্যটাই আমাদের শরতের সিগনেচার টিউন।
মূর্তিগুলো
এই মূর্তিগুলো দুদিন আগেই মণ্ডপ আলো করেছিল। মন্ত্র, স্তব, আরতি, ভোগ, মালা, চন্দন, ভক্তি - সব এই মূর্তি কেন্দ্র করেই (অশালীন আচরণ ভক্তির নামেও প্রবল, সে না হয় অপসংস্কৃতি। তা তো শাস্ত্রে লেখা ছিল না।)
আজ সেগুলো সার দিয়ে গঙ্গার তীরে রাখা। মাটির সাথে মিশে যাবে, বৃষ্টির জলে ধুয়ে। তবে কি হিন্দু মূর্তিপূজক? পৌত্তলিক? তবে এরা এত অনাদরে অবহেলায় কেন?
মন একটা
মন একটা
তার হাজার টুকরো
প্রতিটা টুকরো স্বেচ্ছাচারী, স্বাধীন, একগুঁয়ে
পা কাটছে,
রক্তে থাকছে কোনো টুকরোর আত্মজীবনী
মন একটা
তার হাজার টুকরো
একান্নবর্তী পরিবারের একচিলতে ছাদ
একটা বেখাপ্পা হৃদয়
মানুষই খুঁজত!
বাবা হাস্পাতালে থাকাকালীন কয়েকবার ব্লাড আনতে ব্লাডব্যাঙ্ক যেতে হয়েছিল। একটা আশ্চর্য জিনিস দেখলাম। যারা ব্লাড নিচ্ছেন তারা কেউ ব্লাডগ্রুপের প্যাকেটটা সেভাবে চেক করছেন না। শুধুমাত্র যে গ্রুপটা চান সেটাই দেওয়া হয়েছে কিনা মিলিয়ে দেখছেন।
মাটি না ধূমকেতু?
মানুষের চাহিদার শেষ নেই। ধন,মান,যশ ইত্যাদি ইত্যাদি। কত কত মহাপুরুষেরা সাবধান করে গেলেন যুগ যুগ ধরে, 'ওরে অত চাস নে, চাস নে', তা কে শোনে কার কথা! আমিও শুনিনা, তুমিও শোনো না, রাম শ্যাম যদু মধু কেহই শোনে না।
মাঝ সাগরে
আমার জন্য ভালোবাসা না হয় নাই রাখলে
খানিক সময় পারলে রেখো
যখনই আসি তখনই তো অসময়
মাঝ সাগরে জোয়ার ভাঁটার হিসাব কোথায়?
তোমার নদীতে নোঙর না ফেলি দেখো
মানুষ - একটা দর্শন - রামকৃষ্ণ
ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার কিছুতেই অবতার মানবেন না। তিনি ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করছেন, কিন্তু কদাপি মানুষ ভগবান হতে পারে তা স্বীকার করবেন না। ডাক্তারের মত, শ্রীরামকৃষ্ণ - As man I have the greatest regard for him.
মানুষকে চিতায় পোড়ানোটা অমানবিক
একদিন আমাদের আইনের ভয় দেখিয়ে বোঝাতে হয়েছিল, ওরে জ্যান্ত একটা মানুষকে চিতায় পোড়ানোটা অমানবিক। "মেয়েছেলে তো?
মারা গেছে জানেন?
মারা গেছে জানেন?
কে?
নাম দিয়ে কি দরকার
বয়েস? লিঙ্গ?
৬৪, মহিলা
রোগ?
রোগ না। ধর্ষিত প্রতিবাদী যোনিতে চারটে লিঙ্গের সাথে নাকি লোহার রড, ভাঙা বোতল, গাছের গুঁড়ি ঢুকে গিয়েছিল।
ওমা কেন?
কিছু মদ্যপের লীলাখেলায় প্রতিবাদ করেছিল। একা মেয়েমানুষ, তায় আবার প্রতিবাদ! আজব না?
মিথ্যা ব্যাথা
ভালোবাসাটা সত্যি
অধিকারটা রূপকথা
মিল
কম্বল আর সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা মিল আছে। প্রথমটা রাতে ভয় পেলে ভূত দেখার আতঙ্কের হাত থেকে বাঁচায় আর সম্প্রদায় জীবনের রূঢ় বাস্তবতাকে ভয় পেলে দল পাকিয়ে ঘেরাটোপ তৈরি করে বাঁচায়।
মেঘালয়
মেঘালয়, তোমার গুহাবাসী শ্রমিকেরা জানল না, এবারে ঠাণ্ডা অনেক বেশি পড়েছে
ওদের শরীরের থেকেও বেশি ঠাণ্ডা নয় যদিও
তবু মনে হয়,
একজনও যদি বেরিয়ে আসে প্রাণের উষ্ণতায়
লজ্জা পাবে কে, মেঘালয়?
মা গুরুপ্রাণদায়িণী
গুরুদেবের সকাল থেকে উপোস। শিষ্যরাও কিছু দাঁতে কাটেনি সকাল থেকে। বেড়ালগুলো, কুকুরগুলো না খেয়ে। মায় কাকগুলো অবধি না খাওয়া।
মানের হ্যাপা
একটা সময় মন পাকতে শুরু করে সংসারে। পাকা রঙ যা ধরে সে শুধু যে তার নিজের ব্যক্তিত্ব মিশে, তা ঠিক নয়, চারিপাশের মানুষের অবদানই বেশি।
মেঘ ভাঙা বৃষ্টি
সারা গায়ে কাদা ছোপ ছোপ, ভূষণ এসে দাওয়ায় বসল। ভূষণ নাপিতের কাজ করত। এখন চলে না। গ্রামে নতুন সাজসরঞ্জামের সেলুন খুলেছে, আর না হোক চারটে। এখন আর রাস্তার ধারে বসে কে চুল কাটাবে। তার ঠাকুরদার পিঁড়ে, কাঁচি, কলপের বাটি, ব্রাশ --- সব খাটের নীচে ট্রাঙ্কে জমা।
মানুষ শুধু শরীরে
মানুষ শুধু শরীরে আহত হয় না
দেশ শুধু আহ্নিকগতিতে অন্ধকার হয় না
মৃত মানুষে শুধু কবর শ্মশান হয় না
সময়ের কয়েকটা ছেঁড়া পাতা
অকারণ হারিয়ে যায় না
মানুষটা হাস্পাতালের বিছানায় শুয়ে
মানুষটা হাস্পাতালের বিছানায় শুয়ে। কয়েক মাস হল। বয়েস হয়েছে, লোকে বলে। এখন মারা গেলে অস্বাভাবিক হবে না, তিনিও বিশ্বাস করতে চান। তবু কান্না পায়। প্রস্টেট ক্যানসার, সারা শরীর ছড়িয়ে গেছে।
মিথ্যা
সেদিন
মিথ্যা মানে জানতাম প্রেম
মিথ্যা মানে জানতাম সুখ
মিথ্যা মানে জানতাম নীড়ের স্বপ্ন
যতদিন মিথ্যা ছিল আমার ঘরের দুটো শালিক
এখন মিথ্যা মানে জানি অপমান
মিথ্যা মানে জানি যন্ত্রণা
মিথ্যা মানে জানি শূন্যতা
যখন মিথ্যা আমার ঘরের ঘুণপোকা
মহাত্মা
মনের ওই ঢেউ
মঙ্গল হোক
ঈশ্বরের জন্য ভাত বেড়ে বসেছিলাম
ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে দেখে
দরজার বাইরে অপেক্ষা করা কুকুরটার মুখের সামনে দিলাম,
কয়েকটা কাকও উড়ে এলো
কে বলল, মঙ্গল হোক
মৃত অপলক চোখে
জানলাটা বহু পুরোনো ডিজাইনের, এরকম লোহার কাজ এখন খুব একটা দেখা যায় না। তিনটে হাঁস জলে ভাসছে। লোহার ঢেউ, লোহার হাঁস। আমি যখন ছোটো ছিলাম, আমার মনে হত আমারও এরকম একটা হাঁসওয়ালা জানলা থাকবে। পরে অবশ্য সে ইচ্ছাও থাকল না, আর ডিজাইনটাও সেকেলে হয়ে গেল।
মেহেদী হাসান
...
মানুষ না হই, আর্য তো বটে
আমার ছাত্র, ব্যাঙ্কে চাকরি পেল। ভারতের প্রথম সারির রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। পোস্ট - PO. এখন দক্ষিণ ভারতের একটা বিখ্যাত শহরে প্রশিক্ষণরত। ওর মুখে শুনলাম, ওদের মধ্যে একজন বিকলাঙ্গ বন্ধু আছে, পোলিও আক্রান্ত হয়েছিল যে ছোটোবেলায়। সেই বিকলাঙ্গ ছেলেটির রুমমেট তার সাথে এক ঘরে থাকতে আপত্তি জানিয়ে ঘর ছাড়ল, কারণ?
মেঘবন্দী
মজলিশ
আজও মজলিশে একটা তাকিয়াও খালি যায়নি
আজও হাসির ফোয়ারা উঠেছিল নিঃসঙ্গ দেওয়ালের
আত্মমগ্নতাকে ক্ষুব্ধ করে
মার্কেজ- রবীন্দ্রনাথ
...
মেজো ছেলে
পনেরো হাজারের মধ্যে স্মার্টফোনের সেটটা ভালোই লাগল। বললাম এটাই দিন।
প্রচণ্ড গরম। দরদর করে ঘাম হচ্ছে। দোকান ভিড়ে ঠাসা। রবিবারের ভিড়। সকাল সাড়ে বারোটা হবে। দোকানে পাঁচজন হিমসিম খাচ্ছে খদ্দের সামলাতে।
মণিমার (Pratima Basu) সাথে আমার পরিচয় Sanhita র মাধ্যমে
মণিমার (Pratima Basu) সাথে আমার পরিচয় Sanhita র মাধ্যমে। সংহিতার মাইমা। সংহিতার সাথে পরিচয় ফেসবুকের মাধ্যমে। সংহিতার এক কথায় পরিচয় ভীষণ ভালো, স্নিগ্ধ একজন মানুষ। একটা দাবীহীন বন্ধুত্বের স্পর্শ সব সময় ওর কাছ থেকে পাই। বোলপুরে থাকে, খুব ভালো রবীন্দ্রনাথের গান গায়, ওর গলায় আমার খুবই ভালো লাগে। সহজ সরল গায়কী।
মার্কেজ - উত্তরণ
বিমর্ষতা একটা কারাগার। বিষন্নতা একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এর বাইরে একটা বোধ আছে। শারীরিক কিম্বা অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যেই মানুষ বিষন্ন বা বিমর্ষ হয় - তাও কি একটা সার্বজনীন মতবাদ বা সিদ্ধান্ত বলা চলে, তা তো নয়। সংগ্রাম আর বিষন্নতা একই সাথে চলে। কারোর ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী তাদের প্রাবল্য বদলে বদলে যায়। যে মানুষটা প্রতিদিন মৃত্যুর কথা ভাবে, সব কিছুকে নঞর্থক দৃষ্টিতে দেখে, মোটকথা অত্যন্ত বিষন্ন – সে-