অন্বেষণ
জানলাম নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ভেঙ্কি রামকৃষ্ণন রয়্যাল সোসাইটিরর কর্ণধার হয়েছেন। গর্বিত হলাম। অবশ্যই তা ভারতের সাথে নাড়ীর যোগ থাকার জন্য। কিন্তু পরক্ষণেই মনটা দমে গেল। আচ্ছা আমরা আমাদের দেশে থেকে পারি না কেন?
অমুকবাবু
সক্কাল সক্কাল অমুকবাবুর সাথে রাস্তায় দেখা। বর্ষীয়ান, মার্ক্স-লেনিন নিবেদিত মস্তিষ্ক, আর জ্যোতি-বুদ্ধ নিবেদিত প্রাণ, অত্যন্ত ভালোমানুষ। আমার হাতটা খপ করে চেপে ধরে বললেন, অ্যাই তুমি নাকি ফ্যাসবুকে লেখোটেখো?
অপেক্ষায়
অমিতাভ
অযত্ন
ভালোবাসতে নিয়ম লাগে নাকি?
অনুমতি?
ফুলদানির ফুলের পরিচর্যা লাগে
শৌখিন বাগানেরও লাগে
ঘন জঙ্গলের মধ্যে ফোটা ফুলের যত্ন লাগে নাকি?
অতলে
অপরিচিত একটা মুখ
রোজ আমার জানলায় এসে দাঁড়ায়
কখনো কাঠবিড়ালি, কখনো কাক
কখনো ভোরের বাতাসের আলতো ছোঁয়া সাথে
অরুপরতন
অপেক্ষা
ঘন কালো এলো চুল ছড়িয়ে সে দাঁড়িয়ে
এক মাথা সিঁদুর
বুকের মধ্যে সারা দিনের কথাদের প্রত্যাবর্তন
পাখিদের ঘরে ফেরার ক্লান্ত ছন্দে
অনর্থক
আকাশ ভরতি তারা
আমি বিস্তীর্ণ নির্জনতায় একা বসে
চারদিক নিঝুম অন্ধকার
পাহাড়ের অস্পষ্ট চূড়ারা নিশ্চুপ
জীবনের অর্থ কি?
এর কোনো উত্তর পাইনি এখনো
কোনো ধর্ম, কোনো দর্শন না
কেউ দিতে পারেনি সে উত্তরটা
যে উত্তরটা শুনে মন বলবে, হ্যাঁ
অস্পষ্ট অন্ধকার
কি সাবলীল বাচনভঙ্গি তোমার
অথচ কি বিষ পরতে পরতে
যেন কতদিনের জমানো অবসাদ
ভুল ভুল ভুল
অকাল সন্ধ্যে
মেঘলা আকাশ। উদ্বেল দীঘির কালো জল। বৃষ্টি ধোয়া গাছের পাতার থেকে এক বিন্দু জল পড়ল দীঘির বুকে - টুপ্। মিলিয়ে গেল। জলের বুকে মেঘের ছায়া।
পাড়ে বসে যে মেয়েটা, সে এ পাড়ায় সদ্য বিয়ে হয়ে এসেছে। এই দুপুরে সে একা বসে ঘাটের সিঁড়িতে। কেউ নেই চারধারে। ফাঁকা জনপথ। ওর কি মন খারাপ? নাকি নতুন সব কিছুর সাথে মানিয়ে নেওয়া লড়াইয়ের ফাঁকে একটু অবকাশ।
অপেক্ষায়
অবুঝ
শরীরে মনে আগুন জ্বাললে প্রবল ক্ষুধায়
আত্মত্যাগের অনল শিখা দীপ পেল না
ভিক্ষাপাত্র সম্বল করে পথে নামলে
প্রেমকে বুকে শ্বেতশুভ্র আসন দিলে না
অবশেষে বুক চিরল
অনুরাগ
অপরাজিতার খোঁজে
আসল যেন উজান ঠেলে
তার পায়ে লাগল বালি
সারা গায়ে মাখল ধুলো
এসে বসল হাটের এক পাশে
সবার মধ্যেই, সবার অলক্ষ্যে
অনর্থক
অনর্থক মাটি খুঁড়ো না
মাটি খুঁড়লেই জল আসে না
জলের জন্য তৃষ্ণা থাকা চাই
অনর্থক ঘর বেঁধো না
দেওয়াল তুললেই ঘর বাঁধা হয় না
ঘরের জন্য ভিত থাকা চাই
অনর্থক স্বপ্ন দেখো না
ঘুমের রাজ্যে সবকিছুই স্বপ্ন হয় না
স্বপ্নের জন্য ঘুম বাজি রাখা চাই
অপেক্ষারত আমি
ততটা আমি ব্যর্থ না
অপেক্ষারত
অভিসার
প্রেম সন্ধ্যাকাশে চিঠি পাঠিয়েছিল
নিঃশব্দে
অভিজ্ঞতা
অবশেষে বাবাকে নিয়ে হাস্পাতাল থেকে ফিরলাম। তা কেমন অভিজ্ঞতা হল? শুনুন বলি।
অ-ভেদ
চাঁদ জানে না
কবে সে ঈদের
পথ জানে না
আজ সে জগন্নাথের
ঈদের চাঁদের আলোয়
স্নাত হয় জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ো
অমলিন রবীন্দ্রনাথ
অপমানিত হওয়ার অভিজ্ঞতা সংসারে নেই এক পাগল আর শিশু বই কে আছে?
অসহায়তা
আমার কিছু কিছু অসহায়তা তো
আমি নিজেই বুঝি না
তোমায় বোঝাব কি করে?
অপূর্ণ
কিসের টান?
যেন পাঁজরগুলো গুঁড়িয়ে যাবে এখনি
দূরের থেকে দেখলাম, তোমার ধ্যানমগ্ন মুখমণ্ডল
কি জ্যোতিতে উদ্ভাসিত, জানি না তো গো
সামনে গিয়ে দাঁড়াই সে সাহস নেই
যেদিক থেকে বাতাস বয়ে তোমার দিকে ছুটছে
অনুকম্পা
আমার সারা গায়ে চন্দনের গন্ধ।
গলায় তুলসীমালা। ঈশ্বরের জন্য সেজেছি।
গোপালের জন্য পাত্রভরা মাখন - নৈবেদ্য।
অবৈধ
অর্থ-নিরাপত্তা-রামকৃষ্ণ
মূল তত্ত্বটা কি তবে? এই যে এত ছোটাছুটি, এত ধর্ম, এত মত, এত দর্শন। কোথাও কি বাস্তবটা থেকে বিমুখ হওয়ার চেষ্টা। ব্যক্তিগত জীবনে যখন অত্যন্ত সংকটকালীন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছি বারবার, মনে হচ্ছে, তবে কি প্রস্তুত ছিলাম না? নিজেকে ভুলিয়ে রাখার জন্য এত তোড়জোড় ছিল? সব বানানো গল্প? রূপকথা?
অসীমকে ভালোবেসে
তুমি অসীমকে ছুঁয়ে ফিরে এসো
আমি আছি সীমানার আশেপাশে
তোমায় নিয়ে বাঁধব ঘর
তোমার চোখের সীমায়
অসীমকে ভালোবেসে
অবসাদ
শরীরে ক্ষত হলে জীবাণুর আক্রমণ হয় বেশি। অনাক্রম্যতা কমে গেলে সামান্যতেই প্রবল রোগের আকার দেখা যায়। বাংলার মন অবসাদের আঁতুড় ঘর হয়ে পড়ছে কেন? তাই এত উত্তেজনার চাহিদা? একটা ভেন্ট খুঁজছি কি? জানি না। খবরটা যেন জানা, তবু স্বীকার করতে লজ্জা কোথাও একটা...
অকালবোধন
দূরে শুনছ কিসের সুর বাজছে?
শুনতে পাচ্ছো না?
ওই দেখো, ওর তালে তালে
বাড়ির উঠোন কাঁপছে, ছাদ দুলছে
শিউলিগুলো ঝরছে দেখো প্রতিটা সমে
তুমি কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছ না, শুনছ না কিছু?
অধীর হয়ে যাই
অলোকেশবাবু
অলোকেশবাবুর ভীষণ হিসাবি সহানুভুতি
মালতীর ছেলের জন্য টাকা দিয়েছিলেন
ছেলেটার টাইফয়েড হয়েছিল
মালতীর স্বামীর চিকিৎসায় টাকা দেননি
বরটা মারা গেল।
অধৈর্য
পাতাগুলো না শুকিয়েই জড়ো করলে
আগুন ধরাবে বলে।
আগুন ধরল না। শুধু ধোঁয়াই উড়ল।
বিরক্ত হয়ে গাল পাড়লে সক্কলকে -
গাছকে, পাতাকে, বাতাসকে, আগুনকে
অ-সভ্য
ভাঁড়ে চা দাও
একটু না হয় মেটে গন্ধ থাক
লাওপালাগুলো তুলে রাখো
অশালীন চীৎকার
চুলকে দিয়ে গেল খবরের কাগজের প্রথম পাতা ...