Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

বাংলার রায়

রাজনীতি নিয়ে লেখা সাধারণত আমি লিখি না। তার একটা বড় কারণ শেষ কয়েক দশক ধরে ভারতীয় তথা বঙ্গীয় রাজনীতিতে যে মেরুকরণ, তর্কাতর্কি, অবস্থান শুরু হয়েছে, তাতে স্ব

বুদ্ধজয়ন্তী

রামায়ণ থেকে যদি বারো বছরের বনবাসের অধ্যায়টি বাদ দেওয়া যায় তবে তাতে যত তত্ত্বকথাই থাকুক না কেন, সেটা মহাকাব্য হয়ে ওঠে না। মহাভারতের বেলাতেও তাই। পঞ্চপাণ্ডব যদি পায়ের উপর পা তুলে রাজত্ব করেই কাটিয়ে দিতেন, তবে যতই তাতে গীতার কালজয়ী উপদেশ থাকুক, তা-ও মহাকাব্য হত না। জীবনের স্বাভাবিক গতিপথের সাথে মিলত না। হত রূপকথা। এমনিই সমস্ত মহাপুরুষের জীবন।

বলেছিলাম আলোর দিকে ফেরো

বলেছিলাম আলোর দিকে ফেরো। তুমি আলোর সংজ্ঞা জানতে চাইলে। আমি মুখ্যু, আলোর সংজ্ঞা কি ছাই জানি? না জানি সে কোন পথে আসে, কোন পথে দিয়ে যায়?

বাসি অভিমানগুলো

বাসি অভিমানগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি কোরো না আর
   বাইরে বেরিয়ে এসো
  দেখো বাগানে নতুন কুঁড়ি এসেছে
আর দেখো, ধ্রুবতারাটাও একই জায়গায় আছে

 

বারুদ

নিজে জ্বলেই জ্বালানো যায়
শুধুমুধু বারুদের দোকান সাজিয়ে কি হবে?

যে আসবে কিনতে,
সে চারদিকের অন্ধকারে বিভ্রান্ত হবে
আলোকে করবে অবিশ্বাস
   দুর্ভাগ্য এই, আজ বারুদ বিক্রেতাই চারিদিকে
 কেউই পুড়তে চায় না
   চায় অন্যকে জ্বালিয়ে সে আগুনে তাপ পোয়াতে

বে-হিসাবী

সারাদিন চোখের পাতা ক'বার ফেলি?

বাউল

বাউল আমার পায়ে ঘুঙুর
  হাতের আঙুলে একতারা
বুকের মধ্যে অকাল মেঘে
  ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিধারা

বাউল আমার চোখ নিয়ে নে
  বুকের দরজা হা-পাট খোল
পায়ের চলা দিক ভুলে যাক
  কানে তোমার সুরের রোল

বাউল আমার কান্না গেছে
  সংসার ছেড়ে তেপান্তরে
সুখের নেশাও হারিয়ে গেছে
  প্রেম সাগরের ডুব লহরে

বাদল বাউল

কোথায় ওরা?
এত শব্দহীন কেন?
উষ্ণ দীর্ঘশ্বাস জর্জরিত
            মাটির আঁচল
আকাশ আর মাটির মাঝে
        তীব্র বিরহের সন্তাপ
দীর্ঘ অপেক্ষা 'বাদল বাউল'-এর
   যার একতারায় বাজবে মিলনের সুর

বদভ্যেস


কারোর কারোর মিথ্যা বলতে
তেমন কোনো কারণ লাগে না
সন্তর্পণে খোঁজে চোরাগোপ্তা গলি
সোজা রাস্তায় হাঁটার অসুবিধা না থাকলেও

কারোর কারোর দু'দিক সামলানো গোঁজামিলে
পুলটিস দিতে দিতে চুল পেকে যায়
কোন্ নৌকায় যে বেশি সুখ অথবা ফুটো
না বুঝে দু'নৌকায় দেয় বেসামাল লোভী পা

বন্ধ দরজা

বন্ধ দরজা। স্বপ্নগুলো পায়চারি করছে। দরজার ওপাশে আলো। দরজার এপাশে জায়গা কম। স্বপ্নগুলোর ধাক্কাধাক্কিতে মাথায় ফেট্টি।

লোকটা পানশালায় বসে, ফাটা মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে, স্বপ্নগুলোকে স্বপ্ন দেখিয়ে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
সময় সারাটা দেওয়াল জুড়ে টিকটিকিগুলোর সাথে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলে।

 

বসন্ত উৎসব

সবুজের বুকে লালের বর্ণমালা
রঙে ভিজে গেল তৃষ্ণার্তদুটো চোখ
তোমার সাধনা দেখার মধ্যে-
      অদেখাকে খুঁজে ফেরা
না হয় ছুঁয়েই তোমায়
   আমার চোখের নতুন জন্ম হোক


(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

বোঝো

কেউ কথা বলছে?
অনুভব করো কণ্ঠস্বর
কারণ কথার মানে শব্দগুলোয় না,
কণ্ঠস্বরে থাকে

কণ্ঠস্বর নেই?
খোলা চোখের উষ্ণতায় রাখো হাত
বুঝবে কখনো পুড়ছে, কখনো ভিজছে
হয় তো বা কখনো হিম শীতল

বন্ধ চোখ?
মুখের চামড়ার ভাঁজে রাখো চোখ
দেখো গ্রন্থাগারের সামনে দাঁড়িয়ে তুমি

এভাবেই বোঝো
কি বুঝবে?

বলা যায় না
ইঙ্গিত করা যায় হয় তো

বলে যাও

চলা থামল কবে?

তোমার মনে নেই
তারও নেই
যে ফেলে গেল তোমায় মাঝপথে

কিছু কাঁটা, কিছু ধূলো
কিছু অসম্পূর্ণ চলা
বুকে বাজে এখনও?

আমায় বলে যাও
সে না বলা কথাগুলো,
         যে ধুলোয় হেঁটেছ
সে ধুলোয় সম্পূর্ণ মিলিয়ে যাবার আগে

বসন্তের রঙ

এক বুক রঙ

হাত পাতো
    দেখো হাতের আঙুলের ফাঁকে রঙ

পা ফেলো
   দেখো পায়ের গোড়ালি ডুবে রঙে

যদি চোখ মেলো
   তোমার মণি চুঁইয়ে সে রঙ
        তোমার বুকের চাতালে

বাইরে এসো

কি কথা বলি?
দরজার ধারে আছি সকাল থেকে দাঁড়িয়ে
সবার আসা যাওয়া বসা ওঠা
    দেখছি দু'চোখ ভরে
আরতির ঘণ্টা, দীপের আলো, ধূপের ধোঁয়ায়
    সবের আবরণে তোমায় দেখছি

তুমি দেখেছ আমায়?

বক্সা ফোর্ট

"তোমার কাছে পৌঁছাবার কোনো সিঁড়ি দিতে পারো নামিয়ে?"

বিধানচন্দ্র মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল ২০১৬

কল্যাণীর বিধানচন্দ্র মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী স্মারক পত্রিকায় আমার দুটো লেখাকে ওরা স্থান দিয়েছেন। আমি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই নন্দিতাকে এবং প্রধান শিক্ষিকা শ্রদ্ধেয়া শুক্লাদিকে।

বুঝুন

একটু দাঁড়ান। মিছিলটা পার হোক।
ওদের খিদের দাম আপনার সময়ের দামের থেকে বেশি

বিশ্বাস ও তার manipulation

(এই লেখাটি পড়ার পর যারা আমায় আনফ্রেণ্ড করতে চান, সানন্দে করুন। প্লিজ বোকা বোকা তর্ক জুড়বেন না। আমার অভিজ্ঞতায় সত্য যে বেশে প্রতিভাত আমি তাতে দায়বদ্ধ। কাল যদি এর বিপরীতটা সত্যি বলে মনে হয়, তাও বলব, দ্বিধা করব না।)

বুঝে নিতে হয়

পার্থক্যটা হল, লাইটস অন্, ক্যামেরা রোল বা মুভ কেউ বলে না। বুঝে নিতে হয়। 
নাইস শট্, কেউ বলবে না। ওটাও বুঝে নিতে হয়।

বেঁচে যেত লোকটা

যখন তখন সাইরেন বাজতে পারে
    আচম্বিতে হতে পারে বোমারু বিমানের হামলা

সাবধানে হাঁটো।

যে কোনো মুহূর্তে ছদ্মবেশে ঢুকে যেতে পারে শত্রুপক্ষের চর ভালোবাসার মানুষ সেজে

বুঝে ভালোবাসো।

বন্দনা

লতানো গাছটা সারা গা রোদে মাখামাখি হয়ে দাঁড়িয়ে
ভোরের হাওয়ার মৃদু আন্দোলন ওর ক্ষীণ শরীরে
যে আমগাছটার গোড়ায় ওর বাস
সে আমগাছের প্রতিটা পাতার উপর লেগে আছে ভোরের রোদ

বড়রাস্তা

সব গলিই ঘুরতে ঘুরতে বড় রাস্তায় মেশে।
তবু বড় রাস্তাটা এত শুনশান কেন?
গলি দিয়ে আসার সময় তো দেখে এলাম 
          হাজার লোকের চলাফেরা

বাংলা সিরিয়ালের কথা অমৃত সমান


বাংলা সিরিয়ালের কথা অমৃত সমান।
যেই শুনে তার হয় জীবন শ্মশান।।
সেট টপ উপরে ধরি নীচে জোড়া স্ক্রিন।
নাচিছে নাচাইছে সবে তাধিন তাধিন।। 
নট-নটী অঙ্গসজ্জা কভু নাহি খুলে।
কথা কহে বসে নাহি, ঘরে বুলে বুলে।। 

বিশ্বাস

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের বাইরের প্রাঙ্গণ। সকাল আটটা। উল্লেখযোগ্য ভিড় নেই। রামকৃষ্ণদেবের ঘরে ঢুকতে বাঁশ। ডাঁয়ে, বাঁয়ে, পিছনের দিকে বাঁশ আটকানো - প্রবেশ নিষেধ - এখানে জুতা রাখবেন না। ঘরে ঢুকতে গেলে মন্দিরের ভিতরের প্রাঙ্গণে ঢুকে তবে যাও। এখ

বইয়ের আলমারি


আমার বইয়ের আলমারিরর সামনে এক ভদ্রলোক দাঁড়ালেন। বাবার বন্ধু। তখন একখানাই বইয়ের আলমারি সম্বল। তার মধ্যে আমার প্রাণ ভোমরারা। 

বিরতি


আর কিছুদিন পর থেকে কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষাক্ষেত্রে, নেতাদিগের বাদ-বিবাদালয়ে, গবেষণাগারে, ধর্মঘটের মধ্যখানে, হয়ত বা শল্যচিকিৎসার মধ্যভাগেও একটি নতুন বিরতির প্রচলন হবে ( হয়ে গেছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যদিও) -

'ফেসবুক ব্রেক'

বদল

গাছটা ঠিক করল, সে আর বোকা হবে না। আগে তার ডালপালা চতুর্দিকে মেলা থাকত। পাখি বাসা বাঁধত, পিঁপড়েরা বর্ষাকালে ওর ডালে উঠে আশ্রয় পেত, ক্লান্ত পথিক ওর ছায়ার তলায় বিশ্রাম নিত। গাছটা আনন্দেই ছিল। কিন্তু বোকার মত আনন্দে। 

বিচার

বিচার চলছে
আসামী বেবাক বোকা বেইমান হৃদয়

ফরিয়াদী আমি
ওর পক্ষের উকিল নেই কেউ
আমার পক্ষের উকিল তো মেলা
যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়ে...
    সেকি ধুন্ধুমার কাণ্ড!

বন্ধ দরজা

বন্ধ দরজাটা যখন খুলল অবশেষে
সবাই ভাবল এবার বুঝি উনি উঠবেন 
    কারণ সকাল থেকে উনি বসে 
           দরজাটা খোলার অপেক্ষায়

বোকা

মানুষ কবে সভ্যতার প্রথম সোপানে পা রাখল ইতিহাসবিদরা বলতে পারেন। কিন্তু প্রথম কবে একে অন্যকে বোকা বানাতে শুরু করল কেউ বলতে পারেন? কেউ জানেন না। ইতিহাসবিদদের কথা না হয় থাক। আমাদের মহাভারতে দেখুন, এক কুরুক্ষেত্র হয়ে গেল কি না সেই একবার দ্রৌপদী হেসেছিল বলে। মনে নেই? কেউ কেউ বলেন না?
...

বাতুল

বুদ্ধি বলিয়া বস্তুটি যতটা সহজপাচ্য ভাবিয়াছিলাম, কার্যক্ষেত্রে দেখিলাম ততটা নহে। মস্তিষ্কে উহার কিঞ্চিৎ উপস্থিত টের পাইয়াছিলাম সে বহুদিন হইল।

বিস্মরণ

সামনে প্রবহমান গঙ্গা
  আমার এক 'আমি' মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ওপারে
         আজকের দিনের শেষ সূর্য, দিগন্ত শয়ানে

বিস্মরণ মানে কি পুনর্জন্ম?

মনে হয় যেন রাজ্যপাট সব হারিয়ে ফেলেছি
   হাজার হাজার সৈন্য হারিয়েছি
আরো হারিয়েছি না জানি কত ঘোড়া, কত হাতি