Skip to main content

কিছু হারিয়ে যায়নি

একটু শান্ত হও
কিছু হারিয়ে যায়নি


দুঃস্বপ্নে কিছুকে 
নিজের ভেবেছিলে শুধু

তফাৎ যাও

কথা বলি না

শব্দ উচ্চারণ করি
শুনি
ব্যস, ওইটুকুই

কথা বলি না
ছেঁকে নিয়ে জমিয়ে রাখি শব্দ
কিছুটা আলোয়, বেশিটাই অন্ধকারে
কখন কোনটা দরকার লাগে
   জাল দিয়ে ফুটিয়ে রাখি শব্দ
                    গোপনে

বুদ্ধদেব গুহ

বুদ্ধদেব গুহ বললে আমার একটা ঝাপসা স্মৃতি মনে আসে। একটা টিভি অনুষ্ঠানে উনি এসেছেন। কোনো একটা স্কুলের অনুষ্ঠান সম্ভবত ছিল, কারণ প্রচুর বাচ্চা বসেছিল সামনে।

    কথাপ্রসঙ্গে একটা কথা উঠে আসে, অনাথ। কোনো একটি বাচ্চাকে উদ্দেশ্য করেই সম্ভবত বলা হয়েছিল।

জন্মদিন

এখন থেকে আর বাড়তি না, এবার কমতি। খালি খালি বয়েস বাড়িয়ে বাড়িয়ে শেষে বুড়ো হয়ে মরি আর কি! আমি যেন সুকুমার রায়ের পাঠাশালায় পড়িনি! সেই কবে আমাদের উনি শিখিয়ে গেছেন বয়েস বাড়তে দিলেই হল? তাই আমিও এই কমতির দিকে নামলুম। এখন থেকে আমার বয়েস নামবে ৪৪, ৪৩, ৪২... হুম। যতক্ষণ না এই এদের বয়সে পৌঁছাচ্ছি। মানে যাদের সঙ্গে আমার ছবিগুলো।

ধর্ম

ধর্ম পুস্তকবাহী না। চিত্তবাহী। ধর্ম মানে বিবেক। ধর্ম মানে নীতি। ধর্ম যা মঙ্গল, সত্য আর শান্তির স্থাপক হবে।

    ধর্মগ্রন্থ কথাটা অক্সিমোরোন। ধর্ম কখনও গ্রন্থ হতে পারে না। ধর্ম ঈশ্বরেরই ধার ধারে না তো গ্রন্থের।
 
১) ধর্ম কাস্টমস না, প্রথা-আচার-আচরণ-অনুষ্ঠানাদি না।

পাগল

পাগল ধেই ধেই করে নাচতে লাগল।

সবাই বলল,
   এই পাগল কি হল?

পাগল বলল,
  আমি সব বুঝে ফেলেচি...সব

সবাই বলল,
  কি বুঝলে?

গোঙানি

মানুষের গভীরের একটা শব্দ - গোঙানির শব্দ। গভীর যন্ত্রণার শব্দ। সে শব্দের কোনো শ্রোতা নেই। তার কোনো বৈচিত্র্য নেই। তার আঘাত আছে। বারবার বুকে এসে লাগা ঢেউয়ের মত, পৌনঃপুনিক অস্তিত্ব আছে।

খাস্তগীর আর হরেকমাল

খাস্তগীর রোজ কোনো একটা নতুন কারণে কষ্ট পায়।

    খাস্তগীর যা যা হতে পারত নিজেকে ভাবে, আর যা হয়েছে, এই দুটোর মধ্যে মিল খুঁজতে গিয়ে রোজ কষ্ট পায়। 

লাস্ট বাস

বাসের শেষ সিট। ফাঁকা বাস। হয় তো শেষ বাস। কন্ডাক্টর ঝিমোচ্ছে। ফাঁকা রাস্তা। ক্ষমতার চেয়ে বেশি স্পিডে ছুটছে বাসটা।

    হঠাৎ একটা ভীষণ ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে গেল বাসটা। কন্ডাক্টর একবার জানলার দিকে মুখ বাড়িয়ে বলল, ধুস্ শালা, আবার!

অথচ

তুমি, কবিতাকে ভাবো কল্পনা। অলীক। মিথ্যা মুষ্টিভিক্ষা। 
অথচ 

তোমার লোভকে ভাব বাস্তব। সত্য। শুধু সময় আর সুযোগের যেন অপেক্ষা।

ফিরতে চাইব না

চোখ বন্ধ করলে
একটা পাহাড়ি পাখি 
ডেকেই চলেছে মাথার মধ্যে
কুয়াশা কুয়াশা
সবুজ একটা গ্রাম
নির্জনতা 

এই রাস্তাঘাট, ঘর, ছাদ
দরজা, জানলা
রান্নাঘর, বাথরুম
মোবাইল, ল্যাপটপ রেখে
বাইরে কোথাও
যেখানে আত্মপরিচয়
ক্ষয়িষ্ণু যাযাবর 

মন - সময়

শ্মশানে থাকে ভোলা। লোকে বলে ভোলা ক্ষ্যাপা। বউ মরে গেল। ভোলা মিস্ত্রী ভোলা ক্ষ্যাপা হল। লোকে বলত ওরকম শান্ত লোক দুটো হয় না নাকি। ভোলার বউও তাই বলত, তুমি ওর গায়ে হেগে দাও, ধুয়ে নেবে, তোমায় কিচ্ছু বলবে না, কিন্তু রাগলে চণ্ডাল।

এমন শান্তি চাই নে

পূজারী পুজোর শেষে যজ্ঞের জ্বলন্ত কাঠ ছুঁড়ে আশীর্বাদ করেন না, শান্তির জল ছিটান। বিশ্বাসী বিশ্বাস করেন সেই শান্তির জলকণা তার শান্তি প্রাপ্তির একটি অমোঘ উপায়। এ অনুভব না করলেও, অনুমান করতে পারি। কিন্তু জ্বলন্ত যজ্ঞকাষ্ঠ ছুঁড়ে মারার পর ভক্ত যদি জ্বলন্ত ধুতিশাড়ি সামলাতে সামলাতে বলেন, আহা কি শান্তি, কি শান্তি, তখন বুদ্ধি বিভ্রান্তির চোরাবালিতে হাবুডুবু খায়।

একই রুটের বাস

তুমি আমি একই রুটের বাস। একই রাস্তায় শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা চলেছি। খানাখন্দ, উঁচুনীচু রাস্তা, কখনও সমান। ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে তুমি আমি পাশাপাশি, কখনও একই দিকে যাচ্ছি, কখনও তুমি যাচ্ছ আমি আসছি, কিম্বা আমি যাচ্ছি তুমি আসছ। আমাদের চালক, কন্ডাক্টর আলাদা। যাত্রীদের মত আমাদের কর্তব্যগুলো কখনও এক, কখনও আলাদা আলাদা। কোনো কর্তব্য শেষের মাথায় আমি, তুমি তখন তোমার কর্তব্য শুরু করছ। ক

একটু রোদ

বৃদ্ধা সামনের দরজার দিকে তাকিয়ে শুয়ে আছেন। একটু আগে আয়া অল্প একটু সেদ্ধভাত আর আর উচ্ছে আলুসেদ্ধ মাখা খাইয়ে গেছে। কুলকুচোটা ভালো হয়নি। দাঁতের ফাঁকে কয়েক টুকরো উচ্ছে আটকে এখনও। তিতো তিতো লাগছে জিভ ঠেকালে। সব মিলিয়ে আটটা দাঁত টিকে আছে এখন।

রাখী

"প্রভু,      আজি তোমার দক্ষিণ হাত রেখো না ঢাকি।

   এসেছি তোমারে, হে নাথ, পরাতে রাখী॥

যদি বাঁধি তোমার হাতে    পড়ব বাঁধা সবার সাথে,

    যেখানে যে আছে কেহই রবে না বাকি॥"

দাভোলকার ও কিছু কথা

"The purpose of education is not just the acquisition of knowledge or information. The purpose of education is to teach students to think independently, critically and to not accept given knowledge unquestioningly. Today, Japan is the world leader in making several kinds of appliances.

মন্থন

মানুষ আগুনকে জেনেছে
         রান্না করেছে 
            ঘর গ্রাম জ্বালিয়েছে

মানুষ বুদ্ধিকে জেনেছে
          সত্যকে পেয়েছে
              মিথ্যাকে জানিয়েছে যুক্তিতে

স্লেটে

সব কিছু গুনে দেখতে চাইলে
কড় শেষ হল। খাতা শেষ হল। 

গোনার ইচ্ছা শেষ হল কই? 

একদিন সব গোনাগুনতি 
শেষ হয়ে যাবে
       দেখবে
যে গুনছে
    তাকে কোনো গুনতির মধ্যেই 
           ফেলতে পারলে না

হয় তো বা তুমিও চেনো

সারাদিন মানুষটা যা বলে
    বিশ্বাস করে না
একটা বাক্য তিনবার বলে
    "ভীষণ ভালো"
       "ভীষণ ভালো"
          "ভীষণ ভালো"
বিশ্বাস করে না
    তিনবার কেন
      মানুষটা জানে 

সমালোচক আর সংস্কারক

সমালোচক আর সংস্কারকের মধ্যে পার্থক্য আছে। 

    সমালোচককে পারফেক্ট হতে হয়। তর্ক নিপুণ হতে হয়। তথ্য জাহাজ হতে হয়। 

    সংস্কারকের দায় নেই পার্ফেক্ট হওয়ার। তার জিহ্বা অভিশাপমত্ত নয়। নিন্দায়, কষাঘাতে, তর্কে জিতে তার তৃপ্তি নেই। 

এক ও একা

মানুষ অনেকভাবে একা হয়। আদর্শবোধে একা হয়। ঔচিত্যবোধে একা হয়। নীতিবোধে একা হয়। যন্ত্রণায় একা হয়। ভাবনায় একা হয়। 

    মানুষ অনেকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়। লোভে বিচ্ছিন্ন হয়। ঈর্ষায় বিচ্ছিন্ন হয়। আতঙ্কে বিচ্ছিন্ন হয়। আশঙ্কায় বিচ্ছিন্ন হয়। ষড়যন্ত্রে বিচ্ছিন্ন হয়। স্বার্থপরতায় বিচ্ছিন্ন হয়। 

এই সই

তুমি নও
আমিও নই

যাদের খুঁজতে এসেছিলাম,
তাদের লুকিয়ে
এই যে আমরা রোজ বাঁচছি মুখোমুখি 

"বই হয়ে যেও না"

খবরটা দেখামাত্র উনি লাইব্রেরি ঢুকলেন। স্ত্রী, ছেলে, মা, বাবা, চাকর, বন্ধুবান্ধব --- সব্বাইকে বললেন, বিরক্ত না করতে। দরজার কাছেই খাবার রেখে আসতে। 

    উনি শুরু করলেন পড়া। প্রথমে বিশ্বসৃষ্টির রহস্য। নানা মত। সায়ানোজেন মতবাদ। ওপারেন হ্যাল্ডেনের কথা। দানিকেনের কথা। 

এই তো প্রথম নয়

এই তো প্রথম নয়
সব জানলা দরজা বন্ধ করে কেউ বলল
    এই আলো। এই সুখ। এই নির্ভুল ব্যবস্থাপনা। 

এই তো প্রথম নয়
প্রাণের বিনিময়ের শর্ত হল স্বাধীনতা
    কিম্বা পরাধীনতার বিনিময়ে জীবন 

এই তো প্রথম নয়
জরায়ুর থেকে বিচ্ছিন্ন হল 
    হৃদয়, শুভবোধ, আত্মসম্মান

দ্য লাস্ট গার্ল

বইটা নিশ্চয়ই অনেকের পড়া। বা অনেকে নিশ্চয়ই শুনেছেন বইটার কথা। অথবা মুরাদের মুখে মুরাদের যৌনদাসী হয়ে থাকার অভিজ্ঞতার কথা। আবার অনেকে নিশ্চয়ই এড়িয়ে গেছেন, বা পড়তে পারেননি। এবং অনেকে হয় তো শোনেনওনি এই বইটার ব্যাপারে কিছু, কিম্বা মুরাদের বিষয়ে কিছু।

চলো প্যাঁদাই, কিছু করে দেখাই

ধইঞ্চা গাছের ঝাড়ের নীচে চুল্লু খেয়ে টাল হয়ে পড়ে আছে শিবে।

    নক্ষত্র টলতে টলতে তার পাশে গিয়ে বসে জিজ্ঞাসা করল, বাড়ি যাবি না?

    শিবে বলল, নাহ্, মনটা বিষিয়ে গেছে....

    নক্ষত্র বলল, ক্যানো রে?

ক্ষোভ

"দিদি তোমায় দিয়ে দিই?" 

    আমার ছোটোভাইয়ের বউ, অঞ্জলি। আমি 'না-ই' বলতাম। কিন্তু অভ্যাসবশত সুগারের ওষুধটা খেয়ে ফেলেছি। এখন কিছু না খেলে শরীরটা খারাপ লাগবে। তাই…

ভেবে দেখ মন কেউ কারো নয়

গল্পটা পুরুষতন্ত্র, ধর্ম, রাজনীতি, কুসংস্কার, আবেগ, দুর্নীতি ইত্যাদি যাই বলো না কেন, ব্যাপারটা অত জটিল কিছু নয়। মোদ্দা কথাটা হল, কে ডমিনেট করবে আর কে ডমিনেটেড হবে। যে ডমিনেট করবে, সে দুষ্টু, খারাপ, লোভী, অবিবেচক ইত্যাদি তকমা পাবে। আর যে ডমিনেটেড হবে সে বেচারা, নিরীহ, নিষ্পাপ, নিষ্কলুষ ইত্যাদি তকমা পাবে। যে ডমিনেট করে, মানুষ তাকে মনে মনে ফুলচন্দন দিয়ে, যে ডমিনেটেড হচ্ছ

দখল


====
দখল চাইছি
    তোমার 


    চলে যাও

মুক্ত করো নিজেকে
        বাঁচাও আমায়



====
সমস্ত দখল করে বসে আছি
       এত ভালোবাসা আমার 



====
একদিন সব দখল ছেড়ে দেব
    একদিন আর দখলকে বলব না ভালোবাসা

ডিসটোপিয়ান স্বগতোক্তি

শুধু তুমি বা আমি না, সবাই ভাবে এইটাই শেষ সুড়ঙ্গ। এরপর ফাঁকা মাঠ। খোলা হাওয়া, উজ্জ্বল আলো ঝলমলে রোদ।

    ওই যে যাকে এইমাত্র নিয়ে এলো, গায়ে হরিনামের চাদর জড়ানো, পোড়াবে বলে, ওকে জিজ্ঞাসা করো, ও বলবে ও ভেবেছিল এটাই শেষ সুড়ঙ্গ, মৃত্যুর আগের মুহূর্ত অবধি অপেক্ষা করেছিল সুড়ঙ্গ শেষ হওয়ার। 

মোহনায় ফিরে

লতা
======

প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে প্রতিটা মানুষ যা নতুন করে শেখে, জানে তা বিশ্বসংসারের কাছে আদতে পুরানো। যে শিশু হাঁটতে শিখছে আর যে মানুষটা মৃত্যুর পায়ের শব্দ সারা শরীর জুড়ে অনুভব করছে, এই দুই তাদের কাছে প্রথম, নতুন। কিন্তু বিশ্বের কাছে চিরকালের। 

তবু বারবার

ব্যথা তোমার
    আমার তো নয়

তবু বারবার 
    ফিরে ফিরে আসি
          মনে বাসি ভয়

সব জানে সময়

ঢিল পড়ল জলে। টুপ।
ঢেউ উঠল। ঢেউ এসে লাগল পাড়ে। ছলাৎ।

বাতাস উঠল বেগে।
জল উঠল কেঁপে কেঁপে।
সে কাঁপন লাগল পাড়ে এসে। ছলাৎ ছলাৎ।

মাটি উঠল কেঁপে। ভূমিকম্প।
জল উঠল ভীষণ হয়ে।
পাড়ের উপর এসে ধাক্কা খেল জল।
ছলাৎ, ছলাৎ, ছলাৎ।

জলের বুকে আকাশের ছায়া উঠল চঞ্চল হয়ে।

ছল চাতুরী ও অভিনয়

ছল চাতুরী শিখতে হয় না। সে মানুষের আদিম প্রবৃত্তিগুলোর মধ্যে একটা। একটি ছেলের আর্থিক অবস্থা খারাপ। সে পড়তে এসেছে। তার মা অনুরোধ করলেন একটু দেখতে। দেখা হল। মাস তিনেক বাদে খোঁজ পাওয়া গেল, সে আরো একজনের কাছে একই বিষয় পড়তে যায়, অর্থের সম্পূর্ণটা দিয়েই। এদিকের ছাড়, ওদিকে ব্যবহার হয়ে গেল। এক ঢিলে দুই পাখি। আরেকটি উদাহরণ, একজন একদিন পড়তে এলো না। তাদের সচ্ছল অবস্থা। মা বাবা বল

তোমায়

ধরো ঘটেই গেল পরজন্ম
সময় এসে দাঁড়ালো ফর্দ হাতে

রবি ঠাকুর ও লোকনাথ সংবাদ

কহিলেন লোকনাথ
     রবি ঠাকুরেরে
তোমাতে আমাতে মিল
    বেশ দেখি যে হে
তিরোধান দিবস স্মরি
     বাঙালির প্রাণ
কিবা যোগে করে সবে উৎসব মহান

এইটুকুই তো তাঁকে দেওয়ার

কথা হল, সবই তো হল, কিন্তু আসল কথাটা কি হল? 

             দীর্ঘ আলোচনার পর, বাইকে চড়ে আপিস থেকে ফেরার সময় নন্দলালবাবু ভাবছিলেন, আলোচনাটা কি হল? স্কুলের পরীক্ষায় রবীন্দ্রনাথের সব গান নেওয়া যাবে না। কারণ করোনার অতিমারীতে সব গান শেখানোই যায়নি ঠিক করে। তবে কোন গান রাখা যাবে আর কোন গান রাখা যাবে না এই নিয়ে ভীষণ ঝক্কিতে পড়লেন নন্দলাল।

আদৌ কি চাইছি

একটা বড় মেলা। কত রকম আলো, কতরকম নাগরদোলা, কত রকম সুখ। একটা রিফ্রেশিং স্পট - রবীন্দ্রনাথ। 

    পঁচিশে বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ - মেলায় ভীষণ ভিড়। পঁচিশে বৈশাখ অপেক্ষাকৃত বেশি। সেদিন মেলার ফাউণ্ডেশন ডে। বাইশে শ্রাবণ, ভিড় কিছুটা কম, সেদিন মেলার কর্তৃত্ব হস্তান্তরণের দিন। বাকি দিনগুলো কেউ না কেউ আসেই। 

সম্পর্ক

বিয়ে হল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মনে হতে শুরু করল, না, এ মানুষটা ঠিক আমার মনের মত মানুষ না। মানে আমি যেমন চাইছিলাম ঠিক তেমন না। 

    আবার এমন হতে পারে, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মনে হল, আমরা সংসারটা যেভাবে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবে হচ্ছে না। 

নীচে চলো

প্রচণ্ড রেগে আছে সকাল থেকে। যতবার কাছে গেছে ততবার ঠেলে সরিয়ে দিয়েছে। আজ তো গায়েও হাত তুলেছে। এখন একটা কেক দিয়েছে যদিও। কিন্তু রাগে খিদেতে স্বাদই পাচ্ছে না কেকের। মাঝে মাঝেই আঁচলটা দিয়ে মুখটা মুছছে। থুথু ছেটাচ্ছে। কেকটা গলায় আটকে যাচ্ছে মাঝে মাঝে। চোখটা যেন বাইরে ঠিকরে বেরিয়ে আসছে। কোনোরকমে গিলে ফেলছে। 

হনুমান আর দুষ্টু

দুপুরবেলা। সবাই ঘুমাচ্ছে। তার বয়েস কত হবে? হয় তো দশ কি এগারো। তার মনে একটা অদ্ভুত প্রশ্ন। তার ঠাকুমা, ঠাকুর্দা, দাদু, দিদিমা, মা, বাবা --- এরা সবাই ঠাকুরের সামনে বসে কি ভাষায় যেন কথা বলে। ওটা নাকি সংস্কৃত। এমনকি স্কুলে সরস্বতী পুজোর সময়, সেখানেও পুরোহিত ঠাকুর, মানে তার স্কুলের ভূগোলের স্যার সংস্কৃত বলে বলে পুষ্পাঞ্জলি দিতে বলেন। কেন ঠাকুর কি বাংলা, ইংরাজি, হিন্দি বোঝেন না? সে তো সবক'টা ভাষাই বলতে পারে, বুঝতে পারে। ঠাকুর যখন ছোটো ছিল তখন কি তবে কার্টুন সব সংস্কৃতে হত? তবে ঠাকুর বড় হয়ে বাকি ভাষাগুলো শেখেননি কেন?

অপেক্ষা

অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন জন্মালো। স্বপ্নেও অপেক্ষা হল না শেষ। এলো না সে। অথচ আসবার কথা দিয়েছিল যেন, স্পষ্টভাবে নয়, ইঙ্গিতে। এমন কতবার হল!

    "অপেক্ষা করার দায় কি শুধু আমার!" - নিজেকে চীৎকার করে বলল সে, নিঃশব্দে। ঠিক করে নিল, আর অপেক্ষা নয়।

মানুষের আত্মদর্শন

রামমোহন রায়কে নিয়ে স্টেটসম্যানে রবিবার (01/08) এবং সোমবার (02/08) -- এই দু'দিন ধরে ভালো একটা আর্টিকেল বেরোলো। 
             ভারতের ঈশ্বর চেতনা নিয়ে আলোচনা নেই সেখানে। থাকার কথাও নয়। তবে লেখকের ঈঙ্গিতটা বেশ স্পষ্ট। উপনিষদকে কেন এতটা গুরুত্ব দিলেন রামমোহন রায়। আমাদের সমাজে সেদিন যত কুসংস্কার ছিল, সেসব যে সে উপনিষদজাত নয় তাও দেখিয়েছিলেন। 

সুনিশ্চিত সরকারি চাকরি

যে খবরটা নিয়ে খবরের কাগজগুলো তোলপাড় হচ্ছে তা হল ডোমের চাকরির জন্যে উচ্চশিক্ষিতদের আবেদনপত্র। অনেকেরই বক্তব্য পড়লাম, ডোমের চাকরি মানে সরকারি চাকরি, মানে সুনিশ্চিত নিরাপত্তা।

ভাল্লুকটা আর বন্ধুত্ব দিবস

তো হল কি, দুই বন্ধু জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ কি চলে এলো? ভাল্লুক চলে এলো। অমনি একজন বন্ধু হুড়মুড় করে গাছে উঠে পড়ল। আরেকজন কি করবে, সে মড়ার মত পড়ে থাকল। সে তো জানে একটু পর ভাল্লুকটা এসে তাকে শুঁকে চলে যাবে। তারপর গাছ থেকে বন্ধুটা নেমে জিজ্ঞাসা করবে, ভাল্লুকটা তোর কানে কানে কি বলছিল রে?