ঢিল পড়ল জলে। টুপ।
ঢেউ উঠল। ঢেউ এসে লাগল পাড়ে। ছলাৎ।
বাতাস উঠল বেগে।
জল উঠল কেঁপে কেঁপে।
সে কাঁপন লাগল পাড়ে এসে। ছলাৎ ছলাৎ।
মাটি উঠল কেঁপে। ভূমিকম্প।
জল উঠল ভীষণ হয়ে।
পাড়ের উপর এসে ধাক্কা খেল জল।
ছলাৎ, ছলাৎ, ছলাৎ।
জলের বুকে আকাশের ছায়া উঠল চঞ্চল হয়ে।
যে মানুষটা ছিপ নিয়ে বসেছিল পাড়ে,
সে নড়ল না, উঠল না,
এমনকি ভুরুদুটোও ভাঁজ করল না।
সে বলল,
একবার আমার ধানে ভরা ক্ষেত, ভেসে গেল বন্যায়। আমার বুকে এসে পড়েছিল ওই ঢিলের মত ব্যথা। আমিও হয়েছিলাম চঞ্চল। ক্ষুব্ধ।
একবার আমার বসতবাড়ি গেল ভেঙে। ঝড়ে। ওই বাতাসে জাগা ঢেউয়ের মত হয়েছিলাম উদ্বেল।
একদিন আমার ছেলেটা দুদিনের জ্বরে ভুগে গেল মারা। আমার পায়ের তলা থেকে মাটি গেল সরে। আমার প্রাণে উঠল প্রবল আর্তনাদ, ওই ভূমিকম্পে জাগা ঢেউয়ের মত আকুল।
আজ জানি, সব শান্ত হয় অবশেষে। আকাশের চঞ্চলতা মিথ্যা। সব জানে সময়। শুধু বয়ে যেতে হয়। ভারশূন্য। দিশাশূন্য।