রক্তের শুধু না
রক্তের শুধু না,
দিন গড়াচ্ছে স্নায়বিক সম্পর্কে
রামভরণ
১
---
রামভরণ তার পাঁচ বছরের বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে ফুটপাথের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সামনে মথুরা বিল। চাঁদ উঠেছে বেশ কিছুক্ষণ হল। একটা বড় কাঁসার থালার মত চাঁদ জল থেকে কয়েক হাত উঁচুতেই। জল তো নয়, যেন গামলা গামলা দুধ ফেলা। রামভরণের বাড়ী বিহারের কোন এক অখ্যাত গ্রামে। রামভরণ বহু বছর হল বাড়ি যায় না। ভাইয়ে ভাইয়ে জমি নিয়ে অশান্তি তার আর ভাল লাগে না।
রাস মন্থন
রাত কত প্রহর? জানা নেই কারো। গোপীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে এখানে ওখানে বসে। বিমর্ষ। চিন্তিত। উদ্বিগ্ন। কৃষ্ণ কদমগাছের নীচে একাই বসেছিলেন। উঠে প্রধান গোপীর পাশে গিয়ে বসলেন।
রোহিঙ্গা
কবিতা লিখব? পারছি না যে
বুক কামড়ে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা
পূজাবার্ষিকী দোকানেই থাক
ঘর বার শুধু লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা
কান্না পাচ্ছে, মাথার মধ্যে গুলিয়ে দিচ্ছে
কূটনীতি থেকে তথ্যপ্রমাণ ধুলিঝড় শুধু ধুলিঝড়
চোখেতে ভাসছে গলাকাটা শিশু
আল্লাহ মালিক, রাম প্রভু, দয়াল পিতা
কই গেল সব!
বুকের তন্ত্রী ছিঁড়ে ঝুলছে রোহিঙ্গা!
রম্যা
ছাগলের দাম পাঁচ হাজার। বিক্রি হবে। হাটবার আজকে নয়। আগামীকাল। রম্যা কোনোবার ছাগল বিক্রীর আগেরদিন ঘুমায় না। অম্বল হয়। চোঁয়া ঢেকুর ওঠে। জোয়ান রাখা থাকে একটা পানের মশলার গোল, রঙচটা কৌটোয়। কৌটোটায় রম্যার শাশুড়ি সুপুরি রাখত। রম্যা ঢাকনা খুলে দেখল জোয়ান শেষ।
রাখব কোথায়?
পরিযায়ী পাখির কবিতা,
না খাঁচার শিকলের সমঝোতা?
রুটি বেগুনভাজা
দু'দিন আগেও বাগানে ঘুরে গেছেন, সবাই বলল। পুকুুনের মা জানত, মাথাটা গরম হলেই বাগানে ঘোরেন। একা একা ঘোরেন। একা একা কথা বলেন। একা একা আকাশের দিকে তাকিয়ে মাটিতে শুয়ে থাকেন। সাদা পায়জামা আর পাঞ্জাবী গায়ে রোগা মানু
রাধাকৃষ্ণানের নব্যভারত
রসবোধ
রথের চাকার ধ্বনি
কোথা চলিতে চাও প্রভু?
শুধালো না কেহ
শুধু চলিল রথ উন্মত্ত ভক্ত উচ্ছ্বাস ভেদি
নীরব জগন্নাথেরে লয়ে
রথের চাকা
এক, আমি নিজে; দুই, আমার সমাজ; আর রইল বিশ্বচরাচর। এই তিনকে ঘিরে একটা জীবন। এই তিনটেকে গেঁথে একটা সূত্র আছে - দর্শন। একজন মানুষ জেনে হোক, না জেনে হোক, কোনো না কোনো একটা দর্শনে বিশ্বাস করে। তার সেই বিশ্বাসের সাথে তার আচরণ যত খাঁটি সে তত স্বচ্ছ। তার সে দর্শন যত উচ
রোচক
মেয়েটা প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করত
কারখানায় যেতে
খারাপ পাড়ার পাশের গলিতেই যেতে হত
সবার ভাবতে শান্তি লাগত
মেয়েটা খারাপ পাড়াতেই কাজে যেত
রিলে রেস
...
রাত
রাত দশটা আঙুল দিয়ে বুকে আঁচড় কাটে
চিড়বিড় করে ওঠে পাঁজরগুলো
একটা আধমরা মথের মত কিছু
প্রবল আক্রোশে ডান ঝাপটায়
ফড়ফড় ফড়ফড় করে
গলায় জল ঢালি
ভাবি যদি বুক অবধি নামে,
জল নামতে নামতে শুকিয়ে যায়
রক্তের ছাপ না রঙ?
...
রাত বালিকা
...
রাস
... সে বলল, না, তুমি কেমন স্থির, তোমার বুকের মধ্যে পূর্ণচন্দ্রের ছায়া, সে কেমন ধ্যানমগ্ন, স্থির। চারদিকের এই নীরবতার মাধুর্য ভেঙে, তোমার বুকে ঢেউ তুলে কি হবে নেমে? তার চাইতে বসি তোমার তীরে।
...
রাত আটটা
...
রূপান্তর
বিস্তীর্ণ প্রান্তরে
রাতের অন্ধকারে
একখণ্ড মাটির ঢেলা হয়ে
...
রঙিন বর্ষা
...
রাঁধুনি
...
রোজের গল্প
...
রঙটা অনেকটা কৃষ্ণচূড়ার মত
বলতেই বুড়োটা গিরগিটি হয়ে লাফ দিয়ে আমগাছটায় উঠে গেল। কয়েকটা কাঠপিঁপড়েকে জিভ দিয়ে চাটতে চাটতে একবার নীচের দিকে তাকালো। যে ছেলেটা ভ্যান চালাতে চালাতে তাকে কথাগুলো বলেছিল সে তার গিরগিটি হয়ে যাওয়াটা খেয়াল না করেই চলে গেল।
...
রাজার চিঠি কি আসবে না ফকির?
...
রেলগাড়ির কথা
...
রাস্তা পেরিয়ে
"বুঝলাম, কিন্তু আমি দুটোর বেশি ট্রেন মিস করব না।"
বললাম, "ঠিক আছে।" বিশ্বাস করলাম না।
নীলরঙের চুড়িদার, চুলটা একহাতে কপাল থেকে সরিয়ে ডানহাতে ঘড়িটা দেখল। মনে মনে বললাম, নক্সা!
...
রুক্ষ মর্মে
তুমি নিশ্চিন্তে এসো
আমার নিঃস্বতা
আমায় লজ্জা দেয় না আর
তুমি নিশ্চিন্তে ফিরো
আমার রিক্ততা
আমায় কুণ্ঠিত করে না আর
রেনকোট
রেনকোটটা সুদীপ নিজেই বার করে সুশান্তকে দিয়েছিল। সুশান্ত বেরোতে যাবে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি নামল। সন্ধ্যে থেকে বোঝাই যায়নি যে আকাশে এমন মেঘের জট পাকিয়েছে। তখন কটা হবে, দশটা, সাড়ে দশটা হবে। সুশান্ত বাইক নিয়ে সুদীপের রেনকোট গায়ে দিয়ে বেরিয়ে গেল। ওর আজ নাইটশিফট, যেতেই হবে। নইলে থেকেই যেত। ও রেনকোটটা নিতে একটু ইতস্ততও
রাতের প্ল্যাটফর্ম
- সব ট্রেনের টাইমটেবিল মুখস্থ?
- বললাম, ধুর, তাও কি হয়?
- রাতের ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে লাল সিগন্যালের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মন খারাপ লাগে?
- উদাস হয়।
রাতের ট্রেন
কিন্তু আমায় ফিরতেই হবে, কাল ভোরে স্কাউটের একটা জরুরি প্রোগ্রাম আছে। না যেতে পারলে এবারে মধুপুর যাওয়া ক্যান্সেল।
বেশ জাঁকিয়ে শীত পড়েছে, উইন্ডচিটারের চেনটা গলা অবধি টেনে একটা সিটে বসলাম৷ পৌঁছাতে আধঘন্টা লাগবে।
...
রাস্তায় বৃষ্টি
...
রাস
নাই দাঁড়াতে পারতে
তবু এসে দাঁড়ালে
তুমি ডাক পাঠালে
নাই ডাকতে পারতে
...
রাজা ভক্ত
রাজা বললেন, আহা, আমি থাকতে তোমাদের এত কিসের ভাবনা। এত কিসের রীতিনীতি মনে রাখা। সব আমি দেখব। আমি ব্যবসা দেখব, আমি ধর্ম দেখব, আমি আইন দেখব, আমি শিক্ষা দেখব
...
রামকৃষ্ণদেব যে ভুলটা বলেছিলেন
কথা দুটো রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব মহাশয়ের। যিনি একটি মহৎ ভুল করেছিলেন, মতকে পথ বলে। যত মত তত পথ – বলে যে স্লোগানটা ওনার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হল।
...
রিকশা ও কবিতা
...
রুমালচোর
তুমি আমি সবাই সতর্ক
রাতদিন দিনরাত
আড়চোখে, খোলাচোখে
...