Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

রক্তের শুধু না

রক্তের শুধু না,
দিন গড়াচ্ছে স্নায়বিক সম্পর্কে

রামভরণ


---
রামভরণ তার পাঁচ বছরের বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে ফুটপাথের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সামনে মথুরা বিল। চাঁদ উঠেছে বেশ কিছুক্ষণ হল। একটা বড় কাঁসার থালার মত চাঁদ জল থেকে কয়েক হাত উঁচুতেই। জল তো নয়, যেন গামলা গামলা দুধ ফেলা। রামভরণের বাড়ী বিহারের কোন এক অখ্যাত গ্রামে। রামভরণ বহু বছর হল বাড়ি যায় না। ভাইয়ে ভাইয়ে জমি নিয়ে অশান্তি তার আর ভাল লাগে না।

রাস মন্থন

রাত কত প্রহর? জানা নেই কারো। গোপীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে এখানে ওখানে বসে। বিমর্ষ। চিন্তিত। উদ্বিগ্ন। কৃষ্ণ কদমগাছের নীচে একাই বসেছিলেন। উঠে প্রধান গোপীর পাশে গিয়ে বসলেন।

রোহিঙ্গা

কবিতা লিখব? পারছি না যে
বুক কামড়ে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা

পূজাবার্ষিকী দোকানেই থাক
ঘর বার শুধু লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা

কান্না পাচ্ছে, মাথার মধ্যে গুলিয়ে দিচ্ছে
কূটনীতি থেকে তথ্যপ্রমাণ ধুলিঝড় শুধু ধুলিঝড়
চোখেতে ভাসছে গলাকাটা শিশু
আল্লাহ মালিক, রাম প্রভু, দয়াল পিতা
  কই গেল সব!
বুকের তন্ত্রী ছিঁড়ে ঝুলছে রোহিঙ্গা!

রম্যা

       ছাগলের দাম পাঁচ হাজার। বিক্রি হবে। হাটবার আজকে নয়। আগামীকাল। রম্যা কোনোবার ছাগল বিক্রীর আগেরদিন ঘুমায় না। অম্বল হয়। চোঁয়া ঢেকুর ওঠে। জোয়ান রাখা থাকে একটা পানের মশলার গোল, রঙচটা কৌটোয়। কৌটোটায় রম্যার শাশুড়ি সুপুরি রাখত। রম্যা ঢাকনা খুলে দেখল জোয়ান শেষ। 

রাখব কোথায়?


পরিযায়ী পাখির কবিতা,
    না খাঁচার শিকলের সমঝোতা?

রুটি বেগুনভাজা

        দু'দিন আগেও বাগানে ঘুরে গেছেন, সবাই বলল। পুকুুনের মা জানত, মাথাটা গরম হলেই বাগানে ঘোরেন। একা একা ঘোরেন। একা একা কথা বলেন। একা একা আকাশের দিকে তাকিয়ে মাটিতে শুয়ে থাকেন। সাদা পায়জামা আর পাঞ্জাবী গায়ে রোগা মানু

রাধাকৃষ্ণানের নব্যভারত

কথাটা ছিল আগামী দিনের ভারতবর্ষের। রাধাকৃষ্ণান যা ভাবতে চেয়েছিলেন তা হল আগামী ভারতের চিন্তাধারা কেমন হবে তা নিয়ে। তিনি দুই ধরণের ভারতীয়দের কথা বলেছিলেন। এক, যারা গোঁড়া, যারা মনে করেন ভারতীয় ষড়দর্শনে যা লেখা হয়ে গেছে সেগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করলেই ভারতীয় সংস্কৃতি বেঁচে যাবে;

রসবোধ

শিল্পী বসলেন। তানপুরা বাঁধা হল। তিনি গান শুরুর আগে বললেন, আমি কিছু বলতে চাই শুরুতেই। সবাই উৎসুক, গানের আগে শিল্পী কথা বলবেন? এতো দারুন, জনসংযোগ, এরকম বিদেশেই দেখা যায়, কি বলেন? আশেপাশের সব লোক বলল, বটেই তো, বটেই তো।

রথের চাকার ধ্বনি


কোথা চলিতে চাও প্রভু?
শুধালো না কেহ
শুধু চলিল রথ উন্মত্ত ভক্ত উচ্ছ্বাস ভেদি
    নীরব জগন্নাথেরে লয়ে

রথের চাকা

        এক, আমি নিজে; দুই, আমার সমাজ; আর রইল বিশ্বচরাচর। এই তিনকে ঘিরে একটা জীবন। এই তিনটেকে গেঁথে একটা সূত্র আছে - দর্শন। একজন মানুষ জেনে হোক, না জেনে হোক, কোনো না কোনো একটা দর্শনে বিশ্বাস করে। তার সেই বিশ্বাসের সাথে তার আচরণ যত খাঁটি সে তত স্বচ্ছ। তার সে দর্শন যত উচ

রোচক


মেয়েটা প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করত 
কারখানায় যেতে
খারাপ পাড়ার পাশের গলিতেই যেতে হত

সবার ভাবতে শান্তি লাগত
মেয়েটা খারাপ পাড়াতেই কাজে যেত

রিলে রেস

পর্দাটা টানা। বাইরের আলো পর্দার ফাঁক দিয়ে অবাধ্যের মত আসছে। আজ কি বার? মঙ্গলবার। আরো চারটে দিন। ক্যালেণ্ডারটা দুলছে। পাখার আওয়াজ শুনে মনে হচ্ছে কারেন্ট নেই। ইনভার্টারে চলছে। জল কবে দেওয়া হয়েছে লাস্ট? চশমাটা টেবিলে। নইলে মোবাইলেই লিখে রাখা আছে - চশমা ছাড়া পড়া যাবে না। কত তারিখ? চব্বিশ। ব্যাঙ্কে টাকা ঢুকতে আরো সাত আটদিন বাকি।
...

রাত


রাত দশটা আঙুল দিয়ে বুকে আঁচড় কাটে
চিড়বিড় করে ওঠে পাঁজরগুলো

একটা আধমরা মথের মত কিছু
প্রবল আক্রোশে ডান ঝাপটায় 
   ফড়ফড় ফড়ফড় করে

গলায় জল ঢালি
  ভাবি যদি বুক অবধি নামে,
জল নামতে নামতে শুকিয়ে যায়

রক্তের ছাপ না রঙ?

যে ধূর্ত মানুষটা চারদিক অন্ধকার করে, পা টিপে টিপে, পরিচারিকার গায়ে দেওয়া কম্বলের ওয়াড়টার মধ্যে পাতলা কাঁথা ভরে দিতে চায়, সে জানে না, রাতের হাড়কাঁপা শীত পরিচারিকাকে জানিয়ে দেবে চেনা ওয়াড়ের মধ্যে অচেনা কাঁথা
...

রাত বালিকা

সেই কবে থেকে মাইকে মাইকে মেয়েটা দিন-রাত চিল্লিয়েই যাচ্ছে, চিল্লিয়েই যাচ্ছে, "আর কত রাত একা থাকব..."। ভাগ্নীকে নিয়ে ঘুরছি প্যাণ্ডেলে প্যাণ্ডেলে, পুজোর মরশুম, মেয়েটা চিল্লিয়েই যাচ্ছে, "আর কত রাত একা থাকব"
...

রাস

সরোবর বলল, এসো
... সে বলল, না, তুমি কেমন স্থির, তোমার বুকের মধ্যে পূর্ণচন্দ্রের ছায়া, সে কেমন ধ্যানমগ্ন, স্থির। চারদিকের এই নীরবতার মাধুর্য ভেঙে, তোমার বুকে ঢেউ তুলে কি হবে নেমে? তার চাইতে বসি তোমার তীরে।
...

রাত আটটা

রাত আটটা হবে। ফিরছি, হঠাৎ দেখি আমাদের এখানের হাইস্কুলের সামনে কয়েকজন মহিলা দাঁড়িয়ে, দেখে মনে হচ্ছে ঠাকুর দেখতে যাবেন। দুটো টোটো দাঁড়িয়ে। মহিলারা যেখানে দাঁড়িয়ে তার সামনে পুকুর, পুকুরের ওপারে হাইস্কুলের বিল্ডিং।
...

রূপান্তর

বিশ্বাস দাঁড়িয়ে ছিল একা
   বিস্তীর্ণ প্রান্তরে
      রাতের অন্ধকারে
          একখণ্ড মাটির ঢেলা হয়ে
...

রঙিন বর্ষা

   সব চাইতে বড় বাঁশটার উপরে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল পিঁপড়েটা। এত বৃষ্টি হয়েছে চারদিন ধরে যে চারদিকে জল থৈ থৈ। পিঁপড়েটার বাড়ি ছিল এই বাঁশগাছটার নীচ থেকে এগারো পা দূরে ওই হিজল গাছটার গোড়ায়।
...

রাঁধুনি

   ভিজে কাপড় শুকায় নাকি এই জোলো বাতাসে? তবু ভিজে কাপড়টা গায়ে জড়িয়েই বসে থাকা। হু-হু করে বইছে জোলো বাতাস।
...

রোজের গল্প

    নিজে নিজেই কথা বলছে বেলা। শাড়িটা ফিরিয়ে দিয়ে আসা যেত হয়ত। বোনের শাড়ি। কিন্তু থাক, কথাগুলো শোনাতে এই শাড়িটাই কাজে দেবে। টোটোতে আসতে আসতেই ভেবে রেখেছিল কথাটা। 
...

রঙটা অনেকটা কৃষ্ণচূড়ার মত

    "সরে বসো..."
           বলতেই বুড়োটা গিরগিটি হয়ে লাফ দিয়ে আমগাছটায় উঠে গেল। কয়েকটা কাঠপিঁপড়েকে জিভ দিয়ে চাটতে চাটতে একবার নীচের দিকে তাকালো। যে ছেলেটা ভ্যান চালাতে চালাতে তাকে কথাগুলো বলেছিল সে তার গিরগিটি হয়ে যাওয়াটা খেয়াল না করেই চলে গেল।
...

রাজার চিঠি কি আসবে না ফকির?

         সাজিয়ে কিছু মিথ্যা কথা আনিনি। সাদা পাতাটা সামনে থাকে যখন, তার পাশে তুমি, মনে হয় কিছু ভালো কথা লিখি। বিশ্বাসের কথা, আশ্বাসের কথা।
...

রেলগাড়ির কথা

বাচ্চাটা চীৎকার করতে করতে দু-হাত নাড়তে থাকল। তা নাড়বে না? অতগুলো বগি নিয়ে আলো জ্বেলে ঝমাঝম করে অত্ত বড় রেলগাড়িটা তার সামনে দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে যে!
...

রাস্তা পেরিয়ে

"ফিরব না এখন", বললাম।
        "বুঝলাম, কিন্তু আমি দুটোর বেশি ট্রেন মিস করব না।"
        বললাম, "ঠিক আছে।" বিশ্বাস করলাম না।
        নীলরঙের চুড়িদার, চুলটা একহাতে কপাল থেকে সরিয়ে ডানহাতে ঘড়িটা দেখল। মনে মনে বললাম, নক্সা!
...

রুক্ষ মর্মে

তুমি নিশ্চিন্তে এসো
আমার নিঃস্বতা 
   আমায় লজ্জা দেয় না আর

তুমি নিশ্চিন্তে ফিরো
আমার রিক্ততা 
    আমায় কুণ্ঠিত করে না আর

রেনকোট

রেনকোটটা সুদীপ নিজেই বার করে সুশান্তকে দিয়েছিল। সুশান্ত বেরোতে যাবে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি নামল। সন্ধ্যে থেকে বোঝাই যায়নি যে আকাশে এমন মেঘের জট পাকিয়েছে। তখন কটা হবে, দশটা, সাড়ে দশটা হবে। সুশান্ত বাইক নিয়ে সুদীপের রেনকোট গায়ে দিয়ে বেরিয়ে গেল। ওর আজ নাইটশিফট, যেতেই হবে। নইলে থেকেই যেত। ও রেনকোটটা নিতে একটু ইতস্ততও

রাতের প্ল্যাটফর্ম

- সব ট্রেনের টাইমটেবিল মুখস্থ?

- বললাম, ধুর, তাও কি হয়?

- রাতের ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে লাল সিগন্যালের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মন খারাপ লাগে?

- উদাস হয়।

রাতের ট্রেন

পিসি ট্রেনে তুলে দিয়ে বললেন, আজকের দিনটা থেকে গেলেই পারতিস, এত রাতে কেউ যায়?

   কিন্তু আমায় ফিরতেই হবে, কাল ভোরে স্কাউটের একটা জরুরি প্রোগ্রাম আছে। না যেতে পারলে এবারে মধুপুর যাওয়া ক্যান্সেল।

   বেশ জাঁকিয়ে শীত পড়েছে, উইন্ডচিটারের চেনটা গলা অবধি টেনে একটা সিটে বসলাম৷ পৌঁছাতে আধঘন্টা লাগবে।
...

রাস্তায় বৃষ্টি

টিউশন ব্যাচে যাওয়ার সময়ই প্রচন্ড মেঘ করে এসেছিল। তখন সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা হবে, সেদিন ব্যাচে টেস্ট ছিলো। পরীক্ষা দিতে দিতেই শুনলাম বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একটু টেনশান হতে শুরু করলো, আমাদের ওদিকটায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে যায়, আর এ যা বৃষ্টি হচ্ছে তাতে তো নদী হয়ে যাবে। পড়ার ব্যাচ থেকে বেরোলাম নটা চল্লিশ।
...

রাস

তুমি এসে দাঁড়ালে

নাই দাঁড়াতে পারতে
তবু এসে দাঁড়ালে

তুমি ডাক পাঠালে
নাই ডাকতে পারতে
...

রাজা ভক্ত

রাজা সব্বাইকে ভালোবাসে। যাকে বলে ভীষণ ভালোবাসা, তার থেকেও বেশি সে ভালোবাসা। যাকে তাত্ত্বিকরা বলে অপরিমেয়।
  রাজা বললেন, আহা, আমি থাকতে তোমাদের এত কিসের ভাবনা। এত কিসের রীতিনীতি মনে রাখা। সব আমি দেখব। আমি ব্যবসা দেখব, আমি ধর্ম দেখব, আমি আইন দেখব, আমি শিক্ষা দেখব
...

রামকৃষ্ণদেব যে ভুলটা বলেছিলেন

পথ নিয়ে দুটো কথা বলেছেন, এক, মত পথ বই আর কিছু নয়। দুই, শালাগুলো সারাদিন পথের কথা নিয়েই কাটায়, ডুব কেউ দেয় না।
  কথা দুটো রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব মহাশয়ের। যিনি একটি মহৎ ভুল করেছিলেন, মতকে পথ বলে। যত মত তত পথ – বলে যে স্লোগানটা ওনার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হল।
...

রিকশা ও কবিতা

হাতের উপর অনেকগুলো রেখা। সব রেখা নদীর মত সমুদ্রে মেশে না। পরিণতি নেই। তবু আছে। রাত বলে দেখা যাচ্ছে না। অন্ধকারে মিশে আছে। তবু অন্ধকারেই ভাগ্যের হাল ধরে রেখেছে। চালিয়ে নিয়ে
...

রুমালচোর

এ যেন রুমাল চোর খেলা চলছে
তুমি আমি সবাই সতর্ক
  রাতদিন দিনরাত
আড়চোখে, খোলাচোখে
...