"আপন দুটি চরণ ঢাকো"
প্রত্যক্ষ চাপ তো জীবনে আছেই। আরেকটা আছে পরোক্ষ চাপ। যখনই আমি কারোর নিন্দা করছি, বা সমালোচনা করছি, তখনই আমার মনে একটা ক্ষোভ, বিদ্বেষ, বিরূপতা তৈরী হচ্ছে। সেটা আমার মনের পক্ষে অতিরিক্ত চাপ।
তার চেয়ে থাক। 'আমি কারোর স্বভাব শুধরাতে পারি না' এই সহজ সিদ্ধান্তটা মেনে নিলেই হল।
"সে থাকে না, থাকে বাঁধন"
আমার ধরা ছোঁয়ার জগতে যখন তোমায় চাই, তখন তোমার সাথে সাথে নিজেকেও বেঁধে ফেলি সীমায়। সে সীমা নিরাপদ বটে, তবে সে সীমাতে গর্বেরও কিছু নেই। আমার মাথার ওপর যে নীলাকাশ, সে তো আমার প্রয়োজনের বস্তু না, সে আমার মুক্তি! সারাদিন সংসারে জোয়াল বাধা ঘূর্ণিতে, একটু ফাঁক পেলেই চোখ যায় ঐ দূরের নীলাকাশটায়। তখন সে দূর কই?
"হাতের নাগালে পেয়েছি সবারে নীচুতে"
সেই কবে থেকে কিছু জিনিস জোগাড় করতে শুরু করেছিলাম। কয়েকটা জিনিস বানাতেই হবে এমন সাধ ছিল। একটা অট্টালিকা, একটা ওই উঁচুতে - যেখানে দেবা-দেবীরা থাকেন, সেখানে ওঠার সিঁড়ি, আর বিশাল একটা সেতু।
"টুকরো করে কাছি আমি ডুবতে রাজি আছি"...
রবীন্দ্রনাথের সাথে সহমত হতে নারলাম। কিছুতেই মানতে পারলাম না। সর্বাংশে, নিজের সর্বসত্তা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বললুম... না... না.. না.. কভি নেহি... নেহি... নেহি... নেভার.. নেভার...নেভার... চাই না... চাই না... চাই না... দাদা আমি বাঁচতে চাই... চাই... চাই...
"অবকাশ আমার আর নেই"
বন্যার ভয়াবহতার সদ্য সাক্ষী আমরা। নানা স্তরের মানুষের সাহায্যের সাক্ষীও আমাদের চিত্ত। আবার নীরবতা বা উদাসীনতার সাক্ষীও।
১৯৩১ সাল, বাংলা বন্যায় ভাসছে। রবীন্দ্রনাথ চিঠিতে লিখছেন, ২৩ অগস্ট,
"বাংলাদেশে আর নয়"
"কে শেষে হইল জয়ী? মৃদু সমীরণ"
...
"সত্যিই কি আমরা ভুল দিকে এগোচ্ছি?"
শরৎচন্দ্র রাধারাণীদেবী
...
"না তো"
"ফিরে এসো"
সময় তাড়া দিয়ে গেছে,
"ফিরেছে?"
...
"মানুষ তাও কি করে বেরোচ্ছে!!!!!"
অর্থাৎ সব সিগারেটের দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কেউ সিগারেট কিনছে না। কেউ স্মোক করছে না। সবাই মৃত্যুভয়ে সিগারেট ছেড়ে দিয়েছে।
এটা কি বাস্তব চিত্র? নয় তো না?
...
"তোমাদের কাছে এসে দু'হাত পেতেছি"
না, বানানো যায় না। তবে তো তার ব্যক্তিগত জীবনের গতিবিধির উপর চোখ রাখা হবে। সে কি সার্চ
করছে, কি চ্যাট করছে, কি আঁকিবুঁকি কাটছে - এ সব তো ভীষণ ব্যক্তিগত, তাই না? ...
"বই হয়ে যেও না"
খবরটা দেখামাত্র উনি লাইব্রেরি ঢুকলেন। স্ত্রী, ছেলে, মা, বাবা, চাকর, বন্ধুবান্ধব --- সব্বাইকে বললেন, বিরক্ত না করতে। দরজার কাছেই খাবার রেখে আসতে।
উনি শুরু করলেন পড়া। প্রথমে বিশ্বসৃষ্টির রহস্য। নানা মত। সায়ানোজেন মতবাদ। ওপারেন হ্যাল্ডেনের কথা। দানিকেনের কথা।
"ওরে মন সহজ হবি"
আফসোস মাঝে মধ্যে এটা সেটা নিয়ে হবে। এ স্বাভাবিক। কিন্তু আফসোস যখন স্বভাবে দাঁড়িয়ে যায় তখন সে এক বালাই।
"আও"
"মড়া শালিখ"
এতক্ষণ সব শান্ত ছিল
"হৃদয়ের পুব-গগনে"
"আমার সব ঘরে ঘরে গিয়ে দেখতে ইচ্ছা করে....."
"সব ছল ছল ছল রে ভোলা"
আজ অমর্ত্য সেনের জন্মদিন। তিনি নব্বই হলেন। সেটা বড় কথা নয়। কারণ তিনি শাহরুখ খান নন।