সৌরভ ভট্টাচার্য
5 April 2019
বাচ্চাটা চীৎকার করতে করতে দু-হাত নাড়তে থাকল। তা নাড়বে না? অতগুলো বগি নিয়ে আলো জ্বেলে ঝমাঝম করে অত্ত বড় রেলগাড়িটা তার সামনে দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে যে! সে বাবার বাইকে বসে। সামনে লোহার আগল, পথ আটকানো।
রেলগাড়ির লোকে না জানুক, রেলগাড়িটা তো জানল, দুটো ছোট্টো ছোট্টো হাত তাকে দেখে কি খুশীই না হয়েছিল। অন্ধকারে মাঠ-বন-শহর-গ্রাম পেরিয়ে যেতে যেতে রেলগাড়ির এই কথাটাই কেবল মনে হবে, কেউ একজন তাকে শুধু দেখেই খুশী হয়েছিল। অপ্রয়োজনে খুশী হয়েছিল। আনন্দ পেয়েছিল, কোথাও না যেতে চেয়ে, কোনো বায়না না করে, ফিরে তার হাত নাড়ার প্রত্যাশা না রেখেও।
একি খুব সহজ আনন্দ? এইটুকু পেতেই তো পূর্বাচল থেকে অস্তাচলের দিকে ছুটেছি, কোঁচড়ে জমানোর বিকারটাকে এড়িয়ে বাঁচতে বাঁচতে।