Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

বলে যাও... কে সে?

জল নয়। আগুন নয়। মাটি নয়। আকাশ নয়। শব্দটা মন। মন পাত্র। তবে ফুটো পাত্র। সে ফুটোর নাম সময়। সব গলে গলে পড়ে যাচ্ছে... হো হো হো... সব... তোমার ও যৌবন রূপ ভালোবাসা সুখ... সব সব সব... পৃথিবীর বুকে সময় একটা বড় ছেঁদা, বুঝলে কি না
...

বাচ্চা নৌকা

একটা বাচ্চা নৌকা। সমুদ্রকে বলল, আমি আসব?

সমুদ্র বলল, এখন না।

ঝড় উঠল। পারে বাঁধা রশি গেল ছিঁড়ে। বাচ্চা নৌকা ভাসতে ভাসতে এসে পড়ল সমুদ্রে।

সমুদ্রের বুক আতঙ্কে আকুল। নৌকা ঘূর্ণীর আঘাতে
...

বক

লকডাউন। ধানক্ষেতের পাশে রাস্তা। রাস্তার উপরে মাচা। মাচার মাথায় ছাউনি। একটা বছর দেড়েকের বাচ্চা ছেলে, কপালে কাজলের দাগ, লাল প্যান্ট পরে বাবার সাথে বসে। আশেপাশে কয়েকজন মানুষ। সবাই পুরুষ। মাচায় আর কেন মহিলা বসবেন। বাচ্চাটা একটা গ্লাস নিয়ে খেলছে। বাকি পুরুষেরা গল্প করছে। একজন যুবক তার প্রেমের গল্প করছে। তার প্রেমিকা তাকে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপে
...

বিমল আনন্দে জাগো রে

টুপ টুপ করে সারা জঙ্গল জুড়ে যেন ভালোবাসা ঝরে পড়ছে। ভোরে উঠে সরু নদীর পাড়ে বসে থাকা কান্তাচার্য্য’র আজ মনটা প্রসন্ন। এমন প্রসন্ন মন কদাচিৎ হয়। এ যেন বৈশাখের ভোরের ঠান্ডা হাওয়ার প্রসন্নতা। কান্তাচার্য্য গাইছেন, “বৈশাখের এই ভোরের হাওয়া...।” কান্তাচার্য্য একলা বেড়াতে এসেছেন।
   আকাশটা মেঘলা। কান্তা আকাশের
...

বাঘের জীবন বুকুর হাতে


এই চড়াইটার জন্য বুকুর অনেকবার অঙ্ক ভুল হয়েছে, ইংরেজি বানান ভুল হয়েছে, ইতিহাসের সাল গোলমাল হয়েছে। হবে না? যখন তখন ক্লাসের সময় এসে ক্লাসরুমের জানলার উপর বসবে, আর বকর বকর করেই যাবে, করেই যাবে।

বাঘের গল্প বাঘের মুখে

বাঘের গল্প কেউ বলতে পারে না। কেউ না। কেউ না। কেউ না। সবাই বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা কথা বলে।
   তাই হল কি বুকু রেগেমেগে ঠিক করল জঙ্গলে গিয়ে এক্কেবারে বাঘের মুখ থেকেই বাঘের গল্প শুনবে। বুকু বাড়ি থেকে জঙ্গলে যাবে কি করে? এই এক ভাবনা। বুকুর বাড়িতে বুকুর ঠাকুমা, ঠাকুর্দা, বাবা, মা, পিসি, কাকা, কাকি --- কত্তো লোক! কিন্তু
...

বাড়িতে থাকুন, বাড়িতে থাকতে সাহায্য করুন

অনেকদিন মৃত্যুর সাথে লড়াইটা ব্যক্তিগত ছিল। আজ নেই। আজ গোটা বিশ্ববাসী বনাম মৃত্যু। মিলিত লড়াই। জোট বাঁধা লড়াই। সবাই সবাইকে নতুন করে চিনছি। পুলিশ থেকে শুরু করে যে মানুষটা খবরের কাগজটা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, সবাইকে ভীষণ কাছের লাগছে।
...

বইপ্রেমী কাজের মেসো

উন্নতি যে হচ্ছে না তা নয়, ভালোই হচ্ছে। শুরুর দিকে এঁটো বাসনকোসনগুলো যে দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত, এখন থাকছে না। ওরা আমি সিঙ্কের কাছে দাঁড়ালেই একটু নার্ভাস হয়ে আমার দিকে তাকাতো, নিজেদের মধ্যে ফিসফাস
...

বেশ

লোকটা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ক্ষমা কোরো। আমি শুধু ভুলের পর ভুলই করে গেলাম জীবনে। ...

বইমেলা 2022

সমস্ত বইমেলা জুড়ে না হয় প্রতিদিন অন্তত দু মিনিট করে নীরবতা পালন হোক,
সবাই দাঁড়িয়ে পড়ুক যে যার জায়গায়, স্থির।...

বুঝবে সমুদ্র

মিষ্টির দোকানের বেঞ্চটা নর্দমার উপর পাতা। নর্দমা নদী না। কিন্তু জলের স্রোত তো। আর এই বড় নর্দমার জলে এত স্রোত যে ময়লা জমে না। একটু দূরে নর্দমার উপরেই দুটো পেচ্ছাপ করার জায়গা বানিয়ে দিয়েছে মিউনিসিপালিটি থেকে। মেয়েদের ওসব করার জন্য আরো ভিতরে যেতে হবে, বাজারের মধ্যে। আর তাদের জন্য?

বিবেকের অন্ধবিশ্বাস

নিজের ভালো হবে ভেবে এই যে পাথরের মাথায় জল ঢালা, দুধ, বেলপাতা দেওয়া,
উপোস করা, কোথাও কোথাও পুজোর নামে বলি দেওয়া -
এ সব অন্ধবিশ্বাস, নিশ্চয়ই অন্ধবিশ্বাস। তবে আজ ফিকে লাগছে। ...

বোকা নকল সুপারম্যান


সবাই চায় তার জীবনে একজন সুপারম্যান আসুক, যে তার পাশে দাঁড়িয়ে তার সব সমস্যার সমাধান করে দেবে।

বিদ্যালয়

বইয়ের পাতাগুলো একটা বাঁধুনিতে বাঁধা থাকে। খেয়াল পড়ে না। পাতার পর পাতা উলটে যাই, অক্ষরের মর্মে অবগাহন করি, কিন্তু বাঁধুনির কথা মনে থাকে কি?

বোকা হওয়া দোষের কিছু নয়

বোকা হওয়া দোষের কিছু নয়। সমস্যার। যখনই বুঝতে পারবেন বোকা হয়ে গেছেন, নিজের কোনো খামতির জন্য বা অন্যের চালাকির জন্য, অনুতপ্ত হবেন না বা ক্ষুব্ধ হবেন না। স্বাভাবিক ঘটনায় ক্ষুব্ধ হওয়াটা অপ্রত্যাশিত বোকামি। যেই না বোঝা গেল, বোকা হলাম, তখনই দেখতে হবে বোকা হওয়ার জন্য যে ক্ষতিটা হল সেটাকে কি করে সামাল দেওয়া যায়।

বিরাট স্বপ্ন

নধরকান্তি বাবু ব্লাড সুগার নিজের ছন্দে নিয়ন্ত্রণে রাখেন। চায়ে চিনি খান না। কারোর বাড়ি গেলে কেউ যদি ভুল করে বা না জিজ্ঞাসা করে চিনি দিয়ে ফেলে চায়ে, মুখেও দেন না সে চা, কিন্তু চায়ের পর দুটো রসগোল্লা ওনার চাই-ই চাই।

বাসিফুল

বাসিফুল, নষ্টফুলের স্তূপ গঙ্গার ধারে জড়ো করে রাখা। ক্ষ্যাপা বলল, বলো তো, কোন ফুল মন্দিরের, আর কোন ফুল বাজারের?

বোকা কোথাকার!

ঘুঁটেগুলো তুলে নিয়ে ফিরতে যাবে, হঠাৎ গাছের উপর থেকে কেউ যেন বলল, দুটো দিয়ে যা না রে, ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছি, একটু আগুন জ্বেলে বসি।

  রমার ঠাকুমার তো দাঁত কপাটি লাগার জোগাড়। "রাম রাম" বলতে আবার দু পা এগিয়েছে, অমনি গাছ থেকে আবার সে বলল, রাম নামে পালাবো আমি অমন পাপী ভূত না রে, ভ্যাকেন্সি নেই উপরে তাই মাঝখানে রিজার্ভে আছি। বডি পেলেই ঢুকে যাব।

বাচ্চা হচ্ছে না কেন?

এই তোদের এতদিন হল বাচ্চা হচ্ছে না কেন রে? দেখ ওদের তো তোদের পরে বিয়ে হল, তা-ই হয়ে গেল, তোদের?

            প্রশ্নটা স্বাভাবিক। কারণ আমাদের সমাজে সীমারেখার বোধটা খুব অস্পষ্ট। কোন প্রশ্ন করতে হয় আর কোন প্রশ্ন করাটা অস্বাভাবিক, সেটার বোধ আমাদের খুব একটা স্পষ্ট নয়। আমার কি জানার অধিকার নেই? নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু কৌতুহলের অধিকার নেই।
...

বিশ্বাস মানেই সুখ

সুখ একটা বিশ্বাস। বিশ্বাস করলে আছে, না করলে নেই। তুমি সুখ খুঁজবে কোথায়? এই পাড়, ওই পাড়, হালে, বৈঠায়, স্রোতে... আসলে সুখ নেই কোত্থাও। সুখ মানে বিশ্বাস।

          লটারির টিকিটগুলো সাজিয়ে, মা তারা, লোকনাথ বাবার ছবিতে ধূপ দিয়ে যে লোকটা চেয়ার পেতে বসল, সে সুখ বিক্রি করবে এখন। যে কাটবে, সে বিশ্বাস করবে, হয়তো এবার ভাগ্য ফিরবে। এই বিশ্বাসেই তার সুখ। টাকা পেলেই যে সুখী হবে, সে এখনও নিশ্চিত জানে না তো। তবু সে কিনবে। সে বেচবে সেও জানে না তার টেবিলে কার ভাগ্যের সংখ্যা রাখা। তার বিশ্বাস কেউ না কেউ পাবে। নইলে এর তার চোখের দিকে তাকাতে এলেম লাগত।
...

বাদী উপাখ্যান

একজন বলল, আয়না সত্য। আরেকজন বলল আয়নায় ভাসা যা কিছুর সবের ছায়া তারাই সত্য। নইলে তোমার আয়না কেবল কাঁচ। প্রতিবিম্ব দেখলেই যে না আয়না!
          আরেকজন এসে বলল, আয়না সত্য, প্রতিবিম্ব সত্য, দুই-ই সত্য, তবে যে আয়না আর প্রতিবিম্ব দুই-ই দেখছে সে মূল সত্য। 
          তিন দলের লোক হল। একজন হল আয়নাবাদী। একজন হল প্রতিবিম্ববাদী। একজন হল দ্রষ্টাবাদী। 
...

বুকুর দুর্গাপুজো

এই বুকু, বুকু….


    বুকু তো ঘুমিয়ে কাদা। ইঁদুরটা এসে কানের কাছে আবার ডাকল, এই বুকু... বুকু…

    বুকু উঠে বসল ধড়মড় করে। খাটের উপর রাস্তা থেকে টুনি লাইটের আলো এসে পড়েছে। সারা রাস্তা জুড়ে লাইটিং হয়েছে তো!

বিদ্যাসাগর, কমলা ভাসিন প্রমুখেরা

সংসারে বিদ্যাসাগরের অভাব হয়নি কোনোদিন। আজও নেই। বরং বিদ্যাসাগরের সুনামিতে সমাজের প্রাণান্তকর অবস্থা হয় মাঝে মাঝে। বিদ্যাসাগরেরা প্রাচীনকালেও ছিলেন, আজও আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। বিদ্যাসাগরের ঢেউয়ের গর্জনে কান ঝালাপালাও হবে।

বিস্ময়হীন অলসতা

একজন কেউ অপমান করবে
আর তুমি সেই কাদা
    নিজের গায়ে, মাথায়, চোখেমুখে, হাতেপায়ে মেখে বসে থাকবে?

আর একে তাকে ওকে ডেকে
   অভিমান করে বলবে,
       দেখো কি করেছে,
           দাও জল দিয়ে ধুয়ে দিয়ে যাও?

বলতে নেই

- মায়ের নাম কি?
- বলতে নেই
             এখনও মায়ের নাম বলতে দ্বিধা। অবচেতন খটকা। ঠিক হবে কি? এটা বিবেক না। এটা সংস্কার। কুসংস্কার না। ভুল সংস্কার। কারণ বাবা প্রধান। মা দ্বিতীয় অভিভাবক। মায়ের নামে আবার কিসের পরিচয়? বাড়ির নেমপ্লেটে দেখেছি বাবার নাম, তারপর তাদের কৃতী সন্তানদের নাম। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে। সে ইদানীং চোখে পড়ে টুকটাক। কিন্তু মায়ের নাম নেই। যদি তিনি তথাকথিত শুধুমাত্র গৃহবধূ হন তবে তো আরো সে নাম থাকার প্রশ্নই আসছে না।

বরবটি

(এ নিতান্ত মজার জন্য লেখা। মতামত সম্পূর্ণ ক্ষেমীর। লেখকের দায় নেই।)

বুদ্ধদেব গুহ

বুদ্ধদেব গুহ বললে আমার একটা ঝাপসা স্মৃতি মনে আসে। একটা টিভি অনুষ্ঠানে উনি এসেছেন। কোনো একটা স্কুলের অনুষ্ঠান সম্ভবত ছিল, কারণ প্রচুর বাচ্চা বসেছিল সামনে।

    কথাপ্রসঙ্গে একটা কথা উঠে আসে, অনাথ। কোনো একটি বাচ্চাকে উদ্দেশ্য করেই সম্ভবত বলা হয়েছিল।

বাউল সত্যজিৎ

ইন্টেলেকচুয়াল অ্যারিস্ট্রোকেসি আর সোশ্যাল অ্যারিস্ট্রোকেসি - দুই-ই যত গর্জায় তত বর্ষায় না। সত্যজিৎবাবু হয় তো হাঁপিয়ে উঠেই 'আগন্তুক' সিনেমার স্ক্রিপ্টটা লিখে ফেলেছিলেন। সিনেমা মানে তো আদতে স্ক্রিপ্ট। স্ক্রিপ্টটাই তো ভাবনা। সেই ভাবনাটা নিশ্চয়ই কোনো এক যন্ত্রণা থেকেই উঠে এসেছিল। নইলে শেষ দুটো সিনেমায়, 'শাখা-প্রশাখা' আর 'আগন্তুক'-এ এমন দুটো চরিত্রকে দাঁড় করাতে চাইলেন কেন?

বিচিত্র ছলনাজাল

প্রতিদিন পেপার খুললেই পড়ছি প্রতারণার গল্প। কেউ উচ্চ আধিকারিক সেজে প্রতারণা করছে। কেউ প্রেমিক সেজে। কেউ চিকিৎসক সেজে। কেউ গুরু সেজে। কেউ চলচিত্র পরিচালক সেজে। মানুষের কত সাজ, কত কৌশল। কত কত নকল। 

বড় সংকট

কথা হচ্ছে ব্যঙ্গ করবেন না কেন? অবশ্যই করুন। আমরা ট্রোল, মিম আরো কি কি সব নামে এই সব উন্নত মানের ইতরামি দেখতে অভ্যস্ত এখন। সেখানে কেউ বাদ যায়?

বাড়াবাড়ি

    মানুষটা চাইত তার ঘরের দেওয়াল জুড়ে থাকবে হালকা সবুজ একটা রঙ। ঘরের চারদিকে দুটো জানলা থাকবে, গুমোট গন্ধ হবে না ঘরে। সকাল-সন্ধ্যে হালকা একটা ধুপের গন্ধ ঈশ্বরের চরণের মত ধীরে ধীরে পা ফেলে তার এ ঘর সে ঘর ঘুরে যাবে। তার বাথরুমে থাকবে হালকা সাবানের গন্ধ, মেঝে থাকবে শুকনো। খাবার আয়োজন হবে না এলাহি। থাকবে স্বাদ, থাকবে মাত্রামত আয়োজন। খেতে খেতে শব্দ করবে না,

বেজায় সত্যি গল্প

কি বলব তোমাদের! আমি সেদিন মাস্কটাস্ক পরে, বাজার করে ফিরছি, হঠাৎ স্কুলের বাইরে দিয়ে যাওয়ার সময় শুনি কি হট্টোগোল! এদিকে আমি তো জানি সব স্কুলটুল বন্ধ। তবে? হঠাৎ করে সব খুলে গেল নাকি? তোমরা বললে বিশ্বাস করবে না, একটু উঁকি দিয়ে তাকিয়ে তো আমার চক্ষুচড়কগাছ!

বনসাই

এখন শোকে কেউ বিবশ হয় না
নিখুঁত নির্ভুল শব্দ চয়নে
    তাৎক্ষণিক শোকগাথা লিখতে
          শিখে গেছে শোকও
হৃদয় গভীর অরণ্য
     কেউ হারিয়ে যায় না
         সে অরণ্যেও ভিড় করছে
                  বনসাই