আজ বই দিবস। আগের বছরও ছিল। সামনের বছরও হবে। আগের বছর অনেক মানুষ চলে গেছেন। এ বছরও অনেক অনেক মানুষ চলে যাচ্ছেন। অক্সিজেন, ইনজেকশন পাওয়া যাচ্ছে না। বইতে অক্সিজেন বানানোর পদ্ধতি লেখা আছে। বইতে ওষুধ বানানোর পদ্ধতিও লেখা আছে। এও পড়ানো হয়, demand and supply theory মানে কি। এ সব তত্ত্ব বইতে লেখা আছে। কিন্তু এখন কিছু পাওয়া যাচ্ছে না।
রামকৃষ্ণ বলতেন, পাঁজিতে লেখা আছে এত বৃষ্টি হবে। কিন্তু পাঁজি নিংড়াও। কোনো জল নেই। এও তেমন। বই মানুষ করে না। মানুষে বই লেখে। যদি দয়াবোধ, কর্তব্যবোধ না থাকল, তবে আর কিসের মনুষ্যত্ব, কিসের পাণ্ডিত্য। সব অর্থহীন। এখন কয়েকদিন শুধু অক্সিজেন দিবস, ওষুধ দিবস, হাসপাতাল দিবস। এখন যুদ্ধ চলছে। এখন বইতে লেখা কথাগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ডাকছে। শুধুমাত্র সুন্দর মনোগ্রাহী বাক্য গঠন করে দায় শেষ হবে না। যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়েও মুক্তি নেই। এখন কাজের সময়। যার যতটুকু সামর্থ্য। যার যতটুকু শক্তি। তাই নিয়েই লাগতে হবে।
রামকৃষ্ণ বলতেন, তবলার বোল মুখে বললে কি হবে? হাতে বাজাতে হবে। বাজাতে গিয়ে দেখছি, আসলে যতটা মুখস্থ হয়েছে, ততটা হতে বাজছে না। সুপ্রিমকোর্ট বকাঝকা করছে। এখন সত্যিই বড় দুঃসময়। গত বছর থেকে শিক্ষা পেলাম না। এবারে পারব কি?