সৌরভ ভট্টাচার্য
5 March 2022
সমস্ত বইমেলা জুড়ে না হয় প্রতিদিন অন্তত দু মিনিট করে নীরবতা পালন হোক,
সবাই দাঁড়িয়ে পড়ুক যে যার জায়গায়, স্থির।
স্তব্ধ অক্ষর বেচাকেনা।
শোকের জন্য না
নিঃশব্দ প্রতিবাদের জন্য,
এত কোলাহলে নিঃশব্দতাই একমাত্র অস্ত্র
আমাদের মত এলেবেলেদের
যেখানে নিউক্লিয়ার বোম অবধি গেছে পৌঁছে কথা
কিম্বা প্রতিটা বইয়ের, খাবার স্টলের সামনে লাগানো হোক ইউক্রেনের পতাকা
না, রাজনৈতিক কারণে না,
মানবিক কারণেই
বলতে, আমরা এই আন্তর্জাতিক প্রাঙ্গণে সত্যিই আন্তর্জাতিক!
এত এত বই
এত এত অক্ষর
এত এত বাক্য
এত এত রুচিশীল, সংবেদনশীল মানুষ
এভাবেই না হয় জানাক প্রকাশ্যে
হৃদয়ের ক্ষুব্ধতাকে,
একসঙ্গে, একত্রে সুর উঠলে
কোথাও মেঘ জমে
এ বিশ্বাস
এ নিতান্তই মূর্খ আবেগের দাবী
যুক্তির চুলচেরা বিশ্লেষণে যে লজ্জায় মুখ ঢাকবে
তবু এত বিধ্বংসী আর্তনাদে
এটুকু পাগলামী প্রশ্রয় দিতে ইচ্ছা হয় স্বপ্নের মত
পাগলের মত ধ্বংস করা যায়
আর পাগলের মত চীৎকার করে বলা যায় না -
আমি দেখছি...আমি দেখছি...আমি সব দেখছি...
আমি ধিক্কার দিচ্ছি...ধিক্কার দিচ্ছি...ধিক্কার দিচ্ছি....
সব চীৎকার ভোকাল কর্ড থেকে বেরোয় বুঝি!