Skip to main content
 
 
একটা বাচ্চা নৌকা। সমুদ্রকে বলল, আমি আসব? 
 
সমুদ্র বলল, এখন না।
 
ঝড় উঠল। পারে বাঁধা রশি গেল ছিঁড়ে। বাচ্চা নৌকা ভাসতে ভাসতে এসে পড়ল সমুদ্রে।
 
সমুদ্রের বুক আতঙ্কে আকুল। নৌকা ঘূর্ণীর আঘাতে এই ডোবে কি সেই ডোবে। নৌকা দু’হাত বাড়িয়ে দিল আকাশের দিকে। বাতাসের ঝাপটে হাল ভাঙল। পাল ছিঁড়ল। নোনা জলে ভরে গেল বাচ্চা নৌকার বুক।
 
নৌকা ভয়ার্ত স্বরে সমুদ্রকে বলল, আমি কি ডুবে যাচ্ছি?
 
সমুদ্র প্রবল একটা ঢেউ তুলল আকাশের দিকে, যার চূড়ায় তুলে নিল সে বাচ্চা নৌকাকে।
 
সমুদ্র বলল, জানি না ডুবে যাবে কিনা, তবে একবার একটা তারাকে ছুঁয়ে এসো। যদি ডুবে যাও আক্ষেপ থাকবে না।
 
আকাশে ভাসা উদাস পূর্ণচন্দ্র দেখল বাচ্চা নৌকার জল ভরা বুকে কালপুরুষের একটা তারার ছবি। টলটল জলে ভেসে।
 
নৌকা ডুবে গেল। ঝড় থেমে গেল। জলে ভেসে থাকল ভাঙা হাল আর ছেঁড়া পাল।
 
নোনতা বাতাসে সেদিন থেকে ভেসে বেড়ালো বাচ্চা নৌকার সমুদ্রে আসা আর তার তারা ছোঁয়ার গল্প। সমুদ্রের নোনতা দীর্ঘশ্বাসে লেগে থাকে একটা ছেঁড়া পালের টুকরো। যা আকাশে মেঘের সাথে প্রতি বছর আসে ভেসে। শরৎকালে।