Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

নিষ্ঠুর পরিহাস

বারবার খাদের মুখে দাঁড় করিয়ে দাও কেন?

অবশ ভয়ে না,
       ভালোবেসে

জেনে বুঝেও
  কি নিষ্ঠুর পরিহাস তোমার

নিঃসঙ্গতা

"আসলে আমায় কেউ চায় না

কেউ সত্যিকারের ভালোবাসে না
আমি একা, সম্পূর্ণ একা,
      নিঃসঙ্গ, অসহায়...
আহা রে, আমি বেচারা রে!"

ইহা একপ্রকার চোরাবালি বিশেষ!

        ইহার খপ্পরে একবার পড়িয়া, তাহা হইতে আপনাকে ত্রাণ করিতে পারিয়াছেন, এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম!

নিঃশব্দতার ভাষা

নিঃশব্দতার ভাষা যদি না বোঝো
    অভিধানের জঙ্গলে পথ হারাবে

এক গাছ থেকে অন্য গাছে
     উড়ে যাওয়া পাখি
           আকাশেই অলখ পথ আঁকে

নির্বাসিত প্রেম

নির্বাসিত প্রেম। সংসারের বাইরে সংসার। রাধার যেন আসতেই হত। সে যদি বলত, কৃষ্ণ, তুমি তোমার গৌর-নিতাই নিয়ে এগোও। বিশ্বে ধর্মপ্রচার করো, জগৎ উদ্ধার করো। আমার সেখানে কি কাজ বলো?

নির্দ্বিধায়

পরিচয়ের কি আছে?
এক চিলতে বুকে যতটা ভালোবাসা ধরে
জীবনের দাবি তার চাইতে অনেক বেশি

সংশয় রেখো না
দু'পলকের জীবনের যাবতীয় হিসাব
এক ফুঁয়ে ওড়ায় মৃত্যু

কিছু মানুষকে কালের হিসাবে চিনি তো বহুদিন
বলা যায় কয়েক যুগ
কিন্তু বুঝতে পারিনি একরত্তি

পরিচয়ে কি আসে যায়?

তুমি নির্দ্বিধায় এসো
যদি ফিরে যাওয়ার তাড়া না থাকে

নাগরিকত্বের অধিকার

নাগরিকত্বের অধিকার পেলেই মেলে বুঝি নগরের অধিকার ?

বন্দুকও তো একই শুনলাম
পাল্টা যুক্তি ফিরিয়ে দিতে বুলেট লাগে কেন?

নিক

নামতার মত মুখস্থ করা সংলাপগুলো
  আলনায় কাপড়ের মত সাজিয়ে একটু বসলাম।
লালার সাথে মিশে মিশে এখনও ভিজে,
     খানিক শুকিয়ে নিক।

মনের থেকে মন ছাড়িয়ে আগলা দিয়ে বসে
   সব ক্ষত তো মিলাবে না,
      তবু কিছু ক্ষত তো মিলিয়ে নিক।

নীল তিমির গ্রাস

"All happy families are alike; each unhappy family is unhappy in its own way"

        'Anna Karenina' র বিখ্যাত প্রথম লাইন। আমার কথাটা মাথায় এলো 'নীল তিমি' খেলার প্রসঙ্গে। তবে কি নিঃসঙ্গতাই এর কারণ? নিঃসঙ্গতার কারণ অনেক হতে পারে।

নীলতিমি

কিশোর-কিশোরীদের নীলতিমি। আর বড়দের গুরুবাদ। কোথায় যেন একটা মিল আছে।

নিয়ম - প্রজ্ঞা - সার্বজনীনতা

"Fibonacci সিরিজ শিখলাম" - আমার একজন কনিষ্ঠ বন্ধু কম্পিউটার ক্লাস করে আসার পর বলল। কি বস্তু সেটা? ১,১,২,৩,৫,৮...

নিজের মৃত্যুকে জাস্টিফাই করতে পারে!

কজন মানুষ আত্মহত্যার প্রাক্কালে এত স্থির, দৃঢ় সঙ্কল্পের সাথে নিজের মৃত্যুকে জাস্টিফাই করতে পারে! যদি নিরপেক্ষ আর প্রাক ধ্যান-ধারণা মুক্ত হয়ে শুনি, তবে শেষের কথাগুলো ভাবিয়ে তুলবার। সত্যিই বেঁচে থাকার অর্থ কি?

নিজেকে বাঁচান ঈশ্বর

আপনি আমার একটা একটা ভালোবাসার মুখে নুন দিয়েছেন শান্ত মস্তিষ্কে
    ঈশ্বর

আপনি আমার প্রতিবেশীর আর আমার বাড়ির মাঝে পাঁচিল তুলেছেন
    ঈশ্বর

আপনি জীবাণুর মত সংক্রামিত হয়ে অগুনতি মস্তিষ্কের পুষ্টিরসকে চুষে চুষে খেয়ে চলেছেন
    ঈশ্বর

নৈতিকতার উৎস

নৈতিকতার উৎস সহানুভূতি আর সহমর্মিতা। যার থেকে বিচ্যুতির ভয় মনুষ্যত্ব হারানোর ভয়, অমৃতত্ব হারানোর নয়। 

নৈর্ব্যক্তিক

তখন দৈনন্দিন সূর্যাস্তের সময়
পুবের অন্ধকার 
...

নববর্ষ

সবাই ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। এদিকে রাজামশাই কিছুতেই ঘুম থেকে উঠছেন না। মন্ত্রী দুধের গ্লাস নিয়ে দরজায় টোকা দিয়েছেন। সাড়া নেই। রাণীমা মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রসাদ আর কমপ্লান গুলে রাজামশাইয়ের দরজায় টোকা দিলেন, তাও সাড়া নেই।
....

নীল সাদা

        বকগুলো আকাশে উড়ছিল। আকাশের মা বারবার বারণ করছিল, উড়িস না, উড়িস না এখন, আমি এইমাত্র আকাশটায় নীলরঙ লেপেছি। তা কে কার কথা শোনে। সব বকগুলো ঝাঁক বেঁধে উড়তে শুরু করল। আকাশের কাঁচা নীলরঙ লাগল তাদের সারা গায়ে। তাদের ডানার দোলায় বিন্দু বিন্দু নীলরঙ এসে পড়তে শুরু করল মা

নাম রাখল - পুষ্প

        মনসার থানে পূজো দিতে গিয়ে মাথা ঘুরে রাস্তায় পড়ল পুষ্প। সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয়নি। পায়ুদ্বারে ক্যান্সার। সারা শরীর ছড়িয়েছে। চিকিৎসক জবাব দিয়েছে। বরের অবশ্য হাল ছাড়ার প্রশ্ন নেই, সে হাল ধরলই বা কবে। দুটো মেয়ে, ক্লাস এইটে আর সিক্সে পড়ে।

না

রাস্তা পেরিয়ে ওই যে দূরে যে বটতলাটা, ওই যে দূরে কাশের ঝালর, বহুকাল আমি ওই দিকেতে চাই না। আমার শিউলি গাছে বাজ পড়ল যেদিন, সেদিন থেকেই যাই না। নতুন জামা, নতুন গোছানো ঘর, নতুন কত কিছুই, তাকাই না। আকাশে শরৎ, ফুলেতে শরৎ, রাস্তাঘাটে শারদোৎসব, সাড়া আজ আর দিই না। আলো, আওয়াজ ঠেকিয়ে রাখি বার দুয়ারে। আমার ঘরের কোণে সাদ

নানান ঘোরে তুফান তোলে

        দর্শন শুষ্ক, অনেকে বলেন। যদিও আমার কাছে আজ অবধি তা মনে হয়নি কখনও। নিজেকে জানার, নিজের বাইরে ভিতরে আসা যাওয়া করার এর থেকে ভালো পথ আর দেখি না। প্রতিটা অনুভবের একটা ছায়া থাকে। সে ছায়ার থেকে সরে দাঁড়িয়ে যদি কিছুক্ষণ নিবিষ্ট চিত্তে সেই ছায়ার দিকে তাকিয়ে থাকা যায়, ত

নিত্য শিব সুন্দর

ভক্ত শুনিয়াছে
  মহাকাল, দিয়া আপন মন্দিরে দ্বার
        বসিয়াছেন তপস্যায়

ভক্ত চিত্ত ধৈরয না মানে
   উৎসুক নয়নে চাহি দ্বার পানে
           প্রভুর করুণ দৃষ্টিভিক্ষা অপেক্ষায়

নির্বাসিত


মস্তিষ্ক থেকে দূরে থাকতে চাইছি খানিকক্ষণ
বুকের পাঁজরের উপর 
    শামুকের মত গুটিয়ে শুয়ে থাকতে চাইছি 

ন্যায় আমাদের নীতিগত না ধর্মগত

        ন্যায় আমাদের নীতিগত না ধর্মগত। ধর্ম আমাদের বিবেকগত না, আচারগত। আচার আমাদের বিজ্ঞানগত না, অতীত ঐতিহ্যগত। তাই মারতে বা মারের হয়ে সাফাই গাইতে আমাদের অসুবিধা হয় না। আমাদের অবচেতন জুড়ে হাজার বছরের আচারের ভরবেগ, আমি থামাতে চাইলেও থামবে কেন? 

নষ্ট

        নীলেশ কয়েকবার কৃষ্ণনাম গেয়ে দাঁড়িয়ে থাকল এক-দু'মিনিট। কেউ বাইরে এলো না। নীলেশ উঠোনের গেটটা আটকে আরেকবার রাস্তা থেকেই বাড়ির ভিতরের অন্ধকারটায় দৃষ্টি হাতড়ে হাঁটতে শুরু করল। সব বাড়ি যায় না। দরজায় দাঁড়িয়েই বাড়ির ভিতরের অবস্থা বুঝতে পারে নীলেশ। অভ্যাস হয়ে গেছে। ফুটো ছাতাটা মাথার উপর ধরে হাঁটতে হাঁটত

নিরাশ্রয় চোখদুটো

নিরাশ্রয় চোখদুটো তুলে বললেন, ও মারা যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে গিচি, ছেলেটা বাইরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, শুনেছেন হয়ত।
নিরাশ্রয় নিঃসঙ্গ চোখ দুটো তুলে বাড়িটা দেখালেন, বাড়ির কাজটা সম্পূর্ণ করচি। ওর ইচ্ছা ছিল দোতলার। সাইকেলে ঝোলানো ব্যাগে তরকারি। বললাম, এই দুপুরে বাজার?
শুধু এই রবিবারটাই করি। ওতেই হপ্তা চলে যায়। ছেলেটা আসলে অবিশ্যি...একলা ফেলে চলে গেল..কাল ঢালাই... শরীর ভেঙেছে। চশমাটা নাকের গোড়ায়, মোছা হয় না। প্যান্টটা কোমর থেকে নীচে নেমে যাচ্ছে বারবার। তুলে নেওয়া অভ্যাস হয়ে গেছে।
...

নেমন্তন্ন


       (কিছু ঘটনা শোনার পর থেকে বিঁধে থাকে, যতক্ষণ না ভাষায় জন্মায়)

নোনতা

        আজও কাজে যায়নি। যাবে কি করে, কাজ হলে তো যাবে? সন্ধ্যা কাজে যাওয়ার সময় দেখল মাঠটা পুরো জলে ডোবা। যা বৃষ্টি ক'দিন ধরে পড়ছে, এত জল, বাপ রে! বিষ্ণু'র কাজ তো এই মাঠের থেকে মাটি কেটে লরি ভরতি করা। অত মাটি যায় কোথায় কে জানে? 

নিজেকে সাজিয়ে


নিজেকে সাজিয়ে
   পরিপাটি করে আনা যেত

আনিনি

ঘাসের শিকড়
   মাটি ছাড়া করে তুলিনি

নজরুল - প্রাসঙ্গিকতা - কিছুকথা

আমার ছোটোবেলায় যখন ক্যাসেটের দোকানে যেতাম তখন ক্যাসেটের সারিতে কয়েকটা নজরুলগীতির ক্যাসেট থাকত – পূরবী দত্ত, ফিরোজা বেগম, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী সেন, ড: অঞ্জলি মুখোপাধ্যায় ইত্যাদি। কিন্তু আজ যখন সিডির দোকানে যাই সেই অর্থে নজরুলগীতির সিডি প্রায় চোখেই পড়ে না।

নিভৃত



====
নিভৃত জীবন
         গোপনীয় নয়
                একান্ত ব্যক্তিগত


====
তোমার নিজস্ব হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা আছে

          আমারও আছে

নতুন ফিতে

রামশংকরের সকালবেলায় উঠেই আজ প্রথম নিজেকে ভালো লাগল। এর আগেও অনেকে তাকে বলেছে। অনুভব করতে পারেননি। আজ একটা শালিখ পাখির মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মনে হল তিনি আসলে একজন ভালোমানুষ। তারপর রামশংকরবাবু অনেকক্ষণ বিছানা থেকে নামলেন না। খাটের বাঁদিকে নীচে দুপাটি চটি রাখা।
...

নেব অন্য কোনোদিন

সময় ঘর বদলে যায়।
পরিত্যক্ত ঘরের চাবি হাতে দিয়ে সে জিজ্ঞাসা করে আমায়, রাখবে?

আমি ঘরটার দিকে তাকিয়ে বলি, না।

সময় চাবিটা পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে বলে, বেশ।
...

নীড়ছাড়া বৈরাগী

হেঁটে আসা কাঙ্ক্ষিত পথ
  অবশেষে বলল
  "এবার বুঝলে তো, নিঃস্বতা অবশ্যম্ভাবী"
...

নির্বাচন

গপ্পোটা নাকি এরকম ছিল। জনতাকে নেতা নির্বাচন করার জন্য দুজনের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নিতে বলা হয়েছিল। একজন ছিল মনোহারি দোকানের দোকানি। অপরজন ছিল একজন চিকিৎসক।
...