Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

নেশা

তোমার নেশা - ভালোবাসার আগুন।
     তুমি জ্বালানী খোঁজো এ বন, সে বন।

কাঠুরের মত বাগানে ঢোকো সন্তর্পণে
     শিকারীর লালসায়
          জ্বালানী কাঠের জন্য।

আমি ডালে ফোটা ফুল দিতে গেলাম।
নিলে না। ফুল মাটিতে পড়ল লুটিয়ে।
বললে, ডালটা দাও, শুকিয়ে।
আগুন জ্বালব।

না হয় না

এমন অন্ধকার হয় না 
যে তারাদেরও দেখা যায় না

নীলিমায় নীল

গভীর জঙ্গল। সেই জঙ্গলের মধ্যে একটা নীলপদ্ম ফুটে। এই জঙ্গলে নীলপদ্ম বিশেষ একটা ফোটে না। সবাই ভাবল, এ কিরকম ফুল? কেউ দেখল সন্দেহে, কেউ দেখল ঈর্ষায়, কেউ দেখল তাচ্ছিল্যে। পদ্ম চুপ করে থাকে। কাকে বলবে সে? আর কি-ই বা বলবে?

নাম

মালীটা প্রতিটা ফুলের গায়ে নিজের নাম লিখে রেখেছিল গোপনে

কেউ জানত না

প্রজাপতি না, বাতাস না, মাটি না।

জানত শুধু মালী
  আর ফুল

নাই বা হল পারে যাওয়া

এটা প্রবন্ধ হয়ত না। গল্প তো নয়ই। চারদিকে ব্যক্তিগতজীবনগুলো যখন ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে দেখি, খুব কষ্ট পাই। কিছু করার তো ক্ষমতা নেই, জীবিকা সামলে, যেটুকু পারি লিখতে চেষ্টা করি সারাদিন। অনেকে কথা বলতে চান, আমার ইচ্ছা থাকলেও শরীর আর সময়ে কুলায় না। খারাপ লাগে বুঝি। আমারও লাগে। উপায় নেই যে।
...

নারীবাদ আর স্বচিন্তা

আচ্ছা নারীবাদ বলতে কি, এক বিশেষ প্রকার যৌনতন্ত্র বিশিষ্ট, ইস্ট্রোজেন-প্রোজেস্টরণ কবলিত এক প্রকার প্রাণীকূলের কথা বোঝায় না মানবতার একটা বড় অংশকে বোঝায়?

নীল দেওয়াল

তখন অনেক রাত। কোণের প্রদীপটাও অন্ধকারের বুকে একা রেখে যাবে মনে হচ্ছে। বিশ্বাসঘাতকতা করবে - ওর আলো দেওয়ার কথা ছিল। অন্ধকারের জাল কেটে একটু বসার জায়গা বানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল।

নারী নাকি সমাজ?


মেয়েটার স্বামী ফুলশয্যায় মদ্যপ হয়ে এলো। গরীব হলে এমন হয়। সমাজ উদাসীন।
সংসারের জোয়াল মেয়েটার ঘাড়ে। স্বামী মাতাল, উদাসীন। পরিবার উদাসীন। পাড়া উদাসীন। সমাজ হাই তুলে সমাজোদ্ধারকদের সাথে ঘোরে, শিথিল পায়ে।

না হতেও তো পারে

হতে পারে তুমি আমার উপর নারাজ
রাস্তাটা আধমাইল কেন
   এক পাও হাঁটতে তোমার ইচ্ছা নেই
হতে পারে তোমার ভোরের স্বপ্ন ভাঙিয়েছি আমি

নতুন নিয়ম (Bible)

বইমেলায় গিয়ে অনেকে অনেক বইয়ের কথা লিখছেন, ছবি দিচ্ছেন।
কিন্তু একটা বই যে বিনি পয়সায় দিচ্ছিল সে কথা তেমন কাউরে লিখতে দেখলাম না।

নেই?

দৃষ্টিতে নেই, স্পর্শেতে নেই বলেই কি নেই?

    মিথ্যে কথা!

এই যে ঘড়িটা, 
   নিছক একটা যন্ত্র মাত্র

সময় কি ওর কাঁটায়?

এবার বলো, সেকি নেই?

নির্মেদ

ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার পর বুঝলেন
ওই অঙ্গটার অন্য একটা প্রচ্ছন্ন পরিচয় ছিল
তাঁর পুরুষসঙ্গীর প্রেমের নিলয় শুধু নয়
তাঁর অধুনা যুবক সন্তানের পরিত্যক্ত খাদ্য ভাণ্ডার শুধু নয়

নীলপাখী

সকাল সাড়ে ৭টা। সমীর এই সময়টা এখন ছাদে এসে বসে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। ঠাণ্ডাটা মোটামুটি। খুব একটা লাগছে না। হালিসহরের এদিকটায় তত ঘনবসতি এখনো হয়নি। চারদিকটা বেশ সবুজ। কুয়াশামাখা রোদের আলো, ঠাণ্ডা হাওয়া
...

নিরাপত্তা

...তখন কলেজ পাস করেছি। নানান পরামর্শ নানান দিক থেকে। এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে যাতে করে ভবিষ্যতটা নিরাপদ হয়। সেই থেকে শব্দটা কানের কাছে, মাথার অলিতে গলিতে পাক খেয়ে খেয়ে ঘুরে বেড়াতে লাগল - 'সিক্যুরিটি' চাই, সিক্যিওর লাইফ চাই। শব্দটা আমায় ঘিরে ততক্ষণে একটা বড় ধরণের পাঁচিল তৈরি করে ফেলেছে। ...

নেই

হয় তো হারিয়েছো
  অস্বীকার করছি না

নিরুত্তর ভালোবাসা

”কেউ যখন বুঝে যায় না স্যার, যে তার উপর আমার দুর্বলতা আছে, অমনি সে ঘ্যাম দেখাতে শুরু করে। ভালো করে কথা পর্যন্ত বলে না। কথায় কথায় অপমান করে, জানে তো উল্টে আমি কিছু বলব না তাকে..."

নির্জন অর্গাজম

অর্গাজমে পৌঁছালে সবাই একা
   শরীর থেকে মুখ ফিরিয়ে
তুষ জমা নীড়ের ভিতর ফিরে আসা

রাতের অন্ধকারে কয়েকটা জোনাকি
    ওরা পথ দেখিয়ে নিয়ে চলেছে যুগযুগান্ত ধরে
          তোমার আমার খিদেকে
ফ্রীজে রাখা বাসি মাংসের দিকে
     রান্না না হলে বাসি হয় কিছু?

নোনতা কমলালেবু

এটা কবিতা না তো
   একটা কমলালেবু। তুমি দাঁড়াও,
  আমি একটা একটা কোয়া ছাড়িয়ে তোমার হাতে দিই,
      তুমি খাবে কি না খাবে, তা শুঁকে দেখে ঠিক কোরো ...

নীলাচলে তিনদিন

শেষ মুহুর্তটায় তো মনে হচ্ছিল আর বুঝি যাওয়াটাই হল না। টাকা কই? সব তো পাঁচশো আর হাজারের নোট। তবু শেষরক্ষা হল। যাওয়ার আগের দিন ব্যাঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করে টাকা কিছুটা যোগাড় করা গেল। ...

নবমী

রাস্তার ধারে বসে আছে পাগলীটা। তাকে ঘিরে মাছি ঘুরছে ভনভন করে। কালো মোটা বোঁচকাটায় পিঠে ঠেসান দিয়ে আছে মল্লিকদের বাড়ির রকে। সামনে চলেছে লোকের বান। পাগলী আলোর খেলা দেখছে মুখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। হঠাৎ কানখাড়া করে কি শুনতে লাগল। মাইকে হারিয়ে যাওয়া মানুষদের ঘোষণা চলছে। তাদের পার্টি অফিসের সামনে দেখা করতে বলছে। পাগলী চুল পাকাতে পাকাতে শুনছে মন দিয়ে। চোখে মুখে উদ্বিগ্নতা। তার চোখে রাস্তায় লাগানো আলোর ঝলকানি।

নিয়তি

এমন তো নয় আমার গলার শিরাগুলো ফেটে রক্তগঙ্গা বয়ে হয়ে গিয়েছি রক্তশূন্য 
এমন তো নয় পৃথিবীর শেষ বিচারের দিন ঘোষণা হয়ে গেছে
এমন তো নয় ব্যালেট বাক্সে আমার হাত পড়বে না আর কোনোদিন
এমন তো নয় তোমার হুঙ্কারের কম্পনে রিখটার স্কেল পর্যন্ত ভেঙে গেছে
...

নীরবতা

খানিক চুপ করে থাকলেও তো পারতে
ভুলে যাও কেন 
...

নীরবতা - আত্মশুশ্রূষা

বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আলোকিত করেও আমার দোরগোড়ায় আলো করার মত আলো কম হয় না। প্রতিটা প্রাণী-উদ্ভিদ এই কথাটাকে তার প্রাপ্য হিসাবে এমন করে জানে যে সে নিয়ে তাদের সংশয় হয় না।
...

নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ

বিস্ময়ের সীমারেখা ছাড়ালে এক ধরণের বিস্ময় জন্মায়। তাকে কি বলে আমার জানা নেই। পড়েছি এই বইটা তিনি আঠারো বছর বয়সে নিজের মানসলোকে অঙ্কুরিত হতে দেখেন। কিন্তু সে অঙ্কুরকে একটা বৃক্ষরূপে দেখার জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হয় আরো কুড়িটা বছর।
...

নিশানা

তুমি এলোপাথাড়ি গুলি চালালে 
বাঁচতাম হয়ত বা
   মরতেও পারতাম, 
      অথবা আহত হতাম
...

নারী দিবস?

বিশ্বাসঘাতকতা পাপ না অপরাধ – জানি না। তবে বিশ্বাসঘাতকতায় বহু মানুষকে মানসিক ভারসাম্য হারাতে নিজের চোখে দেখেছি। খুব কাছ থেকে দেখেছি। আমার মনে হয়, একটা মানুষকে এর থেকে গভীরে আহত করার বোধহয় আর কোনো উপায় নেই।
...

নিউজ চ্যানেল

নিউজ চ্যানেলগুলো দেখে আশঙ্কা কচ্চি, তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা হবেনি তো!... স্ক্রীণে মিউট করে চলবে তাঁর নাচ গানের দৃশ্য, আর শুভলক্ষী গাইবেন, মেরে তো গিরিধর গোপাল.... অবশ্যই শুধু তানপুরা সহযোগে... আসমুদ্রহিমাচল কেঁদে কেঁদে মুচ্ছা যাবে...

নগ্নতা

আমি নগ্নতার গভীরে ছিলাম
  তুমি আমার নগ্নতাকেই ঐশ্বর্য ভাবলে
...

নিঃশব্দে

নিঃশব্দে তাকিয়ে ছিলে
  কথাই তো দিয়েছিলে
...

নিজেকে

নদীটার সামনে যে পাহাড়
   তার বিপরীত দিকে যাইনি কোনোদিন
প্রতিদিন নদী থেকে খাবার জল ভরে
   স্নান সেরে, শৌচকর্ম সেরে ফিরে গেছি বাড়ি
...

নির্বাণ

অস্তিত্বের অর্থহীনতা যখন পাপোশে শুয়ে 
থাকা বেড়ালের মত রোদ পোয়াচ্ছে
  তখন সব গভীরতাই অন্ধকার
    সব ব্যঞ্জনবর্ণ দূরে দূরে
...

নববর্ষ

কিন্তু তবু নববর্ষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ। হলই না হয় ম্লেচ্ছদের নতুন বছর। তবু ইহাই আমাদিগের নববর্ষ। বামুনে যাই বলুক। বঙ্গাব্দ সরকার মানে না। কণিষ্কব্দের ক্যালেন্ডার মেলে না। আরো কি কি সব অব্দের কথা ইতিহাসে মুখস্থিয়েছিনু, এহন মনে নাই।
...

নিজের হৃৎপিণ্ডটা

এমনই একটা ভোরের অপেক্ষায় বেঁচে আছি
   এক হাতে নিজের হৃৎপিণ্ডটা আগলে
                আরেক হাতে তোমায়

(ছবিঃ সমীরন নন্দী)