সৌরভ ভট্টাচার্য
23 July 2018
নিরাশ্রয় চোখদুটো তুলে বললেন, ও মারা যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে গিচি, ছেলেটা বাইরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, শুনেছেন হয়ত।
নিরাশ্রয় নিঃসঙ্গ চোখ দুটো তুলে বাড়িটা দেখালেন, বাড়ির কাজটা সম্পূর্ণ করচি। ওর ইচ্ছা ছিল দোতলার।
সাইকেলে ঝোলানো ব্যাগে তরকারি। বললাম, এই দুপুরে বাজার?
শুধু এই রবিবারটাই করি। ওতেই হপ্তা চলে যায়। ছেলেটা আসলে অবিশ্যি...একলা ফেলে চলে গেল..কাল ঢালাই...
শরীর ভেঙেছে। চশমাটা নাকের গোড়ায়, মোছা হয় না। প্যান্টটা কোমর থেকে নীচে নেমে যাচ্ছে বারবার। তুলে নেওয়া অভ্যাস হয়ে গেছে।
বাড়ির ভিতর ঢুকে গেলেন। মেঘলা রবিবারের নির্জন রাস্তা। অবিশ্বাসী মৃত্যু।
পুরুষ নিঃসঙ্গতার সাথে বোঝাপড়ায় দুর্বল, কোনোদিনই জিততে পারে না। তার লাগে নারী হৃদয়ের আশ্রয়। নয়ত ঈশ্বরে অথবা নেশায় নিজেকে ভোলায়। নয় গৃহহীন সারমেয়ের মত সংসারের আনাচাকানাচে একটু আশ্রয় খুঁজে মরে, বাইরের হম্বিতম্বি তো শৌখিনতা।