গপ্পোটা নাকি এরকম ছিল। জনতাকে নেতা নির্বাচন করার জন্য দুজনের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নিতে বলা হয়েছিল। একজন ছিল মনোহারি দোকানের দোকানি। অপরজন ছিল একজন চিকিৎসক।
তর্কসভার আয়োজন হল। দোকানি গলা খাকারি দিয়ে বলল, ওহে জনগণ, এই পাজি উল্লুক চিকিৎসকে কে না চেনে। এ মানুষকে এটা সেটা খেতে বারণ করে। তাদের কেটে ছেঁটে যন্ত্রণা দেয়। তেতো দুর্গন্ধ জিনিস ওষুধ বলে খাওয়ায়। এদিকে আমাকে দেখো, তোমরা যা চাও, যেমনটি খেতে চাও, পরতে চাও, দেখতে চাও..আমি সব দিয়ে থাকি। ভবিষ্যতেও দেব। এবার বলো, তোমাদের নেতা হিসাবে কাকে বেছে নেবে? আমার মত একজন উদার নরম প্রিয় রসিক মানুষকে? না ওই হতচ্ছাড়া ছুঁচো পাজি 'এটা কোরো না, সেটা কোরো না' বলা, যন্ত্রণা দেওয়া রূঢ় নীরস লোকটাকে?
চিকিৎসক বোঝাতে চেষ্টা করল, সে যা করে তা মানুষের মঙ্গলের জন্যেই করে, যদিও আপাত দৃষ্টিতে তা সাময়িক যন্ত্রণারই, তবুও আখেরে তাতেই মঙ্গল। কিন্তু হইহট্টগোল ডামাডোলে কেউ কিছু শুনলই না। কয়েকজন বুদ্ধিমান বিবেচক মানুষ জনতার মধ্যে থেকে চিকিৎসকের পক্ষে মাথা নাড়ছিল বটে, কিন্তু তারাও স্রোতের টানে ভেসে চলে গেল।
জয়ী হল সেই মনোহারি দোকানের দোকানি।
এ গপ্পোটা সক্রেটিসের নামের সাথে জড়িয়ে। বলা হয় উনিই নাকি বলেছিলেন এ কথা। আজ কেন জানি গপ্পোটা মনে পড়ল। ভোট দেওয়া তো শুধু বোতাম টেপা নয়, বিবেচনাও দরকার। তার জন্যে চাই উপযুক্ত শিক্ষাও। এমনই একটা কিছু হেমলক নিবেদিত প্রাণ মানুষটার ভাব ছিল। জুতো সেলাই থেকে রকেট উড়ানো - যোগ্যতার একটা মাপকাঠি আছে বইকি। বলি দেশ চালানোতেও তেমন একটা মাপকাঠি হলে হয় না? আমি না, উনি বলেছেন, রিপাব্লিকে। ঠিক এইটাই না, এমনটাই আর কি। জয়গুরু।
গপ্পোটা নাকি এরকম ছিল। জনতাকে নেতা নির্বাচন করার জন্য দুজনের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নিতে বলা হয়েছিল। একজন ছিল মনোহারি দোকানের দোকানি। অপরজন ছিল একজন চিকিৎসক।
তর্কসভার আয়োজন হল। দোকানি গলা খাকারি দিয়ে বলল, ওহে জনগণ, এই পাজি উল্লুক চিকিৎসকে কে না চেনে। এ মানুষকে এটা সেটা খেতে বারণ করে। তাদের কেটে ছেঁটে যন্ত্রণা দেয়। তেতো দুর্গন্ধ জিনিস ওষুধ বলে খাওয়ায়। এদিকে আমাকে দেখো, তোমরা যা চাও, যেমনটি খেতে চাও, পরতে চাও, দেখতে চাও..আমি সব দিয়ে থাকি। ভবিষ্যতেও দেব। এবার বলো, তোমাদের নেতা হিসাবে কাকে বেছে নেবে? আমার মত একজন উদার নরম প্রিয় রসিক মানুষকে? না ওই হতচ্ছাড়া ছুঁচো পাজি 'এটা কোরো না, সেটা কোরো না' বলা, যন্ত্রণা দেওয়া রূঢ় নীরস লোকটাকে?
চিকিৎসক বোঝাতে চেষ্টা করল, সে যা করে তা মানুষের মঙ্গলের জন্যেই করে, যদিও আপাত দৃষ্টিতে তা সাময়িক যন্ত্রণারই, তবুও আখেরে তাতেই মঙ্গল। কিন্তু হইহট্টগোল ডামাডোলে কেউ কিছু শুনলই না। কয়েকজন বুদ্ধিমান বিবেচক মানুষ জনতার মধ্যে থেকে চিকিৎসকের পক্ষে মাথা নাড়ছিল বটে, কিন্তু তারাও স্রোতের টানে ভেসে চলে গেল।
জয়ী হল সেই মনোহারি দোকানের দোকানি।
এ গপ্পোটা সক্রেটিসের নামের সাথে জড়িয়ে। বলা হয় উনিই নাকি বলেছিলেন এ কথা। আজ কেন জানি গপ্পোটা মনে পড়ল। ভোট দেওয়া তো শুধু বোতাম টেপা নয়, বিবেচনাও দরকার। তার জন্যে চাই উপযুক্ত শিক্ষাও। এমনই একটা কিছু হেমলক নিবেদিত প্রাণ মানুষটার ভাব ছিল। জুতো সেলাই থেকে রকেট উড়ানো - যোগ্যতার একটা মাপকাঠি আছে বইকি। বলি দেশ চালানোতেও তেমন একটা মাপকাঠি হলে হয় না? আমি না, উনি বলেছেন, রিপাব্লিকে। ঠিক এইটাই না, এমনটাই আর কি। জয়গুরু।