Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

তবে দাঁড়ালোটা কি?

তবে দাঁড়ালোটা কি? ওমিক্রনে ভয় পাওয়ার যোগ্যতা আমার আছে কি নেই?
     সেখানের ডাক্তারেরা বলছেন, ভয় পাবেন না, আপাতত রোগের প্রকোপ তেমন কিছু না। হু বলছে, প্যানিক করবেন না, সাবধানে থাকবেন, এই বলেই তেদ্রোস কাকা আবার চশমাটা উপরে ঠেলে গম্ভীর মুখে বলল, সামনে পৃথিবীর খুব দুর্দিন। হে হে, সে বলতে কি আর তেদ্রোসকে লাগে? কথা হচ্ছে ব্যাটা কেমন জানি একটা ইনফরমেশান আতঙ্কবাদী হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা বলে তার যেন দুটো মানে হয়, এ যেন রায়গুণাকর ভরতচন্দ্রের কবিতা। "কোন গুণ নাই তার কপালে আগুন"। দুটো মানে হয় না? আমাদের বাংলার স্যারেরা ধরে ধরে বুঝিয়েছিলেন তো। কাব্য চর্চা থাক। ভাইরাস চর্চায় আসা যাক।
তো মোদ্দা কথাটা হল আপাতত যা জানা গেছে, তা হল ---

তপস্বীনী কন্যা

সংসারে সবাই তো আর অতশত কপাল করে জন্মায় না যে একটু ফুর্তি করে, গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াবে। না, মানে, পড়াশোনার গল্প মানেই তো সেই এক বিদ্যাসাগর মশায় স্ট্রিটলাইটের তলায় পড়েছিলেন, টিকি বেঁধে শুতেন এই সব কথা খালি। সে সব পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পুরোনো কালের কথা। কিন্তু এই যে একজন মানুষ, যার কিনা খোদ মাসির বিয়ে, সে কিনা হাতে মেহেন্দি লাগাতে লাগাতে পড়াশোনা করছে, সেও আবার অনলাইনে, মানে আরকি পড়াশোনা করতে করতে মেহেন্দি লাগাচ্ছে, এমনটা কে কবে দেখেছে? পায়ে আলতা, হাতে মেহেন্দি, সামনে মোবাইল স্ট্যাণ্ডে মোবাইল, মোবাইলের স্ক্রীনে দিদিমণি, চারদিকে আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশীর হইচই, এর মধ্যে কিনা মেয়েটা পড়েই যাচ্ছে, পড়েই যাচ্ছে, পড়েই যাচ্ছে

তোমার নাম 'অসুবিধা'

আমি তোমার নাম দিলাম 'অসুবিধা'। আমার কলেজের দিন শেষ। আমি চিনছি জীবন। তুমি তখন সেকেন্ড ইয়ার। আমাদের এক কমোন বন্ধু নিয়ে এলো তোমায় একদিন। জৈব রসায়নের একটা জটিল বিষয়ে তুমি আটকে। আমিই নাকি পারব তোমায় দিতে সমাধান। দিলামও। তুমি তাকিয়ে থাকলে। আমার প্রথম অনুভব হল আমার অসুবিধা হচ্ছে। তুমি তাকালে আমার অসুবিধা হচ্ছে। এ অসুবিধা সুবিধার চেয়ে সহজ, কিন্তু সুবিধার চেয়ে তীক্ষ্ণ।
          এরপর অবধারিত ভাবেই আবার যোগাযোগ হল। বুঝতে দেরি হল না তুমি আমার অসুবিধার কথা বুঝে গেছ।
...

ত্রিযামা ও জগদ্ধাত্রী

"আমি এখন তোমায় অল্প অল্প বুঝতে পারছি"

            "তাই হয়, আমারও বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর মনে হত তোর দিদাকে অল্প অল্প করে বুঝতে শুরু করলাম। এখন আরো বেশি বেশি মনে হয়। তোর দিদার সারাদিনের টুকিটাকি ঘটনা, এই যেমন ধর রান্নাঘরে রান্না করতে করতে বাসনগুলো মেজে ফেলা, উনুনে আঁচ দিয়ে সামনে বসে উদাস তাকিয়ে থাকা, অঞ্জলি দিতে গিয়ে চোখে জল আসা, আমাদের বকার ঝাঁঝে কিছু অপ্রিয় সত্যি বলে ফেলা, আবার সেগুলো ঢাকার চেষ্টা করা…. কত কি…."
...

তুমিই সেই পরমসুন্দরী

কথা হল এমন একটা জায়গায় গিয়ে তো দাঁড়ানোই যায় যেখানে মাস্কহীন হতে মনে বেশি সংশয় জাগবে না। এমনিতে আমার দুর্গাপুজো মানেই ঘরের কোণে নতুন বই নিয়ে সেঁধিয়ে যাওয়া। ছোটো ছিলাম যখন ছিল নানা পূজাবার্ষিকী, এখন হল নানা অন্য ধরণের বই।

তাড়িয়ে দিলেও

বুড়ি কলে মুখ ধুয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল, বোঁচকাটা বগলদাবা করে। পুরোহিত আটকালো। বলল, বুড়ি এই যে তুমি মন্দিরে রোজ দুপুরে আসো, ভোগ খাও, চলে যাও...

    বুড়ি তাকে থামিয়ে বলল, কেন? আমি তো দশটাকা দিয়ে কুপোন কাটি। অবশ্য রোজ কাটতে হয় না। এক একদিন এমনি এমনিও ভোগ দেয়.... কিন্তু কেন জিজ্ঞাসা করছেন?

তাই রে, তাই রে, তাই রে না

কি গাড়ি? 
কেমন জোর?
চাপা দিল? চালিয়ে দিল?
আরে বাহ, আরে বাহ
কি কলিজা, কি কলিজা
পিষে দিল? 
এক্কেবারে হাড়গোড় সব গুঁড়িয়ে দিল?
আরে বাহ, আরে বাহ

চাকায় নাকি রক্ত লেগে?
রাস্তা নাকি রক্তে ভিজে?

তুমিই আমার সব

তোমায় কৃতজ্ঞতা জানাতে সংকোচ হয় 

নদী কি জলের কাছে কৃতজ্ঞ থাকে? 

তোমায় কৃতজ্ঞতা না জানালে
 নিজেকে অকৃতজ্ঞ লাগে

মাটির প্রদীপ কি 
   জ্বলাপোড়া শেষ হলে
      মাটির বুকে ফিরে বলে না -
               তুমিই আমার সব!

তফাৎ যাও

কথা বলি না

শব্দ উচ্চারণ করি
শুনি
ব্যস, ওইটুকুই

কথা বলি না
ছেঁকে নিয়ে জমিয়ে রাখি শব্দ
কিছুটা আলোয়, বেশিটাই অন্ধকারে
কখন কোনটা দরকার লাগে
   জাল দিয়ে ফুটিয়ে রাখি শব্দ
                    গোপনে

তবু বারবার

ব্যথা তোমার
    আমার তো নয়

তবু বারবার 
    ফিরে ফিরে আসি
          মনে বাসি ভয়

তোমায়

ধরো ঘটেই গেল পরজন্ম
সময় এসে দাঁড়ালো ফর্দ হাতে

তুমি তো

তুমি তো আগন্তুক নও। তবু দেখো, আমি দরজা জানলা এঁটে এমনভাবে রয়েছি যেন তুমি ফিরে যাবে আমায় না পেয়ে খোলা দরজায়। 

তুমি তো অনাহূত নও। তবু দেখো, আমি তোমার থাকার আয়োজন না করে এমন নির্বোধ সেজে আছি, যেন তুমি ফিরে যাবে বিনা আপ্যায়নে। 

তুমি অস্থির হও

তোমার সাবধানতা
    তোমার হৃদয় আগলে দাঁড়িয়ে থাকে অহর্নিশি 

কখনও হৃদয় ঘুমিয়ে পড়ে অসময়ে
 কখনও বা সে ছেলেমানুষী বায়নায়
         উত্যক্ত করে 
           হিসেবী-বুদ্ধি প্রহরীকে

তুমি অস্থির হও

হবেই তো

তেদ্রোস

খালি খালি হু এর পেজে আপডেট দেখছি। তেদ্রোস মুখটা ভেটকে আবার না বলে বসে,

তবু শুধু ছুটতে হবে বলে

আসলে এখন কোনো বিশেষ মৃত্যু নেই। এখন মৃত্যু মানে শুধুই শোক নয়। মৃত্যু মানে ক্ষোভ। আতঙ্ক। আস্থাহীনতা। কোথায় পা রাখবে মানুষ? মাটি বদলে যাচ্ছে। বাতাস বদলে যাচ্ছে। আকাশের রঙ বদলে গেছে। এত এত পুঞ্জীভূত অন্ধকার জমেছিল কেউ টের পাইনি আগে। এখন সেই অন্ধকার হাতড়ে হাতড়ে চেনা রাস্তায় ফেরার চেষ্টা করছি সবাই। তাই কি হয়?

তোমাতে আমাতে

তোমাতে আমাতে কবে আবির খেলা হল?

   কবে আর রঙ গোলা হল একসঙ্গে? 

দোলের পূর্ণিমায়
    নিঃসঙ্গতায়
        তুমি, আমি 
            আর ওই বাড়াবাড়ি রকমের চাঁদ

তুমিও হও তুমি

তুমি কবিতা লিখে পাঠিও
   শব্দের নির্বাচন 
       ঠিক হোক না হোক
তোমার অনুভবটুকু হোক খাঁটি

নিঃশব্দ চোখ 
যদি এত গভীরে পুড়িয়ে যেতে পারে
তোমার অসম্পূর্ণ ভাষাতেও 
               পুড়ে যাব আমি

তুমি ঠিক, আমিই ভুল

পাখি নদীর বুকে ভাসা কাঠে বসল। রাত যায়, দিন যায়। সে কত গল্প করতে করতে চলল। কিন্তু যতই নদী বলে, আর বারোদিন, আর ন'দিন, আর চারদিন... এই তো এসে
গেল সমুদ্র, ততই পাখির মন খারাপ হয়। নদী বুঝতে পারে না। একদিন যখন নদী বুঝল তার বুকে মিশছে নোনাজল, সে পাখিকে বলল, আর কিছুক্ষণ, এই এসে গেলাম আমরা সমুদ্রে!

তুমি না

তুমি না

আমি বিশ্বাস করেছি
তুমি এলে আমি ভালো থাকব
তুমি না
আমি এই বিশ্বাসকে লালন করেছি
স্বপ্নে, প্রশ্রয়ে, আদরে

তারিখ তর্জা

ভদ্রেশ্বর স্টেশানে বসে আছি। ভরা গ্রীষ্মের দুপুর। কুলকুল করে ঘামছি। চোখটা বন্ধ করে বাড়ির কুয়োতলার কথা ভাবছি, তার শীতল জলের কথা ভাবছি, হঠাৎ শুনি সুমিষ্ট গলায় একজন বলছেন, এ বছরের এপ্রিল মাসের তিন তারিখ যদি রবিবার হয়, তবে আশ্চে বছর এপ্রিল মাসের বারো তারিখ কি বার হবে?

তুমিও কি ছিলে?

ভেসে এসেছিলে তখন অবেলা, ভেজানো দরজা অস্পৃশ্য তালা ঠোঁটে লেগেছিল সুখ আমার মত তুমিও কি ছিলে উন্মুখ?

তুমি জানতে

তোমার হাত পুড়েছে
কারণ তুমি আগুন জ্বালতে গিয়েছিলে

তোমার হাতে কামড় পড়েছে
কারণ তুমি শিকল খুলতে গিয়েছিলে
... 

তুঁহু মম

যখন হ্যাঁচকা টানে বুকটা আকুপাকু করে, তখন জানলার পাশে দাঁড়িয়ে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। কত কত মেঘ এলো গেলো। আকাশ অনাসক্ত। তার নীল রঙে না সাদা দাগ, না কালো। আকাশ কি মিথ্যুক! কি কপট!

     যখন তার হাসি, চাহনি, কি হাতের স্পর্শ পাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়, তখন সে বাথরুমে গিয়ে কলটা খুলে কান্না গিলতে চায়। জলের আওয়াজ তাকে বলে, বাষ্প হ। মেঘ হ। উড়ে যা। সময়কে ধরে রাখিস না শিকলের মত। হাত কাটবে। রক্তারক্তি হবে। জল বড় চতুর।
...

তিনটে মৃতদেহ

মাথায় ব্যাণ্ডেজ করতে করতেই ঘুমিয়ে পড়ল ঠানদাদু। আশির উপর বয়েস। দোতলা বাড়ি। দিদা পাশের ঘরে শুয়ে। প্যারালাইজড। 

     উদিত চুপ করে বসে টুলে। বিছানার পাশে। এই ঘরের গন্ধ ভীষণ চেনা। ছোটোবেলা থেকে এ বাড়ি যাতায়াত। বুবুনদার কাছে অঙ্ক করতে আসত। বুবুনদা নেই। আত্মহত্যা করেছিল। ডিপ্রেশন। 

তপ্ত বালি, না পিচ্ছিল শ্যাওলা? 

সে জায়গাটায় নিজেকে আসতে দাও, যখন মনে হবে, নাহ্, এ মানুষটা আর যা হোক, আমায় ঠকাবে না। 

     মানুষের যতগুলো তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়, তার মধ্যে একটা অন্যতম তিক্ত অভিজ্ঞতা হল, যখন সে বুঝতে পারে সে ইউজড হয়েছে। এই ইউজড হওয়াটাকে অনেক ভাষায়, অনেক আঙ্গিকে বলা যেতে পারে। কিন্তু মোদ্দা কথাটা হল, ঠকে যাওয়া। ইউজড হওয়া। 

তেঁতুলগোলা জল

মোড়েই বসতো সে। বসতো কোথায়? দাঁড়িয়ে থাকতো। সেই উনিশ বছর থেকে। বাপ মরে গেল টাইফয়েডে। সেই থেকে! এখন তার তিরিশ ছুঁইছুঁই।

তবু হারালো না

এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে কখনো হারিয়ে গেছে ঘুঁটি?

তেমন

সে হুইলচেয়ারে ছিল। নাম?

তারা আসছে

টুনটুনিদের দুই ছেলেমেয়ের বিয়ে হয়ে গেল। এখন তাদের ঝাড়া হাত-পা। রোজ নতুন করে পুরোনো গল্পগুলো করে, নতুন করে পুরোনো রান্নাগুলো করে, নতুন করে পুরোনো হাসি হাসে, পু

তাকানো

কুহেলি ফুচকাটা মুখে দিয়ে রাস্তার দিকে তাকালো। ছেলেটা তাকিয়ে আছে।

তারকেশ্বর

সে ভালোবাসা জাগলে পাঁচিল ভাঙে। সংসার ভেসে যায়। এদিকটা আমার, এরা আমার, ওদিকটা তোমার, ওরা তোমার… বলার লোক কই? গুটি কেটে প্রজাপতি উড়ে গেছে….

তিতা

মুগ্ধ হয়ে লাভ কি? সে তো ভাঙবেই, আজ নয় কাল। তর্ক করে লাভ কি?

তন্ময়

বাসন্তীর পা ডুবে ছিল গঙ্গাজলে, হাত দুটো জড়ো করে রাখা ছিল কোলের কাছ