Skip to main content

 

 

সংসারে সবাই তো আর অতশত কপাল করে জন্মায় না যে একটু ফুর্তি করে, গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াবে। না, মানে, পড়াশোনার গল্প মানেই তো সেই এক বিদ্যাসাগর মশায় স্ট্রিটলাইটের তলায় পড়েছিলেন, টিকি বেঁধে শুতেন এই সব কথা খালি। সে সব পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পুরোনো কালের কথা। কিন্তু এই যে একজন মানুষ, যার কিনা খোদ মাসির বিয়ে, সে কিনা হাতে মেহেন্দি লাগাতে লাগাতে পড়াশোনা করছে, সেও আবার অনলাইনে, মানে আরকি পড়াশোনা করতে করতে মেহেন্দি লাগাচ্ছে, এমনটা কে কবে দেখেছে? পায়ে আলতা, হাতে মেহেন্দি, সামনে মোবাইল স্ট্যাণ্ডে মোবাইল, মোবাইলের স্ক্রীনে দিদিমণি, চারদিকে আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশীর হইচই, এর মধ্যে কিনা মেয়েটা পড়েই যাচ্ছে, পড়েই যাচ্ছে, পড়েই যাচ্ছে।

 

     তা এসব কথা তো আর কাগজে ছাপবে না, না তো বইতে ছাপা হবে, তাই আমিই সত্যের খাতিরে ইতিহাসের পাতায় লিখে গেলুম, যে এমন মানুষও সংসারে এসেছিল যে মাসির বিয়ের আগেরদিন রাতেও পড়াশোনা করে, পড়াশোনা করতে করতে সাজুগুজু করে। মাগো মা!

     (এমন অনলাইন তপস্বীনীর নাম - আরাধ্যা পাল। আমার বাল্যবন্ধু আদিত্য পালের কন্যা।)