Skip to main content

তুমি ঠিক, আমিই ভুল।

পাখি নদীকে বলল। আমিই অকারণ তোকে বলেছিলাম আমায় সমুদ্র দেখাবে চলো। আমার ডানায় কি অত জোর আছে?

নদী বলল, তুমি আমার বুকে ভেসে আসা ওই কাঠটায় উঠে পড়ো। তারপর না হয় সমুদ্র দেখবে চলো।

পাখি নদীর বুকে ভাসা কাঠে বসল। রাত যায়, দিন যায়। সে কত গল্প করতে করতে চলল। কিন্তু যতই নদী বলে, আর বারোদিন, আর ন'দিন, আর চারদিন... এই তো এসে গেল সমুদ্র, ততই পাখির মন খারাপ হয়। নদী বুঝতে পারে না। একদিন যখন নদী বুঝল তার বুকে মিশছে নোনাজল, সে পাখিকে বলল, আর কিছুক্ষণ, এই এসে গেলাম আমরা সমুদ্রে!

পাখি উড়ে গিয়ে বসল পাড়ে। বলল, থাক তোমার সমুদ্র, যেখানে গেলে ফুরিয়ে যাও তুমি। বোকা তুমি, আমি চেয়েছিলাম তোমায়, চাই তোমায়। তোমার সমুদ্রগামী গতিতে ভেসেছিলাম তোমার জন্যে, সমুদ্রের জন্য নয়। তুমি মিশে যাও, আমি দেখি তোমায় বসে বসে এখানে যতদিন চোখে থাকে জ্যোতি। যতদিন শরীরে থাকে প্রাণ। আমি শুধু দেখি তোমায়। শুধু দেখি, দেখি আর দেখি। কি অপূর্ব তুমি!

নদী অবাক হল। সমুদ্রের দিকে অনন্তকাল ধরে সে যায়। অনন্তকাল ধরে মেশে। কিন্তু পাখিটার মত করে, ক্ষণকালের এই ছোট্টো প্রাণটার মত করে দেখেনি তো কোনোদিন কাউকে! সব কিছুই শুধু এগিয়ে গিয়েছে তার মধ্যে, মিশে গিয়েছে অবশেষে অস্তিত্ব হারিয়ে। এই নিয়ম জেনে এসেছে চিরটাকাল। এমন স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে কাউকে ভালোবাসার সময় পেয়েছে কি সে?