জ্যোৎস্না-চন্দন
...
জল না আকাশ
আমি কোথায় ভাসছি?
একি জল না আকাশ!
...
জলের অপচয়
...
জীবনের সাধ
এক,
জীবনের সুখগুলোর মান pH 7 এর আশেপাশে থাকুক, খুব বেশি হলে 6 থেকে 8 এ-র মধ্যে।
দুই,
...
জীবন তো
আশ্বাস তাই
এমন কিছু নিখুঁত চালচিত্র তো নয়
...
জয় শ্রীরাম
বাধ্য ছেলে। তবু তো সে বাইকচোর। ধর্মের শাসন। রাজার শাসন। এতগুলো সৎমানুষের ভীষণ যে রাগ, তারও শাসন। যাবে কোথায়?
...
জয়তু বাবা নীলকণ্ঠ
...
জীবনের অঙ্ক
উত্তর দেওয়ার দরকার নেই। কারণ সত্যিটা আমরা জানি। প্রশ্নটাই মিথ্যা।
...
জ্যাম
বৃষ্টি হয়ে গেছে সকাল থেকে খেপে খেপে। মঞ্জুলা অন্যমনস্ক। জমা জলে দোকানের হোর্ডিং-এর আলোর প্রতিফলন দেখছে।
...
জিলিপি ভাণ্ড
মধুসূদন দাদা হতে মাগি
...
জয়দেব ও যশোধরা
...
জানি পলাশ এসেছে
জানি পলাশ এসেছে
জানি বসন্তের বাতাস বইছে অহরহ
কিন্তু বলো তো প্রেমিক
এ বসন্তে কিসের দাহ বেশি?
হৃদয়ের, না পকেটের?
কে বেশি যাতনাময়
বসন্তের কোকিল?
নাকি সিলিণ্ডার আর পেট্রোল?
"রোদনভরা এ বসন্ত, সখী কখনও আসেনি বুঝি আগে"....
জীবনে চাই কি?
শোনো, কত মানুষের অভিযোগের উত্তর দেবে? কত? তুমি শেষ হয়ে যাবে কিন্তু মানুষের অভিযোগ শেষ হবে না। দেখো না মৃত মানুষদের নিয়েও মানুষের কত অভিযোগ। যার নাভি ভেসে গেছে কত শতাব্দী আগে জলে, যে মানুষ মাটিতে মিশতে মিশতে শত শতাব্দী পার হয়ে গেল, তাকে নিয়েও মানুষের অভিযোগ। অভিযোগ শেষ হয় না। সে যেন রক্তবীজ।
জানতে পারে না
নার্সিংহোমের বিলের
ম্যারাথন রেস
কোনো রকমে থামিয়ে,
সরকারি হাসপাতালে শিফট করা হয়েছিল,
তারপর বার্নিংঘাটে
ওয়ালেট থেকে
ওই ক’টা মাত্র টাকা বার করার সময়
জেগে থাকো
সমস্তটুকু আড়ালেই ছিল
আমিও ছিলাম
যেদিন সবটুকু বাইরে এল
আমিও নিজেকে নিয়ে বাইরে এলাম
বাইরে সেদিন কিসের যেন মেলা
বাইরে সেদিন কিসের যেন উৎসব
ক্রমশ হাত ছেড়ে গেল
রেশ কেটে গেল
সুখ ভ্রান্তিতে মিশে গেল
ঘুম যখন ভাঙল
ভাঙা মেলার ফিরে যাওয়া
উৎসব শেষের অবসন্নতা
জাগো - পাঠঃ সংহিতা ব্যানার্জী
জগতে আনন্দযজ্ঞে
আমাদের আজকের জীবনে কি সেদিনের সংশয় আছে? অবশ্যম্ভাবীভাবেই নেই। সেদিন ক্রিশ্চান মিশনারী, ব্রাহ্মধর্ম ইত্যাদির সংঘাতে ঈশ্বরের সাকার নিরাকার নিয়ে দোলাচাল আজকের দিনে আছে? মূর্তিপুজো ঠিক কি ঠিক নয়, এইসব নিয়ে ভাবনা আজকের মানুষের কই? দরকার নেই। সে তো ভালো কথা।
...
জন ড্রাইডেন আর রবীন্দ্রনাথ
জন ড্রাইডেনের সম্বন্ধে আর নতুন করে কি বলা। কেউ কেউ বলেন শেক্ষকবির পরে নাকি উনিই যে উচ্চমানের নাটক লিখেছিলেন।
...
জঙ্গলরাজ
...
জানতে চাই না
জানতে চাই না
কি ধর্ম তোমার
জানতে চাই না
...
জাগো
পাশাপাশি দাঁড়ানোতে
এখনও অনেক ফাঁক
সে ফাঁক দিয়ে
...
জগদ্দল - পাঠঃ সংহিতা ব্যানার্জী
জল্পনা
সর্বভূতে ঈশ্বর আছেন
তারা অসম্পূর্ণ কথা বলে গেলেন
সম্পূর্ণ কথাটা হল -
সর্বভূতে ঈশ্বর থাকলেও
...
জীবিকা রক্ষা
...
জি এন দাস
...
জালিয়ানওয়ালাবাগ ২০২০
জালিয়ানওয়ালাবাগ
রাস্তাঘাটে মরছে কারা?
ঘরে ফিরছে
...
জগন্নাথের বাঁশি
...
জাগা ঘুম
একদম ঠিক
যেমন অন্যান্য সাধারণ ব্যস্ত বসন্তের বিকেলগুলো হয়,
আমি চায়ের কাপ হাতে
...
জাগতে রহো
ইনস্টিংক্ট বলল, আমার স্থির বিশ্বাস দক্ষিণ দিকে আর চোদ্দোবার দাঁড়া টানলেই পৌঁছিয়ে যাব। আমার গাট ফিলিংস।
ইন্টেলিজেন্স বলল, চুপ কর আহাম্মক, তোর এই গাট ফিলিংস এর ঠেলায় কতবার ডুবতে ডুবতে বেঁচেছি আমরা। আমার হিসাব বলছে দক্ষিণ দিকে আরো মাইল তিনেক গিয়ে একটা বাঁক আসবে, যা পড়েছিলাম, তারপর হয় তো পশ্চিমের শাখাটা ধরে এগোতে হবে।
জয় মা
ফুলশয্যার রাত। বউকে বর গদগদ স্বরে জিজ্ঞাসা করল, হ্যাঁ গো, জানো তো, মা ভীষণ জাগ্রত আমাদের! পটলাদার ছেলে হচ্ছিল না। খালি মেয়ে, খালি মেয়ে। শেষে মায়ের কৃপায় ছেলে হল। নাম রেখেছে কালীচরণ। সেকেলে নাম। কিন্তু ভীষণ আধুনিক ওরা।
বউ বলল, সে তো বুঝতেই পারছি।
...
জাগ্রত
“আমার জীবন থেকে সব ভালোবাসা সরিয়ে নাও।”
জৈন সাধক ভাস্কর এই কথাটা তিনবার উচ্চারণ করল। অনেক উঁচু পাহাড়ের মাথায় এই মন্দির। চারদিক জঙ্গল। দিনের উজ্জ্বল আলোয় স্নিগ্ধ শান্ত দশদিক।
জীবন
এতবার জীবন আমার থেকে বিমুখ হতে চাইল
এতবার আমি চাইলাম বিমুখ হতে জীবন থেকে
তবু ভীষণ ঝড়ে
জানলার পাল্লা দিতে দিতে দেখেছি
প্রদীপের শিখা সামলাতে ব্যস্ত সে-ও
জন্মদিন
এখন থেকে আর বাড়তি না, এবার কমতি। খালি খালি বয়েস বাড়িয়ে বাড়িয়ে শেষে বুড়ো হয়ে মরি আর কি! আমি যেন সুকুমার রায়ের পাঠাশালায় পড়িনি! সেই কবে আমাদের উনি শিখিয়ে গেছেন বয়েস বাড়তে দিলেই হল? তাই আমিও এই কমতির দিকে নামলুম। এখন থেকে আমার বয়েস নামবে ৪৪, ৪৩, ৪২... হুম। যতক্ষণ না এই এদের বয়সে পৌঁছাচ্ছি। মানে যাদের সঙ্গে আমার ছবিগুলো।
জয়দেব ও বর্ষা
জয়দেব ভিজছেন। আষাঢ়ের প্রথম বর্ষা। চারদিক ঝাপসা হয়ে আছে। জয়দেব স্থির দাঁড়িয়ে। হাতদুটো বুকের কাছে জড়ো করা। জয়দেব তাকিয়ে শ্রীমন্দিরের দিকে। পতাকাটা আষাঢ়ের সজল বাতাসের দাপটে যেন সব ছিন্ন করে উড়ে যেতে চাইছে। জয়দেবের বুকের মধ্যেও যেন এক অবস্থা। জয়দেবের চোখের জল বর্ষার জলের সঙ্গে মিশে একাকার। যেমন নীলাচলে গলছে আষাঢ়ের আকাশ।
জীবনশৈলী
একটা সময় ছিল কুঁজো, ওয়াটার বোতল নিয়ে ট্রেনে উঠতাম। স্টেশান এলেই দৌড়ে গিয়ে জলের বোতল ভরে নিতে হত। বা অনেকক্ষণ ট্রেন থামার থাকলে কুঁজো নিয়েও দৌড়াতে হত। এ স্মৃতি অনেকেরই থাকবে।
একটা সময় ছিল যখন চাপাকলের জল ভারী এসে ড্রামে ঢেলে দিয়ে যেত। সেই ছিল কলের জল, রান্নার জল।