Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

জানলাটা

এই যে জানলাটা
এ বিস্মিত হয় না, উদাস হয় না, মুগ্ধ হয় না, অবাক হয় না

জাহাজ আর লোকটা 

লোকটা যখন জেগে উঠল, তখন জাহাজটা মাঝ সমুদ্রে। বিশাল বড় জাহাজ। লোকটা হামাগুড়ি দিয়ে জাহাজের পাটাতনে এলো। মাথাটা উঁচু করে তাকালো। চারদিক জল জল আর জল। আকাশের দিকে তাকালো। নীল নীল আর নীল। শূন্য সব। লোকটা বুকের কাছে হাতটা নিয়ে গিয়ে নিজের বুকটা খামচে ধরল। সে জানে সে ডুবে যাবে। এ জাহাজ ডুবে যাবে। সবাই শেষ হয়ে যাবে। না, না, না, এ হতে পারে না। লোকটা নিজেকে গুটিয়ে শামুকের মত কুঁকড়ে শুয়ে থাকল। 
    
    পিঠে কারোর ছোঁয়া লাগল। সে ঘুরে তাকালো। জাহাজের কর্মচারী একজন। সে বলল, কি হয়েছে? বমি পাচ্ছে? 
...

জেগে থাকে

সব কোলাহলের পাশাপাশি  এক অবিচ্ছিন্ন নিস্তব্ধতা জেগে থাকে
সব অশান্তির পাশাপাশি  এক অবিচ্ছিন্ন শান্তি জেগে থাকে 
...

জগত জুড়ে উদার সুরে

ধর্মের দুটো অন্ধকার আছে। এক, ধর্মের কিছু কুসংস্কারের দিক, বা অন্ধবিশ্বাসের দিক। রামকৃষ্ণদেবের ভাষায় সব ধর্মেই কিছু না কিছু গোলমাল আছে। আর এক অন্ধকার হল, ধর্মকে না জানার অন্ধকার। 

জিপিএস 

মানুষের সব চাইতে বড় গুরু কে? তার শুভবুদ্ধি। শুভবুদ্ধি, ভালোবাসা, অনুকম্পা, কৃপা, উন্মুক্তমনা, সহজতা… এ সব সমার্থক শব্দ। শুভবুদ্ধি থাকলেই আত্মনিয়ন্ত্রণ আসবে। আত্মনিয়ন্ত্রণ থাকলেই সুখ শান্তি আসবে। আত্মনিয়ন্ত্রণ মানে কোথায় থামতে হবে জানা। গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মেরেছে মানে সে থামতে পারেনি। এই তো! 

জীবন হাঁটুক

যে যেখানে থাকুক
ভালো থাকুক
খুব লড়াই দরকার নেই তো
দরকার নেই হুড়োহুড়ি করে উপরে ওঠার
সবাই যেখানে আছে
শান্তিতে থাকুক। সুস্থ থাকুক। 
একে অন্যের সঙ্গে থাকুক। 
আর কেউ না থাক
    অবশ্যই নিজের হাত নিজে ধরুক,
নিজের চোখ নিজে মুছুক।

জন্মদিনে

ঘটনাটা বলব ভাবিনি কোনোদিন। কিন্তু বলাটা দরকার। নইলে নিজের কাছে অপরাধী থেকে যেতে হবে। আর বিপুল, মানে আমার ছোটোবেলার বন্ধু, ও নিজে থেকেই বলল, বলে দিতে। কারণ ঘটনাটার সঙ্গে ও নিজেই জড়িয়ে। 

জলের রেখা

বিধান ছ’বছর বয়েস থেকেই বিশ্বাস করেছিল, একদিন সব পাখি ঘরে ফিরে আসবে। সব শাবকদের নিয়ে। উঠান, তুলসীতলা, রান্নাঘরের খুদকুঁড়া সব জানিয়ে দেবে।

জিম করবেট ও মশারি

জীবনে বড় বড় দুঃখ, ছলনা, বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদি সব সহ্য করে নেওয়া যায়। সে সব সহ্য করার জন্য কত সান্ত্বনাও পাওয়া যায় রেডিমেড। স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের কাঁধে হাত, মহাপুরুষের বাণী, ধর্মে-দর্শনের আশ্বাস, আরো কত কত কি? যা হোক, সে সব দুঃখকষ্ট তবু খানিক হলেও হাসি মুখে সহ্য করে নিয়েছি। কিন্তু একটা জিনিস আমি কিছুতেই সইতে পারি না।

    কি সেটা?

জুতো, দর্শন থেকে রসিকতায়

বোধিচর্য্যাবতারে শান্তিদেব লিখছেন,

    "সমস্ত ভূমিকে ঢাকিবার জন্য চর্ম নাই। জুতার চর্মমাত্রের দ্বারাই সমস্ত ভূমি আচ্ছাদিত হয়। সেইরূপ প্রতিকূল বাহ্যভাব সকলকে নিবারণ করা আমার সাধ্য নহে। অতএব নিজের চিত্তকেই নিবারণ করিব; অন্যকে নিবারণ করিয়া আমার কার্য কি?" (5/13-14)

জয়ী হয়ে

দুজনে একসঙ্গে ঢুকল প্রসাধনী কক্ষে

জাস্টিস

সেই আদিযুগে মানুষ প্রশ্ন করেছিল, জাস্টিস কি?

জাহান্নাম, দুটো

সনাতনের মৃত শরীরটা নিয়ে ভাবনা ছিল না, ভাবনা ছিল মনটা নিয়ে। মানুষের শরীর মরে, মন তো মরে না। মন, কথা হয়ে বাতাসে, গাছে, মাটিতে বিঁধে থাকে। বেঁধে। জ্বালা দেয়।

জল

"শনি-মঙ্গলবার বিষ হয় এই সাপের। দেখো আজ শনিবার। বাজে ভাবে কামড়েছে। কিন্তু ঠিক জায়গায় এসে পড়েছ। কিচ্ছু হবে না। সব ঠিক করে দেব। তুমি ওকে শুইয়ে দাও মাটিতে। আমি আ

জাল

তুমি না হয় বহুবার

জামাকাপড়

বাসন্তীর সবার বাড়ির ছাদে, ফ্ল্যাটের গ্রিল দেওয়া বারান্দায় শুকাতে দেওয়া জামাকাপড় দেখতে ভালো লাগে। জামাকাপড়গুলোর দিকে তাকালে বাসন্তী যেন বুঝতে পারে কোন বাড়ির ম

জানলার সিট

জানলার সিট চাইলেই বড়রা দেয় না। মায়ের কোলে বসে বসে জানলার দিকে তাকিয়ে আছে নীল। তার দাঁড়ানোর মত পা নেই। রাণাঘাট লোকালে একদম সিটের ধারে মা বসে আছে তাকে নিয়ে। প্

জনার্দনবাবুর দুঃখ

জনার্দনবাবুর দুঃখ হয়। কারণ দুঃখ পাওয়ার মত দুঃখ কিছু নেই। জাগতিক যা যা থাকলে সুখী হয় মানুষ

জলের ফাঁকা বোতল

পরেশের বাবা যে রোগে হঠাৎ চলে গেল, পরেশও গেল সে রোগে। সন্ন্যাসরোগ। পরেশের বউ বাচ্চাটাকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেল। এখানে থাকলে খাওয়াবে কী আর পড়াশোনাই বা কী করে

জীবনমরণ সমস্যা

চারটে বাচ্চা নিয়ে বেড়ালটা রাস্তার উপরে বসে আছে। উল্টোদিক থেকে রুদ্ধশ্বাসে সাইকেল চালিয়ে তিনজন কিশোর আসছে। সামনের জন তাড়াতাড়ি সাইকেলের ব্রেক চেপে সাইকেলটা থাম

জীবননির্ভরতায়

গভীর অন্ধকার। গুহার মধ্যে। সুখ আছে। স্বপ্ন আছে। কৌতুহল আছে। প্রশ্ন আছে। অনেক আকস্মিকতায় অনেক বিস্ময় আছে।