Skip to main content

      সব ভালো আছে। সব ঠিক আছে।

এই নির্দোষ মিথ্যাটাকে বাঁচিয়ে রাখতে শেখাই তো জীবন।

ঘামের গন্ধ, ঘামের দাগ বাইরে কেন আসবে? সে সব অন্তর্বাস শুষে নেবে। নয় তো, তুমি কিসের সভ্য হলে?

 

========

 

চোখের সামনে ছেলেটাকে স্মার্ট হতে দেখলাম। যে সাত চড়ে রা কাটত না। বাবা মাকেও উচিৎ কথা বলতে ছাড়ে না এখন। বাবা মা যুক্তিতে পারে না। ছেলেটার ঠোঁটের কোণে বিজয়ীর হাসি। তার বন্ধুরাও জানে এখন সব তার কন্ট্রোলে।

বাবা মা ভালোবাসাটাকে যুক্তির জানলা দিয়ে গলিয়ে ছেলের নাগাল পেতে চায়। পায় না।

কোনো বিদ্যালয়ের, কোনো সিলেবাসে মানুষকে বোকা হতে শেখায় না তো। বুকের উপর ঝোলা মূল্যবান ধাতুর মেডেল দেখে, বুকের নীচে থাকা হৃৎপিণ্ড লজ্জা পায়। ধাতব শব্দের মানে বোঝে না যে! শিক্ষা ধাতব হতে হতে একদিন আকরিকের সবটুকু গন্ধ হারিয়ে ফেলে। শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়।

 

========

 

ভিখারিকে কেউ খাবারের খোঁটা দেয় না। তাই ভিখারি খাবার নিয়ে লজ্জাও পায় না। কেউ ভালোবাসে না। তাই অপমানিত বলে কিছু হওয়ার প্রত্যাশাও রাখে না। ভগবানের মুখের সামনে সাজানো নৈবেদ্য পুরোহিত নিয়ে আসে যখন, ভিখারি লাফ দিয়ে বলে ওঠে, যা শালা, তোকেও খেতে দিল না? খাস নে, খাস নে। পরে সব টাকার হিসাব চাইবে। তার চাইতে বেরিয়ে আয়। ভিক্ষার কেউ হিসাব রাখে না।

মৃত ভিখারির দেহ দাহ হতে হতে, ধোঁয়া হয়ে উড়তে উড়তে বলে প্রচুর খেলাম, দারুণ ঘুমালাম গো তোমাদের জগতে।

ভগবান সহস্র চোখ মেলে দেখেন, সারা জগতে ভিখারির চেয়ে শান্তিতে কেউ ঘুমায় না। কেউ এত অল্প খেয়ে হাসি মুখে ঘোরে না। আর বিনা মান সম্মান, ভিখারির চেয়ে বিনা ক্ষোভে কেউ কালাতিপাত করে না।