বোধিচর্য্যাবতারে শান্তিদেব লিখছেন,
"সমস্ত ভূমিকে ঢাকিবার জন্য চর্ম নাই। জুতার চর্মমাত্রের দ্বারাই সমস্ত ভূমি আচ্ছাদিত হয়। সেইরূপ প্রতিকূল বাহ্যভাব সকলকে নিবারণ করা আমার সাধ্য নহে। অতএব নিজের চিত্তকেই নিবারণ করিব; অন্যকে নিবারণ করিয়া আমার কার্য কি?" (5/13-14)
ভাগবতে নারদ মহাশয় যুধিষ্ঠিরকে সংসারে চলার জন্য উপদেশ দিতে গিয়ে বলছেন, উপযুক্ত জুতো পরিহিত ব্যক্তি যেমন কণ্টকাকীর্ণ পথে অনায়াসে গমন করতে সক্ষম, তেমনই সন্তুষ্টচিত্ত ব্যক্তি সংসারে নানা ওঠাপড়ায় প্রসন্নমুখে চলে যেতে সক্ষম। ( 7/15/17)
রবীন্দ্রনাথ আরো পরে লিখছেন "জুতা আবিষ্কার"। কবিতায়।
আরো পরে সেকালের খবরের কাগজে সাদাকালো ছবিতে বাটা কোম্পানি জুতোর বিজ্ঞাপন দিতে গিয়ে বলছে , নিজেকে ধনুষ্টঙ্কারের হাত থেকে বাঁচাও, জুতো পায়ে দাও।
জুতো দর্শন থেকে স্বাস্থ্য, কি দারুণ পথ পরিক্রমা করে চলেছে তাই ভাবছিলাম আর কি।
শেষে একটা মজার কথা। জুতোর রসিকতা। রসিক রামকৃষ্ণ ঠাকুর নামছেন সিঁড়ি দিয়ে। গৃহকর্তা আলো দেখাচ্ছেন। কীর্তন, ভাগবত প্রসঙ্গ শেষ হয়েছে খানিক আগে। তিনি নামতে নামতে বলছেন,
“ও রা-জু-আ”? (ও রাখাল, জুতো সব আছে, না হারিয়ে গেছে?)
জুতো এখানে রসিকতা। এ হল এ যুগের কথা, রসে বশে থাকার কথা। জুতাখানি আছে তো? যেন প্রশ্ন করছেন।