পাশের মানুষকে জাগিয়ে রাখুন। সাপে কাটা রুগীকে শুনেছি ঘুমাতে দিতে নেই। ঝিমুনি এলেই ধাক্কা দিতে হয়। জাগিয়ে রাখতে হয়।
আমাদের সর্বাঙ্গে বিষ ছড়াচ্ছে। পাশের লোককে ঘুমাতে দেবেন না। বারবার প্রশ্ন করুন, কী ভাবছেন, খবর রাখছেন তো? যে এখনও টিভি সিরিয়ালে, কি খেলার চ্যানেলে মগ্ন, একবার তার সামনে দাঁড়িয়ে চ্যানেলটা চেঞ্জ করে দিন, দু মিনিটের জন্য হলেও। হয় তো রাগ করবেন। দুটো বাজে কথা বলবেন। শুনবেন। আর হ্যাঁ, রাজনৈতিক তর্কে জড়াবেন না। ওতে শুধু সময় আর শক্তির অপচয়। শেষে কথা গোলগোল ঘুরতে থাকে। কাজটা কঠিন, কারণ রাজনৈতিক তর্জাটা লোভনীয়। ওতে বিচারের আগে মত প্রতিষ্ঠার দৌরাত্ম চলে। সে থাক। অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন। চীৎকার শুধু না, শান্ত থেকে জাগিয়ে রাখুন। শান্ত গলায় জিজ্ঞাসা করুন....দেখছেন তো?
আরেকটা কথা। আমার এক আত্মীয় আজ অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে এখানের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা হয়। তারপর এখানের চিকিৎসকেরা ব্যাপারটা সিরিয়াস বুঝে কল্যাণীর জওহরলাল মেডিক্যাল কলেজে পাঠান। সেখানে স্ক্যান হয়। চিকিৎসা হয়। এখন তিনি সুস্থ আছেন। এ ঘটনাটাও পাশাপাশি জানানো দরকার বলে লিখলাম।
তবে আজকে চিকিৎসকদের মুখোমুখি হতে, প্রেসক্রিপশনের হাতের লেখায় চোখ রাখতে অস্বস্তি হচ্ছিল। ভীষন অস্বস্তি। মনে হচ্ছিল যেন সেই ডাক্তারের হাতের লেখা পড়ছি.....কী দিলাম আমরা! ছি!
আবারও বলি, সংসারে হুজুগে, অসংবেদনশীল মানুষের অভাব নেই। বাক্যের ফাঁদে জড়ানোর মানুষেরও অভাব নেই। ওসব ছাপিয়ে আসল থেকে যেন চোখ না সরে। সত্যের থেকে ঘাড় ঘুরিয়ে থাকার লজ্জা যেন আমাদের শান্তি না দেয়, স্বস্তি না দেয়।