Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

জানতাম চুরি করবেই তুমি

জানতাম চুরি করবেই তুমি
    তবু দরজায় খিল দিইনি
সোজা রাস্তা থেকে বাঁকা রাস্তাই
                 যে পছন্দ তোমার

সেকি বুঝেও বুঝিনি!

জল বালির বুকে

জল বালির বুকে
কিছু আঁকিবুঁকি কাটল
যে ছবিগুলো জলের বুকে ছিল
বালি তার বুক পেতে দিল


(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

জয়ন্তী

ভেবেছিলাম হয় তো-
পায়ের পাতাও ডুববে না,
এতই কৃপণা নদী!
তুমি বললে, আমার সাথে এসো
একি! এ যে এক বুক জল!

শীর্ণ সে নদী
চিরঋণী হয়ে রইল তোমার কাছে
তোমার বুকে যে সহস্রধারা
নদী ফিরে পেল তার হৃতযৌবন
তোমার দৃষ্টির মুক্তধারায়


(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

জাগা স্বপ্ন

হয় তো ভুল জানতাম
  মোড়ের বাঁকে কোনো শিউলি গাছ ছিল না
হয় তো কোনোদিনই ছিল না
তবু আমার জানলা দিয়ে যে গন্ধটা আসত
  আমার বিছানা বালিশে ঘুমের সাথে মিশত –
আমার কেন জানি মনে হত
  সে গাছটা ওই মোড়ের বাঁকেই আছে

জল্পনা

তুমি আসার পর
   অভাব কিছু নেই

কিছু মিটিয়েছ তুমি
   কিছু মিটিয়েছে তোমার ছায়া

আরো যদি কিছু থাকে অভাব?
  মিথ্যা জল্পনা সে, মায়া

জাল

ভিজে বিছানায় একপাশে বসে লোকটা। উলঙ্গ। পা আর পাছা ভিজে যাচ্ছে জলে। লোকটা নির্বিকার দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে বসে। পায়ের পাতার দিক থেকে একটা অসাড়তা জন্মাচ্ছে। ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠে আসছে। পায়ে কি ঝিঁ ঝিঁ ধরেছে? ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ল। ঠিক ঘুম না। একটা তন্দ্রার মত।
...

জাল

দাঁড় বাইতে বাইতে লোকটা পাড়ের দিকে তাকিয়ে ছিল
তার ছোট্টো কুঁড়েঘরটা মিলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে....ক্রমশ একটা বিন্দুর মত হয়ে যাচ্ছে...মিলিয়ে গেল...

জানো না

তুমি শূন্যতা দেখো, আমি দেখি আকাশ।
এত ভয় কেন তোমার? জানো না -
       আকাশের নিলাম হয় না!

জোনাকি

অন্ধকার গাঢ় ভীষণ
চেতনা, জোনাকির মত ঝলসে উঠছে
   এখানে ওখানে, দেখছি
...

জীবন-মরণ

তার আসা যাওয়া 
আমার বুকের অলিতে গলিতে যখন তখন

এখানে ওখানে তার পায়ের ছাপ
    যেখানে যেখানে নরম মাটি
সে যে নরম মাটিতেই হাঁটে, শুনেছি তার কোমল চরণ

জাগাও পথিকে সে যে ঘুমে অচেতন

বিবেকানন্দের ভারতবর্ষের সাথে আমার ভারতবর্ষের মিল কোথায়? তাঁর আত্মজ্ঞান, নিঃস্বার্থপরতা, ধ্যানপরায়ণতা, সৎ-সাহসিকতা, ধর্মে যুক্তিপরায়ণ হওয়ার চেষ্টা, সর্বোপরি দেশের প্রতি সর্বগ্রাসী ভালোবাসা - এ সব তো মিউজিয়ামে দেখতে যাওয়ার বস্তু আজ। আর বাকি
...

জানোয়ার

হস্টেল রুমে ঢুকে বাঁদিকের দেওয়াল হাতড়ে স্যুইচটা জ্বালতেই পরমা চীৎকার করে উঠল। বাইরে প্রচণ্ড জোর বৃষ্টি হচ্ছে। জানে কেউ শুনতে পাবে না। তবু রিফ্লেক্সে চীৎকারটা বেরিয়ে এলো গলা থেকে। তার মেরুদণ্ড দিয়ে একটা হিমেল স্রোত নেমে গেল। সে বুঝতে পারছে তার নীচের ঠোঁটটা থরথর করে কাঁপছে। তার পা-দুটোও যেন তাকে ধরে দাঁড়াতে দিচ্ছে না, এমন দুর্বল অবশ হয়ে আসছে তার শরীর। মনে মনে বলল, 'জানোয়ারটা ঢুকল কখন?

জল

গোলাপগুলোয় আগুন জ্বলছে
   জল অভিমানী নাকি বীতশ্রদ্ধ?
    তাকে ডাকলেও সাড়া দিচ্ছে না

জেগে থাকতেই পারি

আসলে তো কারোর ঘুম ভাঙাতে পারি না
জেগে থাকতেই পারি
মৃত ঈশ্বর আর ঘুমন্ত জনগণ ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে
   কারা কারা জেগে দেখে নিতেই পারি

৮ বছর মানে তো আইপিএল নয়
৮ বছর মানে তো চোখ মারা নয়
৮ বছর মানে নায়কের জেলের কষ্টও নয়

জীবন-বেদ

হাওয়ায় ওড়া চুল সরাতে সরাতে
   যে মানুষটা মোহনার মুখে দাঁড়িয়ে আমার কাঁধে হাত রেখেছিল
সে পুরুষ না নারী আমি জানি না-
...

জাল

পাখিটাকে দেখে তারা রোজ আলোচনা করত। অনেকে তো শুনেছি কাঁদতও। এমন কাঁদত যে চোখের কাজল গালে লেগে যেত। টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হত। তারপর চলত আলোচনা, তর্ক, ব্যাখ্যা, ব্যাখ্যার ব্যাখ্যা। ওই দেখো, আসল কথাটাই তো বলা হল না, কি নিয়ে আলোচনা।
...

জগদ্দল

বুকের ওপর একটা জগদ্দল পাথর বসিয়েছিলাম

        অজান্তেই

পাথরটা কবে জানি বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করল

জুতো

কলিংবেল বাজল। রাত এগারোটা। ছেলেটা দরজা খুলে বাইরে কাউকে দেখতে পেলো না। এদিক ওদিক তাকিয়ে দরজাটা বন্ধ করতে গিয়ে খেয়াল করল, সামনের সিঁড়িতে দু'পাটি জুতো রাখা। ছেলেটা ভ্রু কুঁচকে কিছু মনে করার চেষ্টা করল। পারল না। দরজাটা বন্ধ করে টিভির সামনে এসে বসল। টিভিটা চলছিলই।

জাগরণ


অভিমানী মানুষটা গাছটাকে জড়িয়ে ধরে বলল, আমি কই?
গাছ বলল, এই তো তুমি।
মানুষটা বলল, এই আমি না, এত বড় সংসারে এত কিছু ঘটে চলেছে, সেখানেই আমি কই?
গাছ বলল, তুমি কি চাও?
মানুষটা বলল, সবাই আমাকে চিনুক, নইলে আমি গলায় দড়ি দেব তোমার ডালে, নইলে তোমার বিষফল খাব।
একটা সাপ গাছের গুঁড়ি বেয়ে উপরের দিকে উঠছিল, সে থেমে গিয়ে লোকটার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, বিষ চাই? মরবে?

জেলিফিশ

আমরা যখন প্রকাশ্য রাস্তায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ধর্ষণ ব্যাপারটা মেনেই নিয়েছি, তখন আসুন না, আমাদের সংবিধানে ধর্ষণটাকে বৈধ ঘোষণা করে দিই। অকারণ তবে এই খবরগুলো আর পড়তে হয় না, জ্বলতে হয় না। রাস্তায় যেখানে সেখানে প্যান্টখুলে হিসি করার মত ব্যাপারটাকে ইজি করে নিই।

জোনাকিরা

একটা কবিতা লিখতে লিখতে
    সকাল গড়িয়ে বিকাল হল

বিকাল গড়িয়ে রাতও হত হয়ত
   তুমি না এসে পড়লে গোধূলিতে
       সিঁদুর মাখা পশ্চিম আকাশ নিয়ে ঘরে

যদি না আসতে
   মধ্যরাতে না ঘুমানো জোনাকিরা
           চুরি করে নিয়ে যেত সে কবিতা

জলপটি


হরেনের দোকানের চপ খাওয়ার পর প্রতিবারই কাশীরামবাবুর এই সমস্যাটা হয়। আজও হয়েছে। তিনি দিগম্বর হয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে, আর ফলতা পিছনে জলপটি দিচ্ছে। কাশীরামবাবু গভীর আবেগ নিয়ে বলতে লাগলেন, আহা জুড়িয়ে যাচ্ছে রে ফলতা... জুড়িয়ে যাচ্ছে।

জানতাম তিনি বেড়াতে গেছেন

আমি তো জানতাম তিনি বেড়াতে গেছেন। ফিরে আসবেন কয়েক দিন কি মাসের মধ্যেই। ও বাবা! এ তো দেখতে দেখতে বছর ঘুরল। তাঁর তো দেখাই নেই। কেউ বলে, উনি নাকি জলে ডুবেছেন, কোন সমুদ্দুরে তা তিনি-ই জানবেন। কেউ বলে নাকি জঙ্গলে পথ হারিয়েছেন, কেউ বলে জঙ্গলে না তো, মরুভূমিতে! কেউ বলে হিমালয়ের ওদিকে নাকি কি কলোনি আছে, ওখানে ঘর ভাড়া নিয়েছেন। তা শুনে নিন্দুকের দল বলে, "কই?

জেটি

        জেটিকে যদি জিজ্ঞেস করি, "জেটি তুমি কার?" জেটি কি উত্তর দেবে, জানি না।

জোনাকি পথ

        লোকটা জানত মারা যাবে। মারা তাকে যেতেই হবে। ব্যথার কথা বলে না। খিদে কমে যাওয়াটা লুকিয়ে যায়। অল্প বয়েসী মেয়েটার মাথায় সিঁদুরের দাগটা দেখলে বুকটা টাটায়। দুটো ঘুমন্ত বাচ্চার মুখে এসে পড়া স্ট্রিট লাইটের আলো, জানলার পর্দা উড়িয়ে ঘরের ভিতরে এসে জমে - সে দেখতে দেখতে আন

জিভ

        বাচ্চাটার মুখে একটাই কথা, আমি বড় চিপসটা খাব। মা মুখের দিকে তাকিয়ে বড় চিপসটা হাতে দিয়ে, চারদিকে তাকাল। চিপসের প্যাকেটটা মাটিতে পড়েছিল, মা কুড়িয়ে পেয়েছে। মুখটা খোলা, তবু, বাচ্চাটা চাইছে, কি আর হবে?!

জানলার গারদ

জানলার গারদ
বিষন্ন দুটো চোখ

ভারি বর্ষণ

পুরু চশমার কাঁচ 
বর্ষা দেখেছে বহু

ভিতরে বাইরে

জানা-অজানা ও কবিতা

        জানার একটা সীমা আছে। জানার একটা দৃষ্টিকোণ আছে। যাকে যা জানছি তাকে অনুভবে জানছি না তথ্যে জানছি সেও আছে। জানার পরিসরের বাইরে আরো অনেক এমন কিছু আছে যা আমার জানা উচিৎ ছিল, আবার জানার মধ্যেও এমন অনেক জিনিস আছে যা আমার না জানলেও চলত। এই জানা আর অজানার মধ্যে যে মেঘ ও রৌদ্রের খেলা তা নিয়ে বেশ একটা মজা আছে। অহংকারটা আছে এর মধ্যে কোথাও একটা। বনের মধ্যে যেমন

জীবনবল্লভ

আতস কাঁচটা সরিয়ে নাও নিজেকে এখন বড় কিম্ভূত বিসদৃশ লাগে আতস কাঁচের তলায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে
...

জোছনার ফুল

আমি হুমায়ূন আহমেদ প্রথম পড়ি কলেজে উঠে। ওনার সম্বন্ধে জেনেছিলাম তার আগেই অবশ্য, সুনীলবাবুর একটা প্রবন্ধে, দেশে বেরিয়েছিল। বিস্মিত হয়েছিলাম, এমন জনপ্রিয় একজন লেখক? কিন্তু বই পড়ব কি করে?
...

জামা

একজন নাস্তিক মন্দিরের বাইরের চাতালে ঘুমিয়ে পড়েছে। অনেক রাত। মাঝরাতে মশার কামড়ে তার ঘুম ভেঙে গেল। পায়ে কি একটা ঠেকল। তাকিয়ে দেখে মন্দিরে যার বিগ্রহ, সে!
...