হয় তো ভুল জানতাম
মোড়ের বাঁকে কোনো শিউলি গাছ ছিল না
হয় তো কোনোদিনই ছিল না
তবু আমার জানলা দিয়ে যে গন্ধটা আসত
আমার বিছানা বালিশে ঘুমের সাথে মিশত –
আমার কেন জানি মনে হত
সে গাছটা ওই মোড়ের বাঁকেই আছে
আজ জানলাম নেই
কোনোদিনই নাকি নেই
কেন যে বাঁকটা পেরোলাম
মনের সাথে কি যুদ্ধতেই নামলাম
কি হত ক্ষতি
যদি অন্য রাস্তা নিতাম!
থাকতো তো ওই শিউলিটা ওই মোড়ের বাঁকে
ইচ্ছা হলেই ফুল কুড়াতে যেতাম
বুকে মুখে ওর গন্ধ আদর মাখতাম
এখন শিউলিটাকে রাখব কোথায় বল তো
মোড়ের বাঁক ওই একটাই ছিল জানা
যখন ও আমার ঘরে আসত
সোজা রাস্তাটা কি মোড়ে যে হত বাঁকা!
চোখ বুজতাম, পেরোতাম না সে মোড়
ওইটুকু সুখ ছিল আমার বাঁধা
কি যে হল সেদিন
বুকের কাছে রেখে নিজের মাথা
বলেছিলাম, সত্যিই ভালোবাসো?
‘হ্যাঁ’টা তার ‘না’-এর মত ধাঁধার
এক নিমেষেই মোড়ের বাঁকটা পেরিয়ে এলাম আমি
কই শিউলি?
এ যে ধূসর মরুভুমি!
সেই সে গেল
আমি বসলাম মোড়ের বাঁকে একা
বুকের মধ্যে সব শিউলি মাটির কোলে শোয়া
ঘুমাক ওরা, আমিই জাগি
দূরে দূরে ওকি? রঙিন মরীচিকা!