সৌরভ ভট্টাচার্য
13 November 2019
আমি হুমায়ূন আহমেদ প্রথম পড়ি কলেজে উঠে। ওনার সম্বন্ধে জেনেছিলাম তার আগেই অবশ্য, সুনীলবাবুর একটা প্রবন্ধে, দেশে বেরিয়েছিল। বিস্মিত হয়েছিলাম, এমন জনপ্রিয় একজন লেখক? কিন্তু বই পড়ব কি করে? এক তো তখন ইন্টারনেট বলে কিছু হাতের মুঠোয় নেই, ভরসা কলেজ স্ট্রীট, সেখানেও তেমন কিছু নেই। তবে?
হাতের মুঠোয় চাঁদ পাওয়ার মত পেলাম, 'দেশ' পুজাবার্ষিকীতে ওনার একটা উপন্যাস। আমার নাম মনে নেই। একটা বাক্য পড়ে হতবাক হয়েছিলাম, ‘যখন কেউ আত্মহত্যা করে তখন তার ইয়েটা নাকি বড় হয়ে যায়।‘ বাক্যটা যে হুবহু এরকম ছিল তা হয়তো নয়, তবে ভাবটা এমন ছিল, একজন গাছে ঝোলা মৃত মানুষের বর্ণনা। এভাবেও লেখা যায়?
এরপর নানাভাবে কিছু বই পড়ার সুযোগ এলো। একে একে ওনার সৃষ্ট নানা চরিত্রের সাথে পরিচয় হল। আমার বন্ধুমহল, ছাত্রমহলে ওনার বই সাজেস্ট করতে শুরু করলাম।
এখানে একটা মজার কথা আছে। আমি খেয়াল করতে লাগলাম, আমি কিন্তু প্রচুর বই পড়ুয়া, বা অর্থোডক্স, বা প্রথাগত চিন্তার বাইরে চিন্তা করতে চান না --- এমন মানুষকে সন্তর্পণে সাজেস্ট করা থেকে এড়িয়ে যেতে শুরু করলাম। এর কারণ এক, নিজের ইনটুইশান, আর দুই, কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা। “ওনার লেখা ভীষণ হালকা”... ”ভাষাগুলো কেমন যেন”... ”গল্পের ধারা অবাস্তব”... ইত্যাদি ইত্যাদি। তারপর তো তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, মানিক, সমরেশ ইত্যাদি নানা লেখকের সাথে তুলনা আছেই। কিন্তু যারা অন্যরকমভাবে চিন্তা করতে চায়, বিশেষ করে তরুণ পাঠকদের মধ্যে ওনাকে ভালো লাগাটা খুব উৎসাহ আর বিস্ময়ের সাথে খেয়াল করেছি।
আমাকে যেটা প্রথম আকর্ষণ করল ওনার লেখার তা হল অদ্ভুত অন্যরকম ভাষার ধরণ, বাক্যের গঠন। চরিত্রদের কথাবার্তার ধরণ, ঘটনার বিন্যাস। কিন্তু সে হল বাহ্য। যত বয়েস বাড়ল, তখন আকর্ষণের মাত্রা অন্যরকম হয়ে গেল। ও, এখানে একটা কথা অবশ্যই যোগ করতে হয়, তা হল প্রথম লাইনের পরে আর নিজেকে কষ্ট করে পড়তে হয় না, পড়িয়েই নেন উনি। কিন্তু সে কথাটাও নয়। আমি যেটা বলতে চাই সে অন্যকথা।
হুমায়ূন আহমেদ – এক অসামান্য মনস্তত্ত্ববিদ। না, পুরোটা বলা হল না, এক দরদী মনস্তত্ত্ববিদ। একজন মানুষ আর একটা সমাজ – এই দুইয়েরই মন থাকে। একটা সমষ্টিগত মন, একটা ব্যষ্টি মন। যেমন এই মন থাকে, তেমন মনের দুটো স্তরও থাকে – এক, চেতন মন; দুই, অচেতন মন। আমি ইচ্ছা করেই ‘অবচেতন’ শব্দটা এড়িয়ে যাচ্ছি, বা 'মগ্নচৈতন্য' শব্দটাকেও ছুঁচ্ছি না। কারণ মনোবিজ্ঞানের পরিভাষায়, বিশেষ করে কার্ল ইয়ুং -এর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে এই 'অচেতন মন' শব্দটা বড় গুরুত্বপূর্ণ। হুমায়ূন আহমেদের লেখাতেও এর গুরুত্ব অপরিসীম।
সমাজ আর মানুষ --- এই দুইয়ের অচেতন স্তরেই ওনার নিবিড় অবগাহন। একটা উপমা নেওয়া যাক। ধরুন, একজন মানুষ, যার ভীষণ অ্যান্টিক জিনিসের শখ, তিনি একটা শহরে বেড়াতে গেছেন, রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, হঠাৎ একটা বিশাল দোকান চোখে পড়ল, যে দোকানে প্রচুর অ্যান্টিক জিনিস সাজানো। উনি ঢুকলেন, দেখলেন দোকানে কেউ নেই। উনি দোকানে পা দিয়ে বুঝলেন মেঝেতে ধুলোর স্তর। তিনি ধুলোটা খুব আদরের সাথে সরিয়ে দেখলেন মেঝের অভূতপূর্ব কারুকার্য। মুগ্ধ হলেন। এইবার একটা একটা করে জিনিস নামালেন তাক থেকে আর ধুলো সরিয়ে সরিয়ে তাদের কারুকার্য দেখে মুগ্ধ হতে লাগলেন। সব কারুকার্য কি ললিত, কোমল? না তো। তাতে বীভৎস রস আছে, নিষ্ঠুরতা আছে, উদাসীনতা আছে, আরো এমন এমন কারুকার্য আছে, যা মোটেও সুখকর না। এইখানেই হুমায়ূন আহমেদ যাদুকর। তার চোখের দৃষ্টিতে একটা ভালোবাসা আছে। সে ভালোবাসা মানুষের বানানো সমাজের প্রচলিত প্রথার, নিয়মের এত বাইরে যে তাকে সাধারণে বুঝবে তা তিনি আশাও করেন না। তাই তিনি সবাইকে খুব নিখুঁত দৃষ্টিতে দেখেন। পড়ে ফেলেন সেইসব ভাষা, যে ভাষাগুলো তার একান্ত গোপন কক্ষে কালো প্রজাপতির মত ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছিল। তাকে তিনি যত্ন করে হাতের চেটোতে নেন, মুগ্ধ হয়ে দেখেন, মারেন না, আবার রেখে দেন তার জায়গায়, ভালোবাসার আলতো ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত না করে।
হুমায়ূন আহমেদের মিশির আলি, শুভ্র, হিমু --- আমরা সবাই। ওনার সব চরিত্রের ভাষাই আমাদের ভাষা। কিন্তু সব ভাষা আমরা যা বলতে পারি না, অজান্তে ভেবে ফেলি, সমাজের নানা অভিভাবকের ভয়ে মুঠোর মধ্যে রেখে যন্ত্রণা পাই, নিজেকে নিয়ে নিজে লজ্জায় মরি, আমাদের বাঁচিয়ে দেন হুমায়ূন আহমেদ, তার নানা বাক্যের গঠনে; মনে হয়, আরে এই তো আমার চিন্তা, তবে আমি এতটা খারাপ নই, এতটা অস্বাভাবিক নই!
এক এক সময় ভাবি, মানুষটাকে কতটা পুড়তে হয়েছিল। কারণ ওই অ্যাণ্টিকের ঘরে তো আর কেউ ঢুকবে না। হ্যাঁ, ওটা ঘর এখন। যেখানে হুমায়ূন আহমেদ থেকেছেন। অনেকেই সে ঘরের রাস্তা এড়িয়ে গেছেন, কারণ নিজেকে অতটা উলঙ্গ দেখা হয়ত সবার পক্ষে সম্ভব না। ভাষার মাধুর্যে রূঢ় সত্যকে ঢেকে রাখা যদি সাহিত্য হয়, তবে সেই কপটতা হুমায়ূন আহমেদ করেননি। একটা বুকে, একটা মাথায়, একটা জীবনে হিমুকে, শুভ্রকে আর মিশির আলিকে বয়ে নিয়ে বেড়ানো হয়ত এতটা সহজ কাজ নয়।
আরেকটা কথা। মানুষের সামনে যে স্বপ্ন হুমায়ূন আহমেদ বুনেছেন, সে স্বপ্নের সম্পদ কল্পনা না, প্রকৃতি। সে প্রকৃতিতে গাছপালা, পশুপাখি --- সবাই পরিবার। সবার মন আছে, অনুভব আছে। অনুভব মানে তো অবশেষে ব্যথা। সে সুখই হোক, কি দুঃখই, অবশেষে তা যদি অবসাদ না হয় তবে তা স্বর্গীয় ব্যথা; না, স্বর্গীয় নয়, ভোরের শিশিরের মাধুর্যের দিকে তাকিয়ে থেকে থেকে যে ব্যথা হয়, কারণ তা শুকিয়ে যাবে প্রখর তাপে; সমাজ, নিয়ম, এতটা প্রবল হয়ে যাবে যে আমাকে ওই দোকানে ঢোকার রাস্তা আবার খুঁজতে হবে, যেখানে হুমায়ূন আহমেদ আমার জন্যেই বসে আছেন, একটা গাছের পাতা হাতে নিয়ে, যে মাটিতে হেলায় পড়েছিল। হুমায়ূন আহমেদ আমাকে মানুষের কথা শোনাবে। শুনতে শুনতে আমি বাঙালি হয়ে একটা আস্ত গোটা জগতের মানুষ হয়ে উঠব। হুমায়ূন আহমেদ বলবেন, এবার এসো, আবার এসো। আমি এখানেই থাকি।
হাতের মুঠোয় চাঁদ পাওয়ার মত পেলাম, 'দেশ' পুজাবার্ষিকীতে ওনার একটা উপন্যাস। আমার নাম মনে নেই। একটা বাক্য পড়ে হতবাক হয়েছিলাম, ‘যখন কেউ আত্মহত্যা করে তখন তার ইয়েটা নাকি বড় হয়ে যায়।‘ বাক্যটা যে হুবহু এরকম ছিল তা হয়তো নয়, তবে ভাবটা এমন ছিল, একজন গাছে ঝোলা মৃত মানুষের বর্ণনা। এভাবেও লেখা যায়?
এরপর নানাভাবে কিছু বই পড়ার সুযোগ এলো। একে একে ওনার সৃষ্ট নানা চরিত্রের সাথে পরিচয় হল। আমার বন্ধুমহল, ছাত্রমহলে ওনার বই সাজেস্ট করতে শুরু করলাম।
এখানে একটা মজার কথা আছে। আমি খেয়াল করতে লাগলাম, আমি কিন্তু প্রচুর বই পড়ুয়া, বা অর্থোডক্স, বা প্রথাগত চিন্তার বাইরে চিন্তা করতে চান না --- এমন মানুষকে সন্তর্পণে সাজেস্ট করা থেকে এড়িয়ে যেতে শুরু করলাম। এর কারণ এক, নিজের ইনটুইশান, আর দুই, কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা। “ওনার লেখা ভীষণ হালকা”... ”ভাষাগুলো কেমন যেন”... ”গল্পের ধারা অবাস্তব”... ইত্যাদি ইত্যাদি। তারপর তো তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, মানিক, সমরেশ ইত্যাদি নানা লেখকের সাথে তুলনা আছেই। কিন্তু যারা অন্যরকমভাবে চিন্তা করতে চায়, বিশেষ করে তরুণ পাঠকদের মধ্যে ওনাকে ভালো লাগাটা খুব উৎসাহ আর বিস্ময়ের সাথে খেয়াল করেছি।
আমাকে যেটা প্রথম আকর্ষণ করল ওনার লেখার তা হল অদ্ভুত অন্যরকম ভাষার ধরণ, বাক্যের গঠন। চরিত্রদের কথাবার্তার ধরণ, ঘটনার বিন্যাস। কিন্তু সে হল বাহ্য। যত বয়েস বাড়ল, তখন আকর্ষণের মাত্রা অন্যরকম হয়ে গেল। ও, এখানে একটা কথা অবশ্যই যোগ করতে হয়, তা হল প্রথম লাইনের পরে আর নিজেকে কষ্ট করে পড়তে হয় না, পড়িয়েই নেন উনি। কিন্তু সে কথাটাও নয়। আমি যেটা বলতে চাই সে অন্যকথা।
হুমায়ূন আহমেদ – এক অসামান্য মনস্তত্ত্ববিদ। না, পুরোটা বলা হল না, এক দরদী মনস্তত্ত্ববিদ। একজন মানুষ আর একটা সমাজ – এই দুইয়েরই মন থাকে। একটা সমষ্টিগত মন, একটা ব্যষ্টি মন। যেমন এই মন থাকে, তেমন মনের দুটো স্তরও থাকে – এক, চেতন মন; দুই, অচেতন মন। আমি ইচ্ছা করেই ‘অবচেতন’ শব্দটা এড়িয়ে যাচ্ছি, বা 'মগ্নচৈতন্য' শব্দটাকেও ছুঁচ্ছি না। কারণ মনোবিজ্ঞানের পরিভাষায়, বিশেষ করে কার্ল ইয়ুং -এর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে এই 'অচেতন মন' শব্দটা বড় গুরুত্বপূর্ণ। হুমায়ূন আহমেদের লেখাতেও এর গুরুত্ব অপরিসীম।
সমাজ আর মানুষ --- এই দুইয়ের অচেতন স্তরেই ওনার নিবিড় অবগাহন। একটা উপমা নেওয়া যাক। ধরুন, একজন মানুষ, যার ভীষণ অ্যান্টিক জিনিসের শখ, তিনি একটা শহরে বেড়াতে গেছেন, রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, হঠাৎ একটা বিশাল দোকান চোখে পড়ল, যে দোকানে প্রচুর অ্যান্টিক জিনিস সাজানো। উনি ঢুকলেন, দেখলেন দোকানে কেউ নেই। উনি দোকানে পা দিয়ে বুঝলেন মেঝেতে ধুলোর স্তর। তিনি ধুলোটা খুব আদরের সাথে সরিয়ে দেখলেন মেঝের অভূতপূর্ব কারুকার্য। মুগ্ধ হলেন। এইবার একটা একটা করে জিনিস নামালেন তাক থেকে আর ধুলো সরিয়ে সরিয়ে তাদের কারুকার্য দেখে মুগ্ধ হতে লাগলেন। সব কারুকার্য কি ললিত, কোমল? না তো। তাতে বীভৎস রস আছে, নিষ্ঠুরতা আছে, উদাসীনতা আছে, আরো এমন এমন কারুকার্য আছে, যা মোটেও সুখকর না। এইখানেই হুমায়ূন আহমেদ যাদুকর। তার চোখের দৃষ্টিতে একটা ভালোবাসা আছে। সে ভালোবাসা মানুষের বানানো সমাজের প্রচলিত প্রথার, নিয়মের এত বাইরে যে তাকে সাধারণে বুঝবে তা তিনি আশাও করেন না। তাই তিনি সবাইকে খুব নিখুঁত দৃষ্টিতে দেখেন। পড়ে ফেলেন সেইসব ভাষা, যে ভাষাগুলো তার একান্ত গোপন কক্ষে কালো প্রজাপতির মত ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছিল। তাকে তিনি যত্ন করে হাতের চেটোতে নেন, মুগ্ধ হয়ে দেখেন, মারেন না, আবার রেখে দেন তার জায়গায়, ভালোবাসার আলতো ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত না করে।
হুমায়ূন আহমেদের মিশির আলি, শুভ্র, হিমু --- আমরা সবাই। ওনার সব চরিত্রের ভাষাই আমাদের ভাষা। কিন্তু সব ভাষা আমরা যা বলতে পারি না, অজান্তে ভেবে ফেলি, সমাজের নানা অভিভাবকের ভয়ে মুঠোর মধ্যে রেখে যন্ত্রণা পাই, নিজেকে নিয়ে নিজে লজ্জায় মরি, আমাদের বাঁচিয়ে দেন হুমায়ূন আহমেদ, তার নানা বাক্যের গঠনে; মনে হয়, আরে এই তো আমার চিন্তা, তবে আমি এতটা খারাপ নই, এতটা অস্বাভাবিক নই!
এক এক সময় ভাবি, মানুষটাকে কতটা পুড়তে হয়েছিল। কারণ ওই অ্যাণ্টিকের ঘরে তো আর কেউ ঢুকবে না। হ্যাঁ, ওটা ঘর এখন। যেখানে হুমায়ূন আহমেদ থেকেছেন। অনেকেই সে ঘরের রাস্তা এড়িয়ে গেছেন, কারণ নিজেকে অতটা উলঙ্গ দেখা হয়ত সবার পক্ষে সম্ভব না। ভাষার মাধুর্যে রূঢ় সত্যকে ঢেকে রাখা যদি সাহিত্য হয়, তবে সেই কপটতা হুমায়ূন আহমেদ করেননি। একটা বুকে, একটা মাথায়, একটা জীবনে হিমুকে, শুভ্রকে আর মিশির আলিকে বয়ে নিয়ে বেড়ানো হয়ত এতটা সহজ কাজ নয়।
আরেকটা কথা। মানুষের সামনে যে স্বপ্ন হুমায়ূন আহমেদ বুনেছেন, সে স্বপ্নের সম্পদ কল্পনা না, প্রকৃতি। সে প্রকৃতিতে গাছপালা, পশুপাখি --- সবাই পরিবার। সবার মন আছে, অনুভব আছে। অনুভব মানে তো অবশেষে ব্যথা। সে সুখই হোক, কি দুঃখই, অবশেষে তা যদি অবসাদ না হয় তবে তা স্বর্গীয় ব্যথা; না, স্বর্গীয় নয়, ভোরের শিশিরের মাধুর্যের দিকে তাকিয়ে থেকে থেকে যে ব্যথা হয়, কারণ তা শুকিয়ে যাবে প্রখর তাপে; সমাজ, নিয়ম, এতটা প্রবল হয়ে যাবে যে আমাকে ওই দোকানে ঢোকার রাস্তা আবার খুঁজতে হবে, যেখানে হুমায়ূন আহমেদ আমার জন্যেই বসে আছেন, একটা গাছের পাতা হাতে নিয়ে, যে মাটিতে হেলায় পড়েছিল। হুমায়ূন আহমেদ আমাকে মানুষের কথা শোনাবে। শুনতে শুনতে আমি বাঙালি হয়ে একটা আস্ত গোটা জগতের মানুষ হয়ে উঠব। হুমায়ূন আহমেদ বলবেন, এবার এসো, আবার এসো। আমি এখানেই থাকি।