Skip to main content

একজন নাস্তিক মন্দিরের বাইরের চাতালে ঘুমিয়ে পড়েছে। অনেক রাত। মাঝরাতে মশার কামড়ে তার ঘুম ভেঙে গেল। পায়ে কি একটা ঠেকল। তাকিয়ে দেখে মন্দিরে যার বিগ্রহ, সে!
       সে ধড়মড় করে উঠে বলল, এই যা! আপনার গায়ে পা লাগল..কিছু মনে করলেন?
       দেবতা বলল, আমাকেই মানো না… তা এত ভাবনা কিসে? পা লেগেছে তো শূন্যে।
       নাস্তিক বলল, তা বটে। তবে কিনা পা'টা আমার, পায়ে লাগা ধাক্কাটাও আমার, তাই বলছিলাম আর কি।
       দেবতা বলল, তাই তো আমিও বললাম, কেউ ধাক্কাটাকে দেখে, কেউ ধাক্কা লাগার বস্তুটা দেখে।
       তবে কি আজ থেকে আমি আস্তিক?
       দেবতা হেসে বলল, এই জামাটা তুমি পরে আছ, একে যদি উল্টো করে পরো, তুমি কি বদলে যাবে?
       না
       সেই, তোমার "আমি" চিরকালই একই "আমি" থেকে যাবে। লোকেই খালি জামার উল্টো-সোজা দেখে।
       তবে এখন আমি কি?
       যা তুমি চিরকালের।
       আর তুমি?
       সামনে কেউ নেই। লোকটা ধড়মড় করে উঠে বসল। জামাটা একপাশে খুলে রাখা তার। চারদিক অন্ধকার। ঝিঁঝিঁ ডাকছে। তার হঠাৎ মনে হল জামাটা দুদিকেই একরকম। মন্দিরের দরজার দিকে তাকালো। বাইরে যেমন অন্ধকার, ভিতরেও। আলো বলতে শুধু এক আকাশ তারা।