দাঁড় বাইতে বাইতে লোকটা পাড়ের দিকে তাকিয়ে ছিল
তার ছোট্টো কুঁড়েঘরটা মিলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে....ক্রমশ একটা বিন্দুর মত হয়ে যাচ্ছে...মিলিয়ে গেল...
চারদিকে এখন শুধু জল, জল আর জল।
মাথার উপর আকাশ।
যে আকাশ তার ঠাকুর্দা দেখেছে, বাবা দেখেছে, সেও দেখছে।
পাখির আওয়াজ। বাতাসের শব্দ। জলের কলকল।
সে শুনছে। তার বাবা শুনেছে। ঠাকুর্দা শুনেছে। আরো কত কত পূর্বপুরুষেরা শুনে আসছে।
সূর্য ডুবল। লোকটা ফিরছে।
ক্রমশ একটা আলোর বিন্দু তার চোখে স্পষ্ট হচ্ছে।
আলোর বিন্দুটা ক্রমে একটা বৃত্তের আকার নিল।
তার বাড়িতে প্রদীপ জ্বলছে। যে জ্বেলেছে সে ব্যস্ত এখন। সারাদিনের অপেক্ষায় আরো ব্যস্ত। সেও ব্যস্ত।
এমন ব্যস্ততায় সেও ফিরেছে। তার বাবা ফিরেছে। ঠাকুর্দা ফিরেছে।
লোকটা আকাশের দিকে তাকালো। তারাগুলো তার চেনা। হঠাৎ তার মনে হল, যেন বিশাল একটা জালের মধ্যে আটকে এই গোটা পৃথিবীর সব প্রাণীরা, এমনকি গাছেরাও। মানুষগুলো বোকা বুঝতে পারছে না। নাকি বুঝেও কিছু করার নেই- সেটা সবাই বুঝে গেছে। তাই জালের মরণ সৌন্দর্যকে বলছে - আহা!
ডিঙি তীরে এসে ঠেকল।