বুকের ওপর একটা জগদ্দল পাথর বসিয়েছিলাম
অজান্তেই
পাথরটা কবে জানি বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করল
সে ক্রমে আমার হাত-পা-মুখের মত হয়ে উঠল
আমি কাঁদতে চাইলে সে হাসে
আমি চীৎকার করতে চাইলেও সে হাসে
আমি হাসতে চাইলে সে গম্ভীর
আমি রাগতে চাইলে সে চুপ
পাথরেরই মত
ক্রমশঃ পাথরটা আমায় পেয়ে বসল
স্বভাবের গলার উপর দাঁড় করিয়ে
পাথরত্ব নিলাম
বিশ্বাসঘাতকের বিশ্বস্ত হলাম
নিজের বিপরীতে দাঁড়িয়ে
আমার বুকের ওপর এই জগদ্দলটা আজ অনেক বড়
আমার চেয়েও বড়। সত্যের চেয়েও বড়।
পাথরটা সরাতে আজ আমার ভীষণ ভয়
বিনা পাথরত্বে নিজের মুখোমুখি হতে আতঙ্ক
‘মরে যাই যদি চোখ ঝলসে’?
তবু সরাতে হবে এ জগদ্দলটা
একবার আকাশটাকে নিজের হাতে ছুঁয়ে তো দেখি
একবার জলের স্বাদ নিয়ে দেখি জিভে
সে সত্যিই অমৃত কিনা!
একবার না হয় কাঁদি,
‘নিজের চোখের জলের স্বাদ না পেলে মানুষের আত্মা বাঁচে না বেশিদিন’
কে যেন বলে গেল আমায়
ঘুমের ঘোরে গতরাতে