Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

অন্যমনস্ক

এলোপাথাড়ি ভাবনা। অন্যমনস্ক ভাবনা। এলোমেলো ভাবনা। সব এক কথা। লাগাম নেই। কে পরাবে লাগাম? বলি হাত-পা-মুখ
কিছু আছে প্রাণীটার, যে তাকে লাগাম পরাই? সে যাঁতাকলে পিষছে আমার মাথাটা।
এক-এক সময় মনে হয় মাথা তো না, যেন গ্রাইণ্ডার মেশিন। সব গুঁড়ো করে ঘোঁট পাকিয়ে দিচ্ছে।

অ-স্থির

পাহাড়ের চূড়ায় একটা প্রজাপতি বসেছিল। কেউ জানত না। তার ডানায় সূর্যের আলো ঠিকরে জ্যোতি বেরোচ্ছিল। কেউ দেখল না। 
   মেঘ করল। খুব বৃষ্টি হল। প্রজাপতি জলের তোড়ে ভাসতে ভাসতে নেমে এলো রাস্তায়। বৃষ্টির জলে ভেসে ভেসে এলো গ্রামে। 
   উঠল গা ঝাড়া দিয়ে একজনের বারান্দায়। বসল চুপ করে বাঁশের গায়ে। যে বাঁশের আগায় দাঁড়িয়ে বাড়ির ছাদ। 

অক্ষয় ভ্রান্তি

কি অক্ষয় হবে? আজ অবধি কি অক্ষয় হয়েছে? কিছু না। এই সত্য -
কিছু অক্ষয় হয়নি। না রামের রাজত্ব, না কৃষ্ণের বৃন্দাবন। অক্ষয় হয়েছে কি? না ধর্ম, না সম্পদ। না পুণ্য, না সঞ্চয়। না স্বাস্থ্য, না সুখ। শুধু বাসনাটুকু অক্ষয় থেকে গেছে, সব কিছু হোক অক্ষয়। ...

অভয়ারণ্য 

যা ভেঙে গেল
    তা মোহ ছিল 

যে চলে গেল
    সে ছলে গেল 

আঘাত বাজলো
...

অদেয় ভালোবাসা

দু’জন মানুষ ঠিক করল, তারা ঘর বাঁধবে। যারা নিজেদের ঘরে তো জন্মেছিল, কিন্তু ঘর তাদের নিজেদের ভাবেনি। ছেলেটাকে তার বাড়ির লোক বলেছিল, দূর হ! মেয়েটাকে তার বাড়ির লোকে বলেছিল, দুচ্ছাই!

অভিমান

পুড়তে রাজী আছি
যদি ছাই হয়ে গেলে আর ফিরে না তাকাও

শূন্য হয়েও যেতে পারি অনায়াসে
যদি আর কোনোদিন ডাক না পাঠাও

 

(ছবি Aniket Ghosh)

অসুর

সমস্যাটা হল অসুরকে নিয়ে। দুর্গোৎসব এখন আন্তর্জাতিক উৎসব। ছেলেখেলা নয়। গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী, লক্ষী, মা দুর্গা --- এঁদের আন্তর্জাতিক করতে বেগ পেতে হবে না। একটা 'গুডউইল' বলে ব্যাপার আছে। কিন্তু অসুর? 

অর্ধেক বাঁধা প্যাণ্ডেল

চন্দনার মাথাটা গরম ছিলই। চারটে বাড়ি কাজ। সমস্যা হয় মুখার্জি বাড়ির বৌদিকে নিয়ে। জন্মের শুচিবাই। অতগুলো বিছানার চাদর কেউ একসঙ্গে ভেজায়? জানে না এই এক সপ্তা হল ডেঙ্গু থেকে উঠেছে চন্দনা! লোকের বাড়ি খেটে খায় বলে কি মানুষ না!

অনৃত 

আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের শরিক না হয়, আমি স্বৈরাচারী হই, তুমি জানো না? 

আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের অংশীদার না হয়, আমি ধূর্ত, কপট হই, তুমি জানো না?

আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের অনুগামী না হয়, আমি শব্দ ব্যবসায়ী হই, তুমি জানো না?

আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের ভালোবাসা না হয়, আমি শূন্যের প্রতিশব্দ হই… তুমি জানতে পারবে না কোনোদিন
     আমি জানি!

অনুভব

বিশ্বাস করি কেউ একজন তাকিয়ে আছে। সব দেখছে। অনুভব করছে। আমাকে আমার মত করে বুঝছে

অনাদর 

মৃত্যুর মত অভিমান তোমার
                              শীতল

সাড়া দেওয়ার অভ্যাস ভুলেছ

কুলুঙ্গিতে রাখা অভিযোগ 
          পুড়তে পুড়তে 
 সারা দেওয়াল কালি

অধ-লৌকিক

 

গোঁসাই বলল, তিনশো ষাট ডিগ্রি না ঘুরলে?

অবান্তর

মঞ্জু জানত আজ না হয় কাল হবেই। যখন সাবানটা কনুই থেকে কাঁধের দিকে টানছিল, তখনই টের পেয়েছিল, ভাঙবে, আজ না হয় কাল। সাবান ভাঙার আগে সাবান জানান দিয়ে যায়। মাঝখানটা

অভিসার

সবক'টা নীল আলো যেন ডাকছে, আয় আয় নীলু আয়...

অনাত্মীয়

তোমার চোখের দিকে তাকালে মনে হয়

অনবরত

অনবরত যদি রাস্তা বদলালে

অনুভব

থেমে আছি। দাঁড়িয়ে।

অশ্রদ্ধা

সমস্যাটা চূড়ান্ত আকার নিল পুলকের কাজটা চলে যাওয়ার পর। একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে সেলসের কাজ করত পুলক। আহামরি কিছু মাইনেপত্র না হলেও চলে যাচ্ছিল একরকম। তিস্তার

অহেতুক করুণা

চেন্নাইতে করমণ্ডল ঢুকল বিকেলে। কাটপাডি যাওয়ার ট্রেন সন্ধ্যায়। কাটপাডি স্টেশান মানেই আমাদের চলতি ভাষায় যাকে বলি ভেলোর।

অকারণ গ্লোরিফাই

     পথের পাঁচালির ইন্দির ঠাকুরন। অভিনয় করছেন কে? তরুণী মাধবী। কিম্বা তরুণী সাবিত্রী।

অপার্থিব

ডান হাতটা ময়লা শাড়িটার আঁচলে বার কয়েক মুছে, মাথার ঝুড়িটা মাটিতে না

অন্য মাতৃদিবস

রম্ভাদেবী যখন নাভি হয়ে গঙ্গায় ভাসছেন, তখন একটা নোঙরে আটকে গেলেন।

অদূরে

প্রভু, এসো, এসো, এসো।

অরিষ্ট

পাখাটা ঘুরছে। ফুল স্পিডে না। এসি আঠাশে করা। ঠাণ্ডা লেগেছে অলোকেশের। ঘড়ঘড় আওয়াজ হচ্ছে। ঠাণ্ডা লাগলে হাঁপানিটা বাড়ে। সিগারেটটা ছাড়ো অলোকেশ!

অভিজ্ঞতা

ব্যাপারটায় সত্যিই ধাঁধা লেগে গেল। আমাদের মাথা কি সাংঘাতিকভাবে অভ্যাস নির্ভর আজ প্রত্যক্ষ করলাম আবার।

অবাধ

আমার হাতের বাইরে দিয়ে, আঙুলের ফাঁকের ভিতর দিয়ে তিরতির করে বয়ে যাচ্ছে সময়।

অভিসারের আলপনায়

সকাল ন'টা। গঙ্গার হাওয়া ফুরফুর করে আসছে। সারাটা সকাল যে শরীরটা রান

অপলক

রিকশাটা একদম দেওয়ালের গায়ে দাঁড় করাতে চাইছে বয়স্ক মানুষটা….

অঞ্জলি

তিনি প্রতিদিন শেষ বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি, বাঁধানো গঙ্গার ঘাটের শেষ সিঁড়িতে বসে থাকেন। গঙ্গার জলে ডোবে পা, আবার ডোবে না, জোয়ারভাটার হিসাব অনুযায়ী। চোখ ডোবে।