Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

অন্য আকাশ

আকাশটা গুটিয়ে
খাটের তলায় রেখে দিয়েছি
  ট্রাঙ্ক বন্ধ করে

আমায় কেউ বাইরে খেলতে ডাকলে বলছি,
  না যাব না
...

অচিন পাখির ঠাহর

পাখি কখন উড়ে যায়.... বদ হাওয়া লেগেছে গায়...
   মেট্রোরেলের ভিড়ের মধ্যে প্রহ্লাদ ব্রহ্মচারীর গলা। ধীরে ধীরে গাইছেন। আমার হাতে ধরা মায়ের নানা পরীক্ষার রিপোর্ট। ভালো না রিপোর্ট। ডাক্তার বলেছেন
...

অন্য বিষাদের গল্প

কারণ বাবার বেঠিক হওয়ার ক্ষমতা নেই। বাবার পছন্দ, বাবার বিচার, বাবার সিদ্ধান্ত – সব সময় নির্ভুল। ঈশ্বর বাবাকে এ ক্ষমতা দিয়েছেন। সবার ভুলের উপর বাবার নিষ্ঠুর নির্ভুল কটাক্ষ। বাবার চোখ কোনো ভুল এড়িয়ে যায় না। বাবার উপস্থিতি ভয় আর নিশ্চিন্ততার একটা মিশ্র উপস্থিতি। বাবার সাথে
...

অগ্রন্থিত

আমার সুসজ্জিত দুর্বিনীত প্রাচুর্যপূর্ণ
   গ্রন্থাগার দেখে ভাবলে
    তোমার সাথে পরিচয় হল
     একজন ভালো মানুষের

তুমি কামারশালা দেখোনি
...

অ্যাগ্রেসিভ

আমার কোনোদিন মনে হয়নি আমি ওকে ভালোবাসি। ভুল বললাম। আমার আগে মনে হত, আমি ভীষণ ভালোবাসি, প্রচণ্ড ভালোবাসি। কিন্তু এখন সেরকম তো কিছু মনে হয় না! কিন্তু একটা দুর্বলতা বোধ কিছুতেই
...

অনেক কথা বলার ছিল

ছাত্র। তারপর ভাইয়ের মত। বাৎসল্য, স্নেহ, প্রশ্রয়, আবদার, বকাঝকা, আদর, দুষ্টুমি, বাঁদরামি – এ সব শব্দের সঙ্গে মৃত্যু শব্দটা যায়? যায় না তো না। কিন্তু সে তো আমাদের মানুষী মায়ার অঙ্কে।
   আজ সকালে জানলাম সে নেই। তারপর শুনলাম
...

অকাল বসন্ত

তোমরা বলো বসন্ত মানে
  পলাশ, আবীর, শিমূল
   ভালোবাসা ভালোবাসা

আমার কিন্তু এখনও
  বসন্ত
...

অল দ্য বেস্ট পুকাই


পুকাই বাইরে উঠানে ক্যাম্পখাটে বসে বসে মাছরাঙাটাকে দেখছে। মাছরাঙাটা বেড়ার উপর বসে রোদ পোহাচ্ছে। এক একবার পুকাইয়ের মুখের দিকে তাকাচ্ছে।

অমৃত... বিষের স্রোতে

সনাতন বৈরাগীকে দেখলে মনে হবে এরকম মানুষ তো প্রায়ই রাস্তায় চলতে ফিরতে চোখে পড়ে। বিশেষত্ব বলতে তো কিছু নেই!

অবাস্তব

তুমি বললে, অবাস্তব
আমিও বললাম, অবাস্তব ...

অতি সাধারণ যে

কলকাতার
কোনো একটা অখ্যাত গলির মোড়ে
অখ্যাত একটা ছোট্টো রুটির দোকান ছিল

অভিমান দুর্বলের রাগ

অভিমান দুর্বলের রাগ। সে যতই কাব্যিই অভিমান নিয়ে হোক না কেন, আদতে যে দুর্বল, অভিমান তারই
হয়। যে নিজেকে ভাবে অশক্ত, অক্ষম তারই অভিমান হয়। সে নিজেকে উপেক্ষিত, বঞ্চিত ইত্যাদি নানা
কিছু ভেবে ভেবে রোষানলে পুড়ে মরে। কিন্তু কাজের কাজ কি কিছু হয়? হয় না।

অপচয়

বৃষ্টির সব বিন্দুই কি নদী, খালে, বিলে, সাগরে, চাষের ক্ষেতে গিয়ে পড়ে?
কিছু তো এদিক, ওদিক ...

অবসেসান

রমাকান্তর আজকের বক্তৃতার বিষয়, "মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ"।

কিন্তু গাড়িতে যেতে যেতে মনটা ভীষণ খচখচ করছে রমাকান্তর। কেন জানি মনে হচ্ছে বাইরের দরজার তালাটা একবার টেনে দেখলে হত। তালাটার একটু গোলমাল আছে। চাবি ঘুরে যায়, কিন্তু তালাটা গলা ঝুলিয়ে কাত হয়ে খুলে যায়। এতক্ষণে কি খুলে গেছে তবে? কেউ ঢুকেছে? যে ঢুকেছে সে চোর না মানুষ?
...

অসতো মা সদ্গময়

সত্য বহুমাত্রিক। জৈন তীর্থঙ্কর বললেন, সত্য অন্ধদের হস্তী স্পর্শনের মতন। কেউ লেজ ধরে বলবে, সরু। কেউ পা ধরে বলবে থামের মত। কেউ পেট ধরে বলবে, মোটা। এই উদাহরণটি পরে শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন। 

অনপেক্ষ

দোলের উৎসব চলছে। মন্দিরে আজ প্রসাদ বিতরণ হবে। গোঁসাইও এসেছে মন্দিরে। মন্দির প্রাঙ্গণ লোকে লোকারণ্য। গোঁসাইয়ের চো পড়ল জবার উপর। ভিড়ের বাইরে কুসুমকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে।

অন্য পূজো

ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী --- এই পাঁচটা দিন নিয়েই বাঙালীর রাজকীয় উন্মাদনা, বাঙালীর শারেদাৎসব। দেবী দূর্গার আবাহন, পূজো আর বিসর্জনের মধ্যেই বাঙালীর সাবেকী আর বারোয়ারি আনন্দ, খানাপিনা, ফুর্তি আর আমোদ আহ্লাদ। কিন্তু এই পূজো কি শুধুই আনন্দের? না তো!

অনুভবের স্রোত আর চিন্তার জাল

ভাষা ব্যষ্টির অভিজ্ঞতাকে সমষ্টির সামনে নিয়ে আসে।

    মত ও অভিজ্ঞতা দুটো আলাদা শব্দ। মত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাজাত। যেমন রসগোল্লা মিষ্টি। এ সমষ্টিগত অভিজ্ঞতা। কিন্তু রসগোল্লা সব চাইতে ভালো মিষ্টি --- এ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। মত। "আমার মনে হয়" --- এই কথাটা বেঁচে আছে, ভাষা আছে বলেই। নইলে আমার কি মনে হয়, তাকে পৃথকভাবে জানার বা জানানোর উপায় ছিল না।

অথোরিটি

কয়েকটি কথা আবশ্যক বিবেচনা করিয়া লিখিবার প্রয়াস পাইতেছি। আমি নানাবিধ বিষয় লইয়া লিখি। যে বিষয় আমায় পাইয়া বসে সেই বিষয়ই আমায় দিয়া লিখাইয়া ছাড়ে। কিন্তু কোনো বিষয়েই আমি নিজেকে অথোরিটি মনে করি না। অথোরিটির কোনো বাংলাই মনোমত না হওয়ায় অথোরিটিই লিখিলাম। 

অধরম মধুরম

অধরম মধুরম।
 

    বলা হল মধুর। মাধুর্য। এ কোথায়? যে দেখে না, যা দেখে?

    দর্শন থাক। হৃদয় কি বলে? যা দেখে? না, যে দেখে?

অতিশয়োক্তি

সত্যের সমস্যা মিথ্যাকে নিয়ে ততটা নয়। মিথ্যা সত্যের সতীন। তাদের মধ্যে কোন্দল আছে যেমন, তেমন পাশাপাশি অবস্থান করে সংসার চালানোও আছে। সত্যে মিথ্যায় মিলে জগৎ সংসার। এ আমরা একপ্রকার মেনেই নিয়েছি। এইতেই স্বাভাবিক ছন্দ আমাদের। কে আর বেছে বেছে খাঁটি সত্যে জীবন ধারণ করবে রে বাবা, অমন পরমহংস হলে আমাদের পেট ছেড়ে দেবে। তাই মানুষের আরেকটি আবিষ্কার হল, অতিশয়োক্তি। 

অথচ

তুমি, কবিতাকে ভাবো কল্পনা। অলীক। মিথ্যা মুষ্টিভিক্ষা। 
অথচ 

তোমার লোভকে ভাব বাস্তব। সত্য। শুধু সময় আর সুযোগের যেন অপেক্ষা।

অপেক্ষা

অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন জন্মালো। স্বপ্নেও অপেক্ষা হল না শেষ। এলো না সে। অথচ আসবার কথা দিয়েছিল যেন, স্পষ্টভাবে নয়, ইঙ্গিতে। এমন কতবার হল!

    "অপেক্ষা করার দায় কি শুধু আমার!" - নিজেকে চীৎকার করে বলল সে, নিঃশব্দে। ঠিক করে নিল, আর অপেক্ষা নয়।

অনুভব করেছি

দেখা হয়নি
শোনা হয়নি
জানা হয়নি 

অনুভব করেছি

দেখায়
শোনায়
জানায়

অনুভব না জন্মালে

মানুষ মানেই ভয়। 'সাহস' ঠিক ভয়ের বিপরীত শব্দ নয়। সাহস হল ভয়কে প্রতিরোধ করার শব্দ। বা আরো সাদা ভাষায় ভয়ের সঙ্গে যোঝার শব্দ। 'অভয়' শব্দটা ভয়হীনতা, সে সবার আসে না। সক্রেটিস, ব্রুনো, চৈতন্য, খ্রীষ্ট, স্পিনোজা, গ্যালিলিও প্রমুখ যেসব বিখ্যাত মানুষদের কথা ইতিহাসে শোনা যায়, যারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে হলেও একটা আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। তাদের নিয়ে কথা নয়। ভয় হয় তো তা

অসময়


---
উপাধ্যায় মশায়ের সারারাত উত্তেজনায় ঘুম এলো না। কলেজে পড়ায়। পলিটিকাল সায়েন্স পড়ায়। বিজ্ঞানচর্চার পাশাপাশি জ্যোতিষচর্চাতেও নামডাক আছে। রবিবার বিকেলে তো বাড়ি থিকথিক করে মানুষে। কত দূর দূর থেকে লোকজন আসে। উপাধ্যায় মশায়ের বাবা, শিবপ্রসাদ উপাধ্যায়ও ছিল খুব বড় জ্যোতিষী। পসার জমাতে বেশিদিন লাগেনি তাই রামপ্রসাদ উপাধ্যায়ের। রামপ্রসাদের বয়েস এখন বাহান্ন। নাতি-নাতনি নিয়ে ভরা সংসার। বড় ছেলে থাকে মেলবোর্নে। ওখানেই চাকরি। মেজ থাকে লক্ষ্মৌতে, গাড়ীতে এক-দেড় ঘন্টা লাগে। সেজ বারাণসীতে, শিবমন্দিরের পুজারী। ছোটোটা… মনে করতে চায় না, উচ্ছন্নে গেছে। বিয়েও করেছে এক মুসলিমকে। রামপ্রসাদ একরকম ত্যাজ্যপুত্রই করেছে তাকে। শুধু স্ত্রী রম্ভার জন্য মাঝে মাঝে আসতে দিতে হয়। তাও শুধু ছেলেকে, বউ সে বেঁচে থাকতে এ বাড়ির ছায়াও মাড়াবে না, হুকুম!

অনুভবটা বাস্তব

অন্ধকারে ভূত কল্পনা করে যেমন ভয় হয়,তেমনই এ বিশ্বসংসারের একজন চালক আছে কল্পনা করে ভক্তি হয়। 

    মজা হল, কল্পনাটা কল্পনাই, কিন্তু অনুভবটা তো বাস্তব। তাই অনুভবটা বাস্তব বলে মানুষ এরপর কল্পনাটাকেও বাস্তব বলে ভ্রমে পড়ে। ফলে ভগবান আর ভূত দুই-ই সত্যি হয়ে দাঁড়ায়। 

অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড

একবার হল কি ওশোর যৌনতার উপরে লেখা একটা বই নিয়ে একজন বরিষ্ঠ জ্ঞানীগুণী মানুষ, খুব সম্ভবত মোরারজী দেশাই মন্তব্য করেন, খুব অশালীন বই ইত্যাদি ইত্যাদি। ওশোকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনার এই বিষয়ে কি বক্তব্য।

অন্ধভক্তি আর অন্ধবিদ্বেষ

কথাগুলো অনুকূল চন্দ্রের। ইদানীং প্রধানমন্ত্রী থেকে শুভেন্দুবাবু থেকে থেকেই ওনার নাম করছেন, অবশ্যই ওনার বৃহৎসংখ্যক ভক্তসমাজের ভোটের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু কথা হল, উনি এই কথাগুলো, মানে এরকম কথা উনি অনেকবার বলেছেন। ভীষণ স্পষ্টভাবে বলেছেন। এ কথা কি তেনাদের হজম হবে?

অপূর্ব.. অপূর্ব..

এক গ্রামে সবাই একচোখে দেখত। আরেক চোখ ছিল কানা। সবারই।
সবাই জানে, কিন্তু কেউ কাউকে বলে না। কারণ? লজ্জা গো লজ্জা।
সে বহুযুগ আগের কথা। এক সাধু এই গ্রামের উত্তরে যে গুহা আছে না, ওখানে ধ্যান করত।...

অভিমানী বাইডেন

এই তো কদিন আগে, বউকে তার আপত্তি সত্ত্বেও বন্ধু রং মাখিয়েছিল বলে, কি সুন্দর
টুক করে গুলি করে খুন করে চলে এলো তার বর। কেউ এট্টুও প্রশংসা করল না মানুষটার

অবিনশ্বর মরিয়াপনা

ছেলেটা তার দম দেওয়া ট্রেনটাকে বলেছিল

ভাঙবি না কোনোদিন
ট্রেনটা একদিন ছাদের কার্ণিশ থেকে পড়ে
স্প্রিংট্রিং বার করে হাঁ হয়ে পড়েছিল কুয়োপাড়ে

অখণ্ডতা' আর 'সততা'

'অখণ্ডতা' আর 'সততা'র মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কি? রামকৃষ্ণদেব যখন বলছেন,
টেলিগ্রাফের তারে ফুটো থাকলে খবর যায় না, তখন বলতে চাইছেন তো এই অখণ্ড অনুভবের কথাই?

অন্ধকার, কিন্তু অন্ধ নয়

বুদ্ধ বললেন, আত্মা নেই। দুঃখই সত্য। বেদান্ত বললেন, আত্মা চৈতন্যময়। আনন্দই সত্য। দুঃখ আর আনন্দ সামনা সামনি এসে দাঁড়ালো। সামনাসামনি দাঁড়ালেন যেন বুদ্ধ আর রামকৃষ্ণ। বুদ্ধ বললেন, নেই। রামকৃষ্ণ বললেন, সেও হয়। মা শূন্যও তো হয়। বুদ্ধ বললেন, সংসারে দুঃখই সত্য। রামকৃষ্ণ বললেন, দুঃখ সত্য। তবে দুঃখই সত্য নয়। আনন্দও আছে। তুমি যাকে বলো নির্বাণ। বোধে বোধস্বরূপকে অনুভব করা। সে অস্তি-নাস্তির পার।