যোঝাযুঝি
হাত ডুবিয়ে স্রোত ছুঁয়ে থাকি
মুঠো তো করি না,
তল পাওয়ার লোভে
যোঝাযুঝিও না
যখন টবে জল দিলাম
যখন টবে জল দিলাম
তখন কিছুটা জল শুষল রোদে পোড়া তৃষ্ণার্ত টবের মাটি
কিছুটা জল শুষল মাটির রোদে পোড়া বুক
অবশেষে কিছুটা জল নিল শিকড়
ভালোবাসা সব সময়ই একান্নবর্তী
যা তাই-ই
হঠাৎ করে ভীষণ মেঘ করল। কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না। সব কিছুরই কি আর পূর্ব প্রস্তুতি থাকে?
এই যেমন যে মহিলা যৌনাঙ্গে ভাঙা বোতলের টুকরো নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে, ওর কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিল?
তুমুল বৃষ্টি নামল। সাথে কি বাজ রে বাবা! ইনভার্টার খুললাম, ফ্রিজ, টিভির প্লাগ খুললাম। খুলব না? গেলবার বাজ পড়ে ইনভার্টারটা পুড়ল না? কিন্তু সব সময় কি আর দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া যায়!
যে স্বাধীনতা ভাবছি
আমাদের ছোটোবেলায় Turning Point বলে একটা অনুষ্ঠান দূরদর্শনে হত। Yash Paul সৌম্যকান্তি চেহারা, খুব কাছের একজন দরদী শিক্ষকের মতন বিজ্ঞানের নানা অজানা বিষয়ে আলোপাত করতেন।
চব্বিশে জুলাই মারা গেলেন। বিশেষ কেউ জানতে পারল না। কারণ, ১) তিনি কোন ধর্মগুরু নন, ২) তিনি রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তিত্ব নন এবং ৩) অবশ্যই বিনোদন জগতের জনপ্রিয় কেউ নন।
যুগাবতার
পদা আজন্ম শুনিয়া আসিতেছে একটি তৃণও ঈশ্বরের ইচ্ছা ছাড়া নড়ে না। একটি পিপীলিকার চরণে বাঁধা নূপুরের ধ্বনিও ঈশ্বর শুনেন।
পদা যত বড় হইতে লাগিল তত বিস্মিত হইতে লাগিল। এত নৃশংসতা, এত অমানবিকতা, এত বুভুক্ষা কেন তবে?
যদি বিশ্বাস করো
তুমি জানো না
আমাতে তোমার অনুভব, আর-
আমার বেছে আনা শব্দগুলোর মাঝে কতটা ব্যবধান
আমি পরিমাপ তো জানি না
শুধু জানি
ঝিনুকের বুকে বসা মুক্তো
সমুদ্রের গভীরতা নিয়ে মাথা ঘামায় না
যতক্ষণ না শুকতারা ওঠে
...
যারা শুনতে পায়নি
‘ঈর্ষারা সুরক্ষিত হোক’
মন্দিরের দরজায় দাঁড়িয়ে
এমন একটা প্রার্থনা করার সময়
লোকটা হঠাৎ করে কেঁদে উঠেছিল
যে গোলাপটা ফুটেছিল
যুক্তি
রক্তকে যুক্তি বানালে
মিথ্যাচারকে যুক্তি বানালে
শোষণ অত্যাচারকে যুক্তি বানালে
যেমন চলা
ভীষণ ভিড়, যেমন হয়, তেমনই
একটা ফাঁকা জায়গায় খানিক দাঁড়ানো
কিছুক্ষণ,
যেমন আগুন
...
যার বুকে সাত সমুদ্রের জল
তবু তো শোক শুদ্ধ করে
রোদে পোড়া তপ্ত একটা রেললাইন
তখন উষ্ণ ফুৎকারে
পৃথিবীকে তালুতে রেখে গড়িয়ে নিচ্ছে মহাকাল
ঝিম ধরা দুপুরে চিলের ডাক
বড়ি দেওয়া কাপড় কুঁচকে যাচ্ছে ছাদে
যেখানে দেখিবে ব্রিজ
যেখানে দেখিবে ব্রিজ,
নাড়াইয়া দেখো ভিত
পড়িলে পড়িতে পারে
যখন তখন
যত ছায়া পড়ে
...
যানজট
...
যতবার তোমার সামনে এসে দাঁড়াতে চেয়েছি
যতবার তোমার সামনে এসে দাঁড়াতে চেয়েছি
তোমার মুখের দিকে তাকিয়েছি,
বলেছ, নিজেকে নিয়ে এসো
জিজ্ঞাসা করেছি, আমি কোথায়?
বলেছ, যেখানে তোমার সহজ আনন্দ, সেথায়
যাবো?
বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল কি? না বোধহয়। তবু কালো হয়ে গেল ভরদুপুরে চারদিক। ঝমঝম করে বৃষ্টি নামল। তুমি কি ঘুমালে? ঘুমের মধ্যে বৃষ্টির আওয়াজ যাচ্ছে কানে তোমার? এরকম একটা দুপুর ঘুমিয়ে কাটাবে? অবশ্য একদিক থেকে ভালো। মেঘ দিনের আলো কেড়ে নিলে, স্মৃতির আলো ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর স্মৃতি মানেই তো অকাজের কথা, বলো?
যেমন খবর বারোমাস
আমাদের দেশে ভীষণ শীত
আমাদের দেশে পরপর উৎসব
পয়লা জানুয়ারি, নেতাজি জন্মজয়ন্তী, প্রজাতন্ত্র দিবস
...
যাক গে!
ইশারায় ডাক দিলাম,
বললুম, ইদিকে আয়
...
যে ধ্রুবপদ দিয়েছ বাঁধি
...
যা হতে চলেছে
"সব ঝুট হ্যায়!"
...
যদি
জল বলল, ওঠো
বাতাস বলল, জাগো
মাটি বলল, বাইরে এসো
...
যে পথ গেছে পারের পানে
...
যিনিই আসুন
যিনিই জিতুন
যিনিই যান
...
যা রেখে গেলে
কেন পাখির মত ডানা মেলে উড়ে গেল না
...
যদি জিজ্ঞাসা করো
তবে এতগুলো বছর আমি কি করলাম?
...
যাহাই চমকায় তাহাই হীরে
...
যদি ফিরে আসে
বুকের মধ্যে ডিমের কুসুমের মত
একজন ঈশ্বর থাকলে ভালোই হত
...
যুদ্ধ না শান্তি ?
...
যামিনী
...
যারা একে একে চলে যাচ্ছেন
বাংলা অক্ষর সীমারেখা টেনে বলত,
ওই যে অতদূর ছিল চূড়া
...
যে গল্পটা শুনতে শুনতে কেশরাশি সফেদ হুয়া
...
যদি শান্তি চাও তবে ট্যাক্স দাও
অন্য মানুষ দুষ্টু মানুষ
নিজে ও নিজের
ভালো মানুষ
...
যখন তোমরা
যখন তোমরা হাততালি দাও
যখন তোমরা বাহবা দাও
তখন তোমরা
বসুদেবায়কুটুম্বকম
যখন তোমরা নিন্দা করো
যখন তোমরা আঙুল তোলো
তখন তোমরা মেরীর ছানা
দুষ্টু ভীষণ, বুদ্ধি কম
যার মুখোমুখি
জানে শুধু সে-ই
...