সৌরভ ভট্টাচার্য
2 March 2019
এরপর? মোটামুটি এক পর্ব হল। যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। শান্তি নয়, যুদ্ধ চাই। এই পর্বও মোটামুটি মিটল। কিন্তু খচখচ করাটা থামছে না।
1) পাশের বাড়ি ঘর ভর্তি গুণধর ব্যক্তিরা আছে, যাদের কাজ আমার বাড়ির শান্তি, সংহতি নষ্ট করা। যদিও সে বাড়ির অভিভাবকেরা বলছে, অমন কেউ নেই। চেনেই না। আবার মাঝে মাঝে বলে ফেলছে, আছে তো, মেলা অসুস্থ। হাস্পাতালে, সে সাপের বিষ নেই, দাঁত নেই, নড়ে নাকি চড়ে না, কাউকে যে কাটে না ইত্যাদি ইত্যাদি।
কি করে শান্তিতে থাকি? এই যেমন 26/11 কলকাঠি নড়ল খোদ করাচি থেকেই। সে হল। আছে। আমাদের দেশের অলিতে গলিতে রেড অ্যালার্ট জারি হচ্ছে ইত্যাদি, ইত্যাদি।
কি করে শান্তিতে থাকি? এই যেমন 26/11 কলকাঠি নড়ল খোদ করাচি থেকেই। সে হল। আছে। আমাদের দেশের অলিতে গলিতে রেড অ্যালার্ট জারি হচ্ছে ইত্যাদি, ইত্যাদি।
2) গতকালই বিশ্ব মুসলিম সঙ্ঘে পাশের বাড়ির লোকেরা গেল না আমরা গিয়েছি বলে। মানে আর কি, যা! খেলব না, ওকে খেলায় নিয়েছিস কেন, হুম?
3) ওদিকে পাশের বাড়ির কিছু মানুষ হঠাৎ ছাদে এসে যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই বলেছে বলে আমাদের দেশের অনেকেও চোখ মুছতে মুছতে বলেছে, দেখেছ! কি কোমল প্রাণ ওদেরও। তারা কি ভেবেছিল ও বাড়ির সবাই জঙ্গি? সবাই দুষ্টুলোক? তা তো নয়। ঠিক যেমন রোগের জীবাণু লুকিয়ে বাইরের লক্ষণগুলো লোপাট করে শান্তির আশা করাও খুব একটা খুশির খবর নয়।
যুদ্ধ কোনো কিছুর সমাধান নয়। ভারত সেই অর্থে যুদ্ধ কোনোদিন দেখেই নি। কথা আলোচনা হোক।
এই কথাগুলো খুব ভালো কথা। কে আর সুখশান্তি বিসর্জন দিয়ে যুদ্ধকে ডেকে আনতে চাইবে? কিন্তু সেই চাওয়াটাও যে খুব শান্তির আদর্শের দিকে চেয়ে যুদ্ধের বিরোধিতা করা হচ্ছে তা নয় কিন্তু। তার মানে যে যুদ্ধ-র হয়ে বলতে চাইছি তাও নয়। বলতে চাইছি একটা লুকোচুরি চলছে কোথাও। ঢাক গুড়গুড় চলছে। কিরকম?
এই কথাগুলো খুব ভালো কথা। কে আর সুখশান্তি বিসর্জন দিয়ে যুদ্ধকে ডেকে আনতে চাইবে? কিন্তু সেই চাওয়াটাও যে খুব শান্তির আদর্শের দিকে চেয়ে যুদ্ধের বিরোধিতা করা হচ্ছে তা নয় কিন্তু। তার মানে যে যুদ্ধ-র হয়ে বলতে চাইছি তাও নয়। বলতে চাইছি একটা লুকোচুরি চলছে কোথাও। ঢাক গুড়গুড় চলছে। কিরকম?
ক) পাশের বাড়ি বড়োই কপট। মিথ্যুক। সারা বিশ্ব জানে দুষ্টুলোক অনেকগুলো ওদের বাড়ির খুপড়িতে লুকিয়ে। কিন্তু সে কথা কিছুতেই স্বীকার করবে না। সম্মুখ সমরে এলে এক হয়। তা তো হবে না। তবে উপায়? খলের সাথে সরাসরি যুদ্ধ যে হয় না সে বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় পাতায় লেখা। সেখানে নানা কূটনীতির রাস্তা আছে। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি ইত্যাদি।
খ) আমাদের নিজেদের মধ্যে এখন তুমুল ধোঁয়াশা। সামনে ভোট। সবার আড়চোখ। সন্ধিগ্ধ দৃষ্টি। সবাই খতিয়ে হিসাব দেখতে চাইছে। কোনো কোনো পরবাসী পণ্ডিত আবার এভারেস্ট সদৃশ তত্ত্বকথা হেঁকে আরো মাথা গুলিয়ে দিচ্ছেন। আসলে মুশকিল হল আমাদের দেশে সোজা দাঁড়ানো মানুষের সংখ্যা বড্ড কম। কোনো না কোনো দিকে কথাই ঝুঁকেই যায়। সেই ঝোঁকে কোনদিকে কতটা জল মিশছে, অনুমান করা প্রায় অসম্ভব। তাও লাঠি ঠুকে ঠুকে কোন মাটি ফাঁপা আর কোন মাটি নিরেট বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবেগ আছে, পরিকল্পনা নেই, নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াসের ধারাবাহিকতা নেই। সব কেমন ছাড়া ছাড়া। একটার পর একটা ঢেউ। সব ঢেউই বড্ড মৌলিকতা চায়। সমুদ্র ঢেকে উঠতে চায়। ফলে ফোকাসটা যেন হারিয়ে হারিয়ে যায়। আবার একটা দুর্যোগের আঘাতের অপেক্ষা যেন।