হঠাৎ করে ভীষণ মেঘ করল। কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না। সব কিছুরই কি আর পূর্ব প্রস্তুতি থাকে?
এই যেমন যে মহিলা যৌনাঙ্গে ভাঙা বোতলের টুকরো নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে, ওর কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিল?
তুমুল বৃষ্টি নামল। সাথে কি বাজ রে বাবা! ইনভার্টার খুললাম, ফ্রিজ, টিভির প্লাগ খুললাম। খুলব না? গেলবার বাজ পড়ে ইনভার্টারটা পুড়ল না? কিন্তু সব সময় কি আর দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া যায়!
এই যেমন কে একজন আজ বলেছে শুনলাম, তোমরা যদি ফ্রি থিংকার হও, তবে শিব মন্দিরে মহামৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞ করো। কে জানে কে গৌরি লঙ্কেশ হয়ে যাও! লঙ্কেশ কি দ্বিতীয় সুযোগ পায়, না চায়?
বাড়ির সামনে জল জমল। জানি একটু পর নেবে যাবে। ভাবতে ভাবতে বৃষ্টি ধরে গেল। বাজ থেমে গেল। জল নামতে শুরু করল। কারেন্ট এলো। টিভি চালানো হল। ফ্রিজের যন্ত্র আওয়াজ শুরু করল। পাখা ঘুরল। লাইট জ্বলল।
পুরোনো খবরের কাগজগুলো সিঁড়ির নীচে ডাঁই করা।খবরগুলো ঘুমাবে এবার। ধুলোরা বিন্দু বিন্দু চাদরে ঢাকবে।
বাইরে গাছের পাতা চুঁইয়ে চুঁইয়ে জল পড়ছে এ পাতা থেকে ও পাতা। তারপর মাটিতে। আকাশের সব মেঘগুলো এখনও যায়নি। কয়েক টুকরো এদিকে ওদিকে। পশ্চিমের সূর্য মেঘের গায়ে গেরুয়া তুলিতে আঁকছে বেখেয়ালি টান।
মনের মধ্যেও কারা যেন ঘুমাতে চাইছে না। যেতে গিয়েও যেতে চাইছে না। চুপ করালেও চুপ করছে না। টিপ টিপ টিপ....শুধু বাইরে না, ভিতরেও...কারা যেন ঘরছাড়া...কোথায় যেন চাপা বারুদ..কারা যেন বোম ফাটাল সমুদ্রের তলায়...
খবরের কাগজের ঢিপির ভিতর থেকে আওয়াজ....ধুক..ধুক...ধুক...
সৌরভ ভট্টাচার্য
12 September 2017