যার শুনেছি জগতখানা
যার শুনেছি জগতখানা, তাঁর এত নেই জোরাজুরি
তাঁর যত সব চ্যালা চামুন্ডা, তাদেরই দেখি তাড়াতাড়ি
যে কোনো ভাবেই মানাতে হবে, শেখাতে হবে 'জি হুজুরী'
কার ভাবে কে পূজা চায় রে, সবই দেখি দেখনদারি!
যেখানে শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ে
যেন কিছুই হয়নি
যেন কিছুই হয়নি
এমন অনায়াসে হেঁটে গেলে
এই অনায়াস কত আয়াসের ফল!
তুমিই জানো
শুধু দেখলাম, নিজেকে লুকিয়ে
নিজেকেই ছিঁড়ে নিলে
যেন পাশাপাশি
সবাই পাশাপাশি আছি
যে যার গন্তব্যের অপেক্ষায়
গন্তব্য আসেনি এখনো, অপেক্ষাতে আছি
তাই পাশাপাশি আছি
একসাথে চলার মত যাচ্ছি
সবাই তবু অপেক্ষাতেই আছি
সবাই যেন পাশাপাশিই আছি
যদি পূজা করি মিছা দেবতার
যে যায়
আজ সকাল থেকেই মনটা খারাপ। আজ বলে না বেশ কিছুদিন ধরেই। Suvajit বদলি হয়ে পোরবন্দর চলে যাচ্ছে। আমার বন্ধু। ছিল ছাত্র। এখন কখনো বন্ধু, কখনো আত্মজ, কখনো অভিভাবক। যা হয়। ভালোবাসার আর কবে স্থির আয়তন হল বা গতিপথ হল!
যেদিন মিটবে ঘূর্ণিপাক
প্রতিদিন যদি একবার ডাকো
যদি একবারই যাও ছুঁয়ে
যদি একবার চাও তৃপ্ত নয়নে
যদি এক পা-ই হাঁটো -
সাথে নিয়ে
প্রতিদিন তবে তোমারই হোক
প্রতিদিন শুধু তুমি
তোমার বাইরে আর কি বা খোঁজা
তোমার আড়ালে আমি
যে কোনো মুহুর্তে
যে কোনো মুহুর্তে যা কিছু হয়ে যেতে পারে
যেতেই পারে
এক নিমেষেই এত নিবিড়ভাবে থাকা
না থাকা হয়ে যেতে পারে
যেই চিনেছ
কাজের সূত্র কাজকে চেনায়
কাজ চেনায় মনকে
মন চিনলে জগৎ সোজা
বেড়া যাবি টপকে
মনের মালিক তুই তো বটেই
তোর মালিক সে সেয়ানা
বাইরে আছিস মোহে মেতে
খুঁজে সুখের বাহানা
সব ভুলে সব আটকে আছে
জালের মধ্যে ঝপাং ঝপ
মন চিনে নে, মন চিনে নে
সত্য শান্তি মিলবে সব
যদি
কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে
সব ধুয়ে যদি যেত
সব রক্ত ধুইয়ে নিয়ে
মিথ্যা করে দিত!
হাত ছুঁয়েছিল যে মহানগর
বুক ছুঁয়েছিল যারা
ফিরিয়ে দিত বৃষ্টি একাই
যেন কেউ না স্বজনহারা
জানি এ সব ছাই কল্পনা
গল্পের মত সব
কাল থেকে চোখ মাড়িয়ে চলেছে
আচমকা হওয়া শব
যে জানে
যে জানে
সে শুধুই খুঁজে ফেরে জানাকে
যে বিশ্বাস করে
সে-ই আবিষ্কার করে নতুনকে
যা থাকবে
ওদের বুদ্ধি জিতবে
থাকবে, যতটা তার আয়ুষ্কাল
ওদের মতলবও সার্থক হবে
টিকে থাকবে সেও
যতটা তার আয়ুষ্কাল
যতদিন শিরদাঁড়ায় আছে জোর
পরিপাটি করে সাজানো ঠাণ্ডা ঘর
রঙীন আলোর মোহময়ী আচ্ছন্নতা
হাসিমুখে পাশ্চাত্য ভাষায় শৌখিন ভদ্রতামাখা
চেয়ারে টেবিলে পরিষ্কার থালা বাসনে কাঁটাচামচ
ইংরাজী ভাষায় কোনো পুরুষ কণ্ঠের গান বাজছে
যাক
ওটা কি পাখি? মাছরাঙা?
উড়ে গেল -
যখন
ঘুমন্ত মানুষগুলোর পাশে জেগে থাকতে থাকতে মাঝে মাঝেই চোখ জুড়িয়ে আসে
নিজেকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে তুলে চারপাশে দেখি,
নাহ্, জাগেনি কেউ,
শুধু নড়াচড়া আর পাশ ফিরে শোয়া
যেদিন তাঁরা বুঝলেন
...
যেদিন ঈশ্বরকে পেলাম
সেদিন প্রেম মেলল ডানা অনন্ত নীলে
দেহ-নীড় ছেড়ে এলো, হল ব্রজবাসী
যাঃ
যে নদী মরুপথে
যশোদির কবিতা প্রসঙ্গে
যশোধরার কবিতাযাপন
যেন
রক্ত হৃৎপিণ্ড পরীক্ষা করতে তোমার লুকানো নাম খুঁজে পায়!
যেনতেনপ্রকারেণ
তবু সোজা মেরুদণ্ডে দাঁড়িয়ে থাকার কি যেন একটা দায়!
যুদ্ধ ও শান্তি
যদি
শুধু বৃন্ত বা কুঁড়ি হলেও হবে
যেন
যাকে দরকার
...
যশিডি-মুরাডি
...
যেরকম
তোমার হাত পা চোখ মুখ লিঙ্গ আঁকব না
...
যুগান্তরের কবিতা
সভ্যতার ইতিহাসের হলুদ পোকায় কাটা দলিল
উড়িয়ে দিয়েছি
...
যাওয়া - আসার হিসাব
শুধু পুরোনো ক্যালেন্ডারটাই ফেলতে মন কেমন। বাকি আর ছাড়ব কি? যে যাওয়ার সেকি আর অনুমতির অপেক্ষা করে, না তিথি-নক্ষত্রের? আর যে আসে, সেও আসে এমনিই। যাওয়া - আসার হিসাব মেলা দায়। থাক বরং। আমার উঠোনে কত পায়ের ধুলো। ফেলি না। ফেলবও না। কিছু ধুলো চোখে পড়ে জ্বালা ধরিয়েছে। কিছু ধুলো মনে ধরিয়েছে রঙ। মুছেও গেছে কিছু। আবার রয়েও গেছে খানিক। জ্বালাও এসেছে সহ্যের মধ্যে।
যে চলে গেল
যে চলে গেল
সে জানল না
কেউ তাকিয়ে ছিল
কেউ তারই জন্য পথ ছেড়ে
পথের পাশেই বসেছিল
যবে ঝরা পাতা এলোমেলো ওড়ে
যা জমিয়েছি
জীবন চুঁইয়ে যা জমিয়েছি
সে বিষও না, অমৃতও না
জমেছে কিছু ভালোবাসা
ভালোবাসা মানে বিষও
তবে অমৃতও কি নয়?
যেন একটা রেসের মাঠ
যেন একটা রেসের মাঠ। সব ধর্মপ্রণেতা পুরুষেরা ঘোড়াগুলোর জায়গায় দাঁড়িয়ে। গ্যালারীতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক। কত রঙের পোশাক। সাদা, গেরুয়া, কালো, নীল, লাল। সব্বাই চীৎকার করছে - আরো জোরে...আরো জোরে...আমরা এগিয়ে...আসল ঈশ্বর আমাদের...ওদের নকল...জোরে... জোরে...জোরে....
শুধু যেন শেষ অবধি পৌঁছানোর অপেক্ষা...
যুদ্ধবিরতি
একটু বিশ্রাম চাইছি
মহিলা জননাঙ্গের উপর একটা সাদা পতাকা থাক
একটু যুদ্ধবিরতি চাইছি