Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

যার শুনেছি জগতখানা

যার শুনেছি জগতখানা, তাঁর এত নেই জোরাজুরি
তাঁর যত সব চ্যালা চামুন্ডা, তাদেরই দেখি তাড়াতাড়ি
যে কোনো ভাবেই মানাতে হবে, শেখাতে হবে 'জি হুজুরী'
কার ভাবে কে পূজা চায় রে, সবই দেখি দেখনদারি!

যেখানে শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ে

যেখানে শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ে
    অনাঘ্রাত গন্ধ ছড়ায় বাতাসে
ঘুমন্ত প্রজাপতির ডানার
    আলপনা আঁকে আকাশে

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

যেন কিছুই হয়নি

যেন কিছুই হয়নি
   এমন অনায়াসে হেঁটে গেলে
এই অনায়াস কত আয়াসের ফল!
                        তুমিই জানো
শুধু দেখলাম, নিজেকে লুকিয়ে
            নিজেকেই ছিঁড়ে নিলে

 

যেন পাশাপাশি

সবাই পাশাপাশি আছি
যে যার গন্তব্যের অপেক্ষায়
   গন্তব্য আসেনি এখনো, অপেক্ষাতে আছি
     তাই পাশাপাশি আছি
         একসাথে চলার মত যাচ্ছি
    সবাই তবু অপেক্ষাতেই আছি
       সবাই যেন পাশাপাশিই আছি

যে যায়

আজ সকাল থেকেই মনটা খারাপ। আজ বলে না বেশ কিছুদিন ধরেই। Suvajit বদলি হয়ে পোরবন্দর চলে যাচ্ছে। আমার বন্ধু। ছিল ছাত্র। এখন কখনো বন্ধু, কখনো আত্মজ, কখনো অভিভাবক। যা হয়। ভালোবাসার আর কবে স্থির আয়তন হল বা গতিপথ হল!

যেদিন মিটবে ঘূর্ণিপাক

প্রতিদিন যদি একবার ডাকো
যদি একবারই যাও ছুঁয়ে
যদি একবার চাও তৃপ্ত নয়নে
যদি এক পা-ই হাঁটো -
                  সাথে নিয়ে

প্রতিদিন তবে তোমারই হোক
  প্রতিদিন শুধু তুমি
তোমার বাইরে আর কি বা খোঁজা
  তোমার আড়ালে আমি

যে কোনো মুহুর্তে

যে কোনো মুহুর্তে যা কিছু হয়ে যেতে পারে
                      যেতেই পারে
এক নিমেষেই এত নিবিড়ভাবে থাকা
                  না থাকা হয়ে যেতে পারে

যেই চিনেছ

কাজের সূত্র কাজকে চেনায়
   কাজ চেনায় মনকে
মন চিনলে জগৎ সোজা
   বেড়া যাবি টপকে

মনের মালিক তুই তো বটেই
   তোর মালিক সে সেয়ানা
বাইরে আছিস মোহে মেতে
   খুঁজে সুখের বাহানা

সব ভুলে সব আটকে আছে
   জালের মধ্যে ঝপাং ঝপ
মন চিনে নে, মন চিনে নে
   সত্য শান্তি মিলবে সব

যদি

কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে
 সব ধুয়ে যদি যেত
সব রক্ত ধুইয়ে নিয়ে
 মিথ্যা করে দিত!
হাত ছুঁয়েছিল যে মহানগর
বুক ছুঁয়েছিল যারা
    ফিরিয়ে দিত বৃষ্টি একাই
       যেন কেউ না স্বজনহারা

জানি এ সব ছাই কল্পনা
  গল্পের মত সব
কাল থেকে চোখ মাড়িয়ে চলেছে
  আচমকা হওয়া শব

যে জানে

যে জানে
  সে শুধুই খুঁজে ফেরে জানাকে
যে বিশ্বাস করে
  সে-ই আবিষ্কার করে নতুনকে

 

যা থাকবে

ওদের বুদ্ধি জিতবে
   থাকবে, যতটা তার আয়ুষ্কাল

ওদের মতলবও সার্থক হবে
    টিকে থাকবে সেও
      যতটা তার আয়ুষ্কাল

যতদিন শিরদাঁড়ায় আছে জোর

পরিপাটি করে সাজানো ঠাণ্ডা ঘর
রঙীন আলোর মোহময়ী আচ্ছন্নতা
হাসিমুখে পাশ্চাত্য ভাষায় শৌখিন ভদ্রতামাখা
চেয়ারে টেবিলে পরিষ্কার থালা বাসনে কাঁটাচামচ
ইংরাজী ভাষায় কোনো পুরুষ কণ্ঠের গান বাজছে

যাক

     ওটা কি পাখি? মাছরাঙা?

            উড়ে গেল -

যখন

ঘুমন্ত মানুষগুলোর পাশে জেগে থাকতে থাকতে মাঝে মাঝেই চোখ জুড়িয়ে আসে

নিজেকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে তুলে চারপাশে দেখি,
নাহ্, জাগেনি কেউ,
শুধু নড়াচড়া আর পাশ ফিরে শোয়া

যেদিন তাঁরা বুঝলেন

যেদিন তাঁরা বুঝলেন ঈশ্বরের অস্তিত্বের চেয়ে মানুষের আবেগ আর ভয় বেশি সত্য
...

যেদিন ঈশ্বরকে পেলাম

যেদিন ঈশ্বরকে পেলাম ঈশ্বরের বাইরে
   সেদিন প্রেম মেলল ডানা অনন্ত নীলে
       দেহ-নীড় ছেড়ে এলো, হল ব্রজবাসী

যাঃ

যশোদির কবিতা প্রসঙ্গে

কবির শ্রেষ্ঠ পরিচয় তার কবিতা। এমনকি প্রাচীন অমর কাব্য গীতার সম্বন্ধেও বলা হচ্ছে
...

যশোধরার কবিতাযাপন

বছরের প্রান্ত সীমানায় পৌঁছিয়ে হঠাৎ ভাগ্যের তোরণ গেল খুলে। হাতে এসে পড়ল যশোধরা রায়চৌধুরীর একগুচ্ছ কবিতার বই। কিভাবে এলো সে গল্প থাক। শব্দের ভিতরের শব্দদের কথায় আসা যাক। ...

যেন

বিজ্ঞান ততটা মর্মভেদী যেন কোনোদিন না হয়
রক্ত হৃৎপিণ্ড পরীক্ষা করতে তোমার লুকানো নাম খুঁজে পায়!

যেনতেনপ্রকারেণ

যেনতেনপ্রকারেণ রাস্তাটা পেরিয়েও যাওয়া যায়
তবু সোজা মেরুদণ্ডে দাঁড়িয়ে থাকার কি যেন একটা দায়!

যুদ্ধ ও শান্তি

'War and Peace' শেষ করার পর মনে হল, উপন্যাসটার শেষ অধ্যায়গুলোতে টলস্টয় আর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এক দর্শনে এসে দাঁড়ালেন কোথাও। আমি 'পুতুল নাচের ইতিকথা' উপন্যাসটার কথা বলছি। দু'জনেই কোনো ব্যক্তিবিশেষকে নায়ক বা খলনায়ক বলতে রাজী নন যেন কোথাও। যেন সেটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে না। তবে কে কেন্দ্রীয় চরিত্রে? সময়। ...

যদি

যদি নিন্দা করতে চাও তো
      শুধু বৃন্ত বা কুঁড়ি হলেও হবে

যেন

আকাশটা ঝাঁ চকচকে
    বিকাল অবধি হল ভারী বৃষ্টি
সন্ধ্যেবেলায় দেখি
   ঝকঝকে তকতকে আকাশ
     আর মাঝ আকাশে অ্যাত্তোবড় চাঁদ!

যাকে দরকার

আমাদের চেতনায় একটা মধ্যযুগীয় শেওলা বরাবরই আছে। আজ বলে নয়। মধ্যযুগীয় নানা ধ্যান-ধারণারা এখনও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যথেষ্ট প্রভাব রাখে। আমাদের চেতনায় একটা পচন ধরেছে। যে পচনটার আশু সমাধান না খুঁজলে সত্যিই বিপদ। প্রগতিশীল, মুক্তমনা ইত্যাদি কথার অর্থ আমি ততটা বুঝি না, যতটা বিজ্ঞান নির্ভরতা বুঝি।
...

যশিডি-মুরাডি

আসলে কি দেখতে চাই? নদী, পাহাড়, জঙ্গলে কেন শুধু শুধু ঘুরে মরা? কি দেখতে চাই, মুগ্ধ হতে চাই কি? না, আসলে শুনতে চাই। নিজের ভিতরের কথা নির্জনে, নিঃশব্দে, নিজের চারদিকে একটু নিরিবিলি গড়ে। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে বেরিয়ে পড়া। কাজ – এটা এমন একটা মস্ত বড় শব্দ, ওর মোহ যেমন, ওজনও কিছু কম নয়।
...

যেরকম

আমি জোর করে, নিজের মত করে
  তোমার হাত পা চোখ মুখ লিঙ্গ আঁকব না
...

যুগান্তরের কবিতা

আমার গভীরে জন্ম নিয়েছে যুগান্তরের কবিতা
সভ্যতার ইতিহাসের হলুদ পোকায় কাটা দলিল
                                    উড়িয়ে দিয়েছি
...

যাওয়া - আসার হিসাব

শুধু পুরোনো ক্যালেন্ডারটাই ফেলতে মন কেমন। বাকি আর ছাড়ব কি? যে যাওয়ার সেকি আর অনুমতির অপেক্ষা করে, না তিথি-নক্ষত্রের? আর যে আসে, সেও আসে এমনিই। যাওয়া - আসার হিসাব মেলা দায়। থাক বরং। আমার উঠোনে কত পায়ের ধুলো। ফেলি না। ফেলবও না। কিছু ধুলো চোখে পড়ে জ্বালা ধরিয়েছে। কিছু ধুলো মনে ধরিয়েছে রঙ। মুছেও গেছে কিছু। আবার রয়েও গেছে খানিক। জ্বালাও এসেছে সহ্যের মধ্যে।

যে চলে গেল

যে চলে গেল
  সে জানল না
    কেউ তাকিয়ে ছিল

কেউ তারই জন্য পথ ছেড়ে
    পথের পাশেই বসেছিল

যা জমিয়েছি

জীবন চুঁইয়ে যা জমিয়েছি
  সে বিষও না, অমৃতও না

জমেছে কিছু ভালোবাসা

ভালোবাসা মানে বিষও
        তবে অমৃতও কি নয়?

যেন একটা রেসের মাঠ

যেন একটা রেসের মাঠ। সব ধর্মপ্রণেতা পুরুষেরা ঘোড়াগুলোর জায়গায় দাঁড়িয়ে। গ্যালারীতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক। কত রঙের পোশাক। সাদা, গেরুয়া, কালো, নীল, লাল। সব্বাই চীৎকার করছে - আরো জোরে...আরো জোরে...আমরা এগিয়ে...আসল ঈশ্বর আমাদের...ওদের নকল...জোরে... জোরে...জোরে....

শুধু যেন শেষ অবধি পৌঁছানোর অপেক্ষা...

যুদ্ধবিরতি

একটু বিশ্রাম চাইছি
মহিলা জননাঙ্গের উপর একটা সাদা পতাকা থাক

একটু যুদ্ধবিরতি চাইছি