কবির শ্রেষ্ঠ পরিচয় তার কবিতা। এমনকি প্রাচীন অমর কাব্য গীতার সম্বন্ধেও বলা হচ্ছে - গীতা মে হৃদয়ং পার্থ। অর্থাৎ এই কবিতাখানি আমার হৃদয়। কবিতাই একজন কবির শ্রেষ্ঠ আত্মজীবনী, বাকি যা সেটা জৈব-জীবনী, তার অতখানি গুরুত্ব আছে বলে আমার মনে হয় না। স্রষ্টার যা কিছু শ্রেষ্ঠ, তা তার সৃষ্টির মধ্যেই থাকে - এ চিরকালীন কথা।
যশোদির কবিতা নিয়ে আগে একখানি প্রবন্ধ লিখেছিলাম তাই সে বিষয় আর দ্বিতীয়বার অবতারণা করলাম না। তবে যে বইদুটো কিনলাম তার থেকে একটা করে কবিতা দিলাম। আবারও বলি, যশোদির কবিতায় আমার যেটা আশ্চর্যরকম ভালো লাগে তা হল, ধী-বোধ-ভালোবাসা-মগ্নচৈতন্যর এমন অদ্ভুত মাত্রার মিশ্রিত উপস্থাপনা। দে'জ এর থেকে একটা শ্রেষ্ঠ কবিতা ওনার বেরিয়েছে, দুর্ভাগ্য সেটা পেলুম না।
সাথে Pritam এর তোলা সেই ক্ষণিক মুহুর্তের ছবি (গতবারের ছবিটা দূরত্বের কারণে অস্পষ্ট ছিল), আর ওনার সাক্ষর। ওনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ ঘটেছে, ওনার আন্তরিক ব্যবহারে আর সবার মত মুগ্ধ আমরা বন্ধুরাও হয়েছি, এ নতুন করে আর কি বলার। মানুষ হিসাবে উনি অনেক বড় মাপের, বড় মনের। একটা ছোট্ট ঘটনা বলি। উনি বইদুটোতে যখন সাক্ষর করছেন তখন ওনার পাশে বেশ কিছু মানুষ, কথা বলবেন, একটা বই উদ্বোধন করবেন, বেশ ব্যস্ততা, এরই মধ্যে হঠাৎ সই করতে গিয়ে থেমে আমায় জিজ্ঞাসা করলেন, "তোমার স্ত্রীর নাম কি?" বললাম, নেই ( মানে বিয়ে করিনি আরকি)। অবাক হলাম, এত ব্যস্ততার মধ্যেও এমন সামান্য একটা কথাও মাথায় ক্লিক করে কি করে?
উনি সুস্থ থাকুন, ওনার আরো আরো লেখা পড়ার সুযোগ ঘটুক আমাদের এই প্রার্থনা। সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ যশোদি। প্রীতমকে অনেক ভালোবাসা ছবিটা তোলার জন্য।