Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

নারায়াণ ডাকি কহে

নারায়াণ ডাকি কহে
জুকেরবাগেরে
ফেসবুক জুড়ি কেন
  ক্রন্দন রোল ওঠে

নানক

নানককে নিয়ে অনেক গল্প। একটা গল্প আছে বাচ্চা নানক ঘরে বসে দেখছেন অনেক লোক, অনেক উপাচার নিয়ে চলেছে রাস্তা দিয়ে। নানক দৌড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কোথায় যাচ্ছ গো?
          তারা বলল, বৃষ্টি হচ্ছে না তো অনেকদিন। আমরা চাষ করতে পারছি না। তাই আমরা ঈশ্বরের আরাধনায় যাচ্ছি বৃষ্টির জন্য।
          নানক শুনে বললেন, বেশ, তোমরা দাঁড়াও, আমিও যাব।
...

নিজের চিত্তের প্রসাদ

এমন একটা লেখা লিখুন যাতে কেউ বুঝতে না পারে। মানুষ সহজে বুঝলে সহজে ভুলে যায়। সহজে পেলে মান কম দেয়। সহজ না, জটিল কিছু লিখুন।
          এইবার? এই যে এতবড় জটিল পৃথিবী, এত এত প্যাঁচাল, এত এত ঝুটঝামেলা, এই কি শেষ? না তো। এক মেলা লোক। হাজার রকম আলো, হাজার রকম মানুষ, হাজার রকম আমোদ, সমস্যা, ব্যবসা, উদ্দেশ্য। এ সবের শেষে কি থাকে? ভাঙা মেলা। তারপর শূন্য মেলা।
          যে ট্রেন হিল্লিদিল্লি ঘুরে এত এত রাস্তা পেরিয়ে যাত্রা শেষ করল, তাকেও কারশেডে গিয়ে বিশ্রাম করতে হয়।
...

নিস্তব্ধ পদচারণায়

শশী বাসনপত্র মেজে বাইরের দরজায় তালা লাগিয়ে বিছানায় গিয়ে শুলো। শুতেই পিঠটা টাটিয়ে উঠল। তবু জোর করে পিঠটা চৌকির কাঠের সঙ্গে চেপে রাখলে ব্যথাটা শান্ত হয়ে যায়। শশী অনেক ব্যথা শান্ত করে ফেলেছে এইভাবে, বুকের পাটাতনে চেপে ধরে থেকে। ছটফট করতে করতে ব্যথাটা কইমাছের মত মরে নেতিয়ে পড়ে। শশী ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়ে। ও, কই মাছ বলতে গিয়ে মনে পড়ল। শশীর হাতের কই খেতে এই হোটেলে কত লোকের যে

নিন্দুক

ছোটোবেলায় একটা গল্প শুনেছিলাম। গল্পটা খুব ক্লিশে হলেও আরেকবার বলতে ক্ষতি কি আছে?
             একজন লোক সে শহরে এক ধনীর বাড়ি কাজ পেয়ে গ্রাম থেকে চলে যায়। কিন্তু মাঝে মাঝে সে গ্রামে ফিরে আসে, আর এসেই বলে, এই তোমাদের রাস্তা? এই তোমাদের হাস্পাতাল? এই তোমাদের স্কুল? এই তোমাদের পঞ্চায়েত? এই তোমাদের শিল্প? এই তোমাদের সততা? ইত্যাদি, ইত্যাদি। 
             তো গ্রামের বেশিরভাগ লোকেই কিছু বলে না তাকে। আবার কেউ কেউ মৃদু প্রতিবাদ করে। কিন্তু বেশিরভাগ লোকই সে নিন্দুকের শহুরে পোশাক, অনুকরণ করা আচার ব্যবহারে মুগ্ধ হয় না বলে সে নিন্দুক যায় আরো আরো রেগে। 

নাকি পৌরুষের প্রয়োগশালা?

ওদের স্কুল আলাদা করো
ওদের রাস্তায় বেরোনো বন্ধ করো
ওদের মুখ দেখানো বন্ধ করো
ওদের উপার্জনের আইন বন্ধ করো
ওদের জনপ্রতিনিধি হওয়া বন্ধ করো

নিজের চিত্তের মাধুর্য

মহালয়ার দিন। গঙ্গার ঘাটে প্রচণ্ড ভিড়। বাবা তর্পণ করতে যাবেন। সঙ্গে আমিও গেছি। কারণ, বাবা স্নানে নামলে কাপড়জামা, চটি পাহারা দিতে হবে। বাবাকে দেখছি আগের দিন রাতে একটা মোটা বই থেকে কি সব লিখছেন। বইটা খুব সম্ভবত 'পুরোহিত দর্পণ'। ঠাকুর্দার বই। বইটার প্রায় নির্বাণ প্রাপ্তির সময় এসে গেছে, এতই ছেঁড়া।

নিজেকে নিঃশেষে দিয়ে

তুমি পরিপূর্ণতাকে বলো সত্য
তুমি পরিপূর্ণতাকে বলো প্রেম
তুমি পরিপূর্ণতাকে বলো ঈশ্বর

আমি অসম্পূর্ণতাকেই বলি সত্য
আমি অসম্পূর্ণতাকেই বলি প্রেম 
আমি অসম্পূর্ণতাকেই বলি ঈশ্বর 

তোমারই শুধু যেন 
    কোথায় যাওয়ার তাড়া
কি একটা হওয়ার যেন
          পবিত্র জেদ

নীচে চলো

প্রচণ্ড রেগে আছে সকাল থেকে। যতবার কাছে গেছে ততবার ঠেলে সরিয়ে দিয়েছে। আজ তো গায়েও হাত তুলেছে। এখন একটা কেক দিয়েছে যদিও। কিন্তু রাগে খিদেতে স্বাদই পাচ্ছে না কেকের। মাঝে মাঝেই আঁচলটা দিয়ে মুখটা মুছছে। থুথু ছেটাচ্ছে। কেকটা গলায় আটকে যাচ্ছে মাঝে মাঝে। চোখটা যেন বাইরে ঠিকরে বেরিয়ে আসছে। কোনোরকমে গিলে ফেলছে। 

নইলে


==
আশেপাশে কেউ থাকলে
    তোমায় না ভাবার চেষ্টা করি

নইলে কৈফিয়ত দিতে হয়
     অন্যমনস্কতার 


===
আমায় অনুভব করে বোলো
   অনুভব করলে কাকে,
      আমায়
          না নিজেকে?

নৈবেদ্য

রবীন্দ্রনাথে ফেরার দরকার হয় না, রবীন্দ্রনাথে তো বাস। 'নৈবেদ্য' যখন রিফ্লেক্ট পাবলিকেশান সাত টাকায় বার করল, প্রায় দুশো কপি কিনে ফেললুম। যে আসে তাকেই দিই। যেন সদ্য বেরোনো কোনো কবির কাব্যগ্রন্থ। কেন? জানি, আবার জানি না। যেটা জানি সেটা হল, এ কাব্যগ্রন্থ অনেক ঝড়ের রাতে আগলে রেখেছে। যা জানি না তা হল কি করে আগলে রেখেছে তা বুঝি না। সব বোঝার কি ব্যাখ্যা হয়?

নাস্তিক চলন

ছাত্র হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন লিখে পাঠালো, স্যার নাস্তিক চলন কি?
প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ালাম। নাস্তিক মানুষের চলন নানাবিধ। কেউ ঈশ্বরকে যুক্তিতে না পেয়ে নাস্তিক। কারোর ঈশ্বরের অস্তিত্বে অস্বস্তি, সে আরেক ধরণের নাস্তিক। আবার কেউ কেউ সিজন, লোকেশান, কমিউনিটি অনুযায়ী কখনও আস্তিক, কখনও নাস্তিক।

না জানি কি করে


===
গোলাপটা সাবানজলে কেচে
রোদে শুকাতে দিয়েছে দেখলাম
কাচাকাচির পরে,
চড়া রোদের তাপে
উজ্জ্বলতায় ফেটে পড়ছে যেন
কৃত্রিম না হলে
এতটা নির্লজ্জ কেউ হতে পারে?

নিরভিমান রোদ

বিকেলের নিরভিমান রোদ
তোমার চোখে এসে বসেছিল
আমার এক মুহূর্তে মনে হল
ও যেন আমায় ঘরের ঠিকানা জানিয়ে গেল

নাম যায় যাক, শিক্ষাটুকু থাকুক

আজ রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি। অবশ্যই এ বছরে এ তিথির গুরুত্ব অন্যরকম। রামকৃষ্ণদেব মানে সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা। কথা ক্রমে স্লোগান হল। স্লোগান ক্রমে ব্র্যাণ্ড ভ্যালু হল। ক্রমে অবতারে পর্যায়ক্রমে শ্রেষ্ঠ ঘোষিত হলেন - অবতার বরিষ্ঠায়। তারপরে সব কিছু প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে গেল। মানুষ সোজা সাপটা দীক্ষা পেল, সিরিয়াল পেল, সিনেমা পেল। একটা ব্র্যাণ্ড তৈরি হয়ে গেল। একটা নির্দিষ্ট ছাঁচ তৈরি

নৃপেনবাবু

নৃপেনবাবু না পাহাড়ে গেছেন, না জঙ্গলে, না সমুদ্রে। তাও আজীবন বেজায়
খুশীতে কাটিয়ে দিলেন। কিন্তু অঘোরবাবুর মনে দুঃখ আর যায় না। একদিন সারা ভারতের
আনাচে কানাচে ঘোরা অঘোরবাবু তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কোথাও না গিয়ে এত্ত মজাসে থাকেন কি করে?

নিষ্ঠুর

মেঘলা আকাশ

তবু
 "নির্ঘাত বৃষ্টি হবে" 
       শতাব্দী প্রাচীন
           বটবৃক্ষ আর বলে না

নীরবতায়

যেদিন তোমার ভাষায়
   আমার ভাবনাকে পেলাম

সেদিন জেনেছিলাম 
   তুমি আমার আপন 

যেদিন তোমার নীরবতায়
   আমার নীরবতাকে পেলাম

সেদিন বুঝলাম 
    আমি তুমিই

নতুন

ভালোবাসো 
তবে সবটুকু মন দিয়ে নয়


কিছুটা থাক
    নিজের জন্য


সে মনেও সে-ও আসুক
বন্ধু হয়ে
    প্রেম হয়ে নয় 


যদি তা পারো
ভালোবাসা কোনোদিন দমবন্ধ ঘর হবে না
খোলামেলা বাতাসে
    পরিচয় হবে নিত্যনতুন 
            নতুন নামে
                   নতুন ডাক নিয়ে

ন্যাকা

নেক ইনশান। মানে কি বুঝি? না, সাদামাটা ভালো মানুষ। এখন সেই 'নেক' শব্দ থেকে বাংলায় কি শব্দ জন্মালো? না, ন্যাকা, বা নেকা। কোনো মানে হয়? বলি ভালো মানুষ আর ন্যাকা মানুষ এক হল? 

নীলকন্ঠ যখন নটরাজ হয়

বরং জনগণকেই বলো নীলকণ্ঠ
কৈলাসে নয়
বরং তাকিয়ে দেখো
আশেপাশে 
দুর্নীতিতে, ভ্রষ্টাচারে
 ক্রুশবিদ্ধ হতে হতে
    যে ছেলেটা মেয়েটা
       তবু রাস্তায় নামছে
         ছুটছে,
         স্বপ্নগুলোকে

নিরুদ্দেশ

গোবিন্দের এই নিয়ে তিনটে রাত ঘুম হল না। ক্ষেতে যায়। গরুকে জাব দেয়। সন্ধ্যেবেলা তাস খেলতে বসে চণ্ডীমণ্ডপে। সব ঠিক আছে। কিন্তু মেয়েটাকে নিয়ে চিন্তা। বাঁ হাতের কব্জীর উপর এমন একটা ফুলো উঠছে। টিউমার। এই মাস গেলে বিয়ে। শাঁখা গলবে? কি যে দুশ্চিন্তা হচ্ছে। 

নাকি ঘর হারালাম?

কথা বলতে বলতে মনে হল, 
যা বলছি, 
     সে আমার কথা নয়। 

থেমে গেলাম। 

তোমার চোখের উপর চোখ রাখলাম। যেন কান রাখলাম শাঁখের বুকে। সমুদ্রহীন সাগর গর্জন। 

বলতে গেলাম, 
    ছেড়ে যেও না। মরে যাব। 

তখন তুমি অনেক দূরে। 
কখন গেলে? 
    মিলিয়ে যাচ্ছ ধীরে ধীরে।

নিঃসঙ্গ নয়

নিঃসঙ্গ নয়
একা করে গেলে

নীরবতা
সে তো
শব্দের অপারগতা

আমায় নিলে
আমাকে সরিয়ে ফেলে

 

[ছবিঃ অনিকেত ঘোষ]

নাছোড় কম্পাস

(মামুর জেনারেশন যে ভাষায় কথা বলে)

 

নেই

তুমি চলে যাওয়ার পর সব 

দেওয়াল বলল
         আমি নেই

ছাদ বলল
   আমিও নেই 

খাট, বিছানা, পাখা, আলো, বইপত্তর সবাই বলল
   আমি নেই

এমনকি ঘরের মধ্যে
 যেটুকু ছিঁটেফোঁটা সুখ, আরাম, বিশ্রাম ছিল
    তারাও বলল
           আমরা নেই

নীড়

একটা বিজ্ঞাপনে চোখ আটকালো, সারদা দেবীর উপর অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা বই, 'পরমাপ্রকৃতি' এরকম কিছু একটা নাম। সঙ্গে লেখা এই বইটা পড়ে জানুন, কে এই করুণাময়ী প

না - হ্যাঁ

জলের উপর উড়ে এসে, ডালে বসেছিল। বসেই জলকে বলল, জানো, যখন উড়ে এলাম, ছায়া পড়ল তোমার বুকে। আমার ছায়া। কই দেখাও? তুমি দেখেছ?

নষ্ট মানুষ

যে মানুষের ভিতর থেকে বিশ্বাস মরে গেছে, কিন্তু তবু বিশ্বাসের ভান নিয়ে বেঁচে আছে, সে নষ্ট মানুষ। এমন নষ্ট মানুষ সংসারে অনেক দেখা যায়। সাধু, সংসারী বলে কিছু হয়

নূপুর

মন্দিরে এসে দেখে গোপাল নেই। ভোগ সামনে, প্রদীপের শিখা জ্বলে জ্বলে শ

নির্ভার

পাখি জানলার পাশে পেয়ারা গাছটায় এসে বসল। নির্ভার।

না হয়

না হয় আলোই আসুক