Skip to main content

ভালো - খারাপ

ভালো দু’প্রকার। 

    এক, সোজা ভালো। যেমন ফুল, সুস্বাদু খাবার, মিষ্টি কথা, সুগন্ধ, শ্রুতিমধুর সঙ্গীত ইত্যাদি। 

দে দোল দোল

ভ্যাক্সিন, করোনা, ইভিএম আসিয়া
দাঁড়ায়ে আছে দ্বারের কাছে

তাই জাগিয়া উঠিয়া
   পরান আমার
আলজিব ধরিয়া 
    ঝুলিয়া আছে
      গলার কাছে

ওগো মঞ্চে টিভিতে পেপারে আজিকে কি হট্টগোল 
দে দোল দোল
দে দোল দোল 

হে সরীসৃপ

দেওয়াল জুড়িয়া দুইখানি টিকটিকি ঘুরিয়া ফিরিয়া বেড়ায়। ঝগড়া, ভালোবাসা লইয়া উহাদের সংসার। সারাদিন কয়েকটি পতঙ্গের খোঁজ পাইলে তাহাদের আমোদে-প্রমোদে দিন কাটিয়া যায়। আমার ঘর ভর্তি এত এত মূল্যবান বই, এত গভীর আলোচনা, কিছুতেই তাহাদের কোনো আগ্রহ দেখি না। তাহারা সুখে শান্তিতে আছে বলিয়াই বোধ হয়।

আগুনে পোড়ে না

আগুনে পোড়ে না
   ইমন, মল্লার, বসন্ত, কাফি

আগুনে পোড়ে না
সুরধারা আদি-অন্তহীন 
কালের আগুনে ছাই না হওয়া
সেই সে সুর

জানো না তোমরা
   আগুনে পোড়ে না
         আলাউদ্দিন!

কে তুমি

সদ্য ফোটা ফুলের উপর

সবুজ পাতার উপর
যখন ভোরের শিশির পড়ল
বিন্দু বিন্দু মুক্তোর মত জ্বলে উঠল
রবিরশ্মির প্রথম কিরণে

মাধুর্য বলল, আহা! 

শুকনো পাতার উপর
শুকনো ডালের উপর
ভোরের শিশির পড়ল যখন

বাসনা বলল, এত অকিঞ্চিৎকর তুমি!

শিরিরকণা বলল, কেন?

সাধারণ বুদ্ধি

ওদের দেশে এই নিয়েও গবেষণা হয়! ধ্যান করে কি হচ্ছে এই নিয়ে কোন গবেষণা মানে মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা, অবজেক্টিভলি ভারতে হয়েছে কি না জানি না। এই যে এত দীক্ষা, এত নানা ধরণের যোগ-কৌশল --- এতে কি আদৌ কোন স্থায়ী মানসিক পরিবর্তন ঘটে?

তোমাতে আমাতে

তোমাতে আমাতে কবে আবির খেলা হল?

   কবে আর রঙ গোলা হল একসঙ্গে? 

দোলের পূর্ণিমায়
    নিঃসঙ্গতায়
        তুমি, আমি 
            আর ওই বাড়াবাড়ি রকমের চাঁদ

গারদ


 


আমি কোনদিকে যাই

তখন সদ্য টুইটারে অ্যাকাউন্ট খুলেছি। কলেজ পাশ করেছি সদ্য, মনে বেশ একটা দেশের কাজ করার ইচ্ছা। হঠাৎ রবীন্দ্রনাথ টুইট করলেন যারা যারা শান্তিনেকতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রমে যোগ দিতে চাও, নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে ফর্ম ভরে ফেলো। 

তুমিও হও তুমি

তুমি কবিতা লিখে পাঠিও
   শব্দের নির্বাচন 
       ঠিক হোক না হোক
তোমার অনুভবটুকু হোক খাঁটি

নিঃশব্দ চোখ 
যদি এত গভীরে পুড়িয়ে যেতে পারে
তোমার অসম্পূর্ণ ভাষাতেও 
               পুড়ে যাব আমি

কনফিউজড

তো কৃষ্ণ যখন অর্জুনকে বললেন, কি বললেন? কৃষ্ণ বললেন, এই জ্ঞান আমি অমুক অমুককে আগে দিয়েছি। এই এখন তোমায় বলছি। 

    অর্জুন মেলা কনফিউজড, মানেটা কি? তিনি তখন কৃষ্ণকে বললেন, তোমার জন্ম তো এই সেদিন, আর যাদের কথা বলছ তারা তো কবে জন্মেছে... মানেটা কি?

অন্ধভক্তি আর অন্ধবিদ্বেষ

কথাগুলো অনুকূল চন্দ্রের। ইদানীং প্রধানমন্ত্রী থেকে শুভেন্দুবাবু থেকে থেকেই ওনার নাম করছেন, অবশ্যই ওনার বৃহৎসংখ্যক ভক্তসমাজের ভোটের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু কথা হল, উনি এই কথাগুলো, মানে এরকম কথা উনি অনেকবার বলেছেন। ভীষণ স্পষ্টভাবে বলেছেন। এ কথা কি তেনাদের হজম হবে?

তোমাকে

কে যেন বলল,

এই যে পাথরটা, সমুদ্রের ঢেউয়ে ক্ষয়ে ক্ষয়ে এমন ক্ষীণ হয়ে গেছে, এমন মসৃণ হয়েছে যে জ্যোৎস্নার আলোয় মনে হয় যেন বিশাল এক মণি। 

আমি পাথরটার পাশে বসলাম। সত্যিই জ্যোৎস্না ঠিকরে বেরোচ্ছে ওর গা ফেটে। 

এক পশলা বৃষ্টি

পাহাড়ে ঘেরা এক চিলতে জমি। হয় তো উর্বর। কিন্তু কেউ জানে না। পাহাড়গুলো এত উঁচু যে আজ অবধি কোনো মেঘ এসে এই এক চিলতে অভাগা জমিটার উপর দাঁড়ায়নি। মেঘ পাহাড়ের ওদিকে গিয়ে জমে। বৃষ্টি হয়। ঝর্ণা হয়ে সে জল নামে। কুলকুল শব্দ হয়। এই এক চিলতে জমি, সে সব কান পেতে শোনে। নিজের রুক্ষ শুষ্ক চেহারার দিকে তাকায়। দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তার বুকের উপর অনেক কষ্টে জন্মানো

আততায়ী তো তুমিও

আততায়ী তো তুমিও।

যখন অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের আঘাতে নিজের শুভবুদ্ধিকে হত্যা করে বলো, সমাজকে জিতিয়ে দিলাম। 

সমাজ বলতে বদ্ধ জলাশয় বোঝো, চিত্ত এমনই অসাড় তোমার।

সব কবিতার লাইন সত্যি হতে নেই

আমি ঘরে ঢুকতেই
  ছেলেটার মা আবার ডুকরে কেঁদে উঠলেন। 

"বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন, আপনি একটু পাশে বসুন" 
       কেউ একজন পাশ থেকে বললেন। 

"ছেলেটা আমার কোলেই মাথা দিয়ে বলল স্যার, মা আমি বিষ খেয়েছি"...

বড় অভিমানী

পাতা ঝরা নেড়া গাছটার
একদম মগডালে

সাড়া দাও

গোঁসাই বাগানে বসে। ফুলের বাগান। একতারায় সুর ওঠে। গোঁসাই ডোবে, মাঝে মাঝে চোখ খুলে তাকায়। চারদিকে দেখে। আবার ডোবে।

পাখিটা মরে না

পার্থক্য শুরু হয় পেন্সিল বক্স আর টিফিন বক্সের মান থেকে। তারপর টিফিন বক্সের ভিতর খাদ্যের মান, প্রকারভেদ থেকে। তারপর ইউনিফর্ম হলে কাপড়ের মান থেকে। সাইকেলের মান থেকে, বেল্টের মান থেকে।

এ শূন্যতাই থাকুক

"মা নেই", ব্যস, এই দুটোই শব্দ। তিনটে অক্ষর। কি অসীম শূন্যতা। প্রায় ন বছর, এই দুটো শব্দ সব কিছু বদলে বদলে দিচ্ছে। রোজ অল্প অল্প করে সব কিছু বদলে দিচ্ছে। দিনের আলোর রঙ, রাতের আকাশের স্নিগ্ধতা, ভাতের গন্ধের তৃপ্তি, ধুপের গন্ধের আরাম, রাতের বিছানায় মাথার বালিশের শান্তি - সব বদলে দিয়েছে। হাসির মুক্তোগুলো মেকি। কান্

শব্দ সুখ

শব্দ দিয়ে সত্যি কথাও বলা যায়, শব্দ দিয়ে মিথ্যা কথাও বলা যায়।

শব্দ সে কথা বুঝতে পারে। তাই কখনও কখনও একটা শব্দ তার পাশে বসা শব্দকে দেখে লজ্জায় দূরত্ব তৈরি করে। তার পাশে তার বসার কথা ছিল না তো! সে লজ্জা পাবে না! সেই অস্বস্তিকর দূরত্বকে অনুভব করতে পারে মন।

যেন ইংরাজিতে কালকূট

উইলিয়াম ডালরিম্পলের লেখা একটা বই কয়েক মাস আগে পড়েছিলাম - নাইন লাইভস্। নয়জন মানুষের উপর লেখা বেশ সুখপাঠ্য গভীর দরদী একটা বই। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের ন’টা জীবন। প্রত্যেকেই জীবনটা কিনারা বরাবর হাঁটছেন বা হেঁটেছেন তাদের বিশ্বাস, বিচিত্র রীতি ইত্যাদির উপর গভীর আন্তরিক আস্থা রেখে। ডালরিম্পল কারোর আস্থাকে সংশয়ের চোখে দেখছেন না, বিদ্রুপ করছেন না। তিনি তাদের সবার সামনে একটা জীবন জিজ্ঞাসা নিয়ে এসে দাঁড়াচ্ছেন। তিনি মৃত্যুমুখী দেবদাসীই হোন, কি জৈনধর্মাবলম্বী সন্ন্যাসিনীই হোন যিনি অন্নজল ত্যাগ করে ধীরে ধীরে মৃত্যুকে বরণ করে নিচ্ছেন, কি বাংলার অন্ধ কানাইদাস বাউলই হোন।

ঝড়

এই তো আবার ঝড় আসবে। সমস্ত ধাতব তারের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হবে দুর্ঘটনা এড়াতে। ঘরের মধ্যে গুটি গুটি পায়ে হাঁটু মুড়ে বসবে আদিমযুগের গুহার অন্ধকার। আমরা তাড়াহুড়ো করে মোমবাতি, হ্যারিকেন, লম্ফ জোগাড় করে যতটা পারি আলো জ্বালাব। মোবাইলের চার্জ বুঝেশুনে খরচ করব, যদি আজ কারেন্ট না আসে! তখনও বাইরে ঝড়। ছাদে ওঠা যাবে না, যদি কোনো উড়ন্ত টিনের চালা বা গাছের ডাল উড়ে আসে। বৃষ্টিও শুরু হল যে! বৃষ্টির ছাঁটে, হঠাৎ ঠাণ্ডা হাওয়ায় শরীর খারাপের ভয়। ঝড়ের আঘাতে ঘরে ঢুকে পড়া কিছু বিশ্রী পোকা উড়ে বেড়াচ্ছে তখন মোমবাতির শিখা ঘিরে ঘিরে। ওরা জংলী। ওরা বিষাক্ত। ওরা অভদ্র আদিম। জলের গ্লাসে, চায়ের কাপে, ভাতের থালায় যখন তখন পড়ে যেতে পারে। খুব সাবধান। খুব সতর্ক থাকার সময়। ঘরের ভিতর আলোর চেয়ে অন্ধকারের অনুপাত বেশি। ইনভার্টার বন্ধ থাক, বাজ পড়ছে না!

আমার সকালগুলো

গত রাতের ফুরিয়ে যাওয়া মোমবাতিটা
টেবিলের উপর শ্রীহীন একদলা মোম হয়ে পড়ে
    হীনমন্যতায়, লজ্জায়, অসম্মানে 

আমি ওভাবে 
   পড়ে থাকতে চাই না

বরং তুমি ফিরে যাও
       আমার সকালগুলোকে
                 অসম্মানিত কোরো না

do you know me

Dark mind asks enlightened mind... do you know me?

আমি-তুমি

তুমি কি শুধুই তুমিই? 

তুমি যেন
সময় পেরিয়ে দাঁড়িয়ে
             থাকা আমিই 

আমি কি শুধুই আমিই?

আমি যেন
ক্ষণকালের অসীম অপেক্ষায়
              তুমিই

নাম যায় যাক, শিক্ষাটুকু থাকুক

আজ রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি। অবশ্যই এ বছরে এ তিথির গুরুত্ব অন্যরকম। রামকৃষ্ণদেব মানে সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা। কথা ক্রমে স্লোগান হল। স্লোগান ক্রমে ব্র্যাণ্ড ভ্যালু হল। ক্রমে অবতারে পর্যায়ক্রমে শ্রেষ্ঠ ঘোষিত হলেন - অবতার বরিষ্ঠায়। তারপরে সব কিছু প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে গেল। মানুষ সোজা সাপটা দীক্ষা পেল, সিরিয়াল পেল, সিনেমা পেল। একটা ব্র্যাণ্ড তৈরি হয়ে গেল। একটা নির্দিষ্ট ছাঁচ তৈরি

যে যে... সে সে...

যে মানুষটা অনেক কিছু চাইত, কিন্তু অনেক কিছু পারত না, মানে অনেক কিছু পাওয়ার মত সাধ্য ছিল না, সে ঠাকুরকে ডাকত মই বলে, কিম্বা লুকানো সোজা রাস্তা বলে।

কিছু সময় তো

কিছু সময় তো

এমনি এমনিই
     সব নিয়ম ছাড়িয়ে খাপছাড়া

তুই আছিস 
    আর আমি আছি
           সব শাসন করেছি পাড়াছাড়া

adi2

লালি ঘোষের সংসার

 

লালি ঘোষ, শান্ত মানুষ। রাতে ঘুম আসছে না বলে রাস্তায় পায়চারি করতে করতে পার্কের বেঞ্চে এসে বসেছে। নতুন কথা কিছু না, রোজই বসে। আজ বসেছে কারণ প্রচণ্ড পেট জ্বালা করছে। পাঁঠা হজম হচ্ছে না। কিন্তু পেট

মানে কি হল?

শীতের দুপুর। আমি, আমার পাশে বসে আমার বন্ধুর বাবা, তার পাশে আমার বন্ধু। গাড়ি যাচ্ছে হালিসহর থেকে বারাসাত। বন্ধুর বাবার ক্যান্সার। শেষের দিকে। চিকিৎসার জন্য বারাসাতের একটা নার্সিংহোমে যাচ্ছি। আসলে সবাই জানি আর কিছু করার নেই, তবু চেষ্টা একটা করে দেখতে ক্ষতি কি?

মুক্তা হও

- আচ্ছা, আমায় বলো, মনকে যদি অকম্পিত স্থির প্রদীপের শিখার মতই করবার কথা ছিল তবে এত রূপ-রস-গন্ধ সৃষ্টি হল কেন? তোমার চাইতে তো গৌতমদাই ভালো কথা বললেন, প্রদীপ নিভিয়ে ফেলো, সেই হল নির্বাণ। তুমি তো বড় ফ্যাচাং করলে! এদিকে বলো প্রদীপ জ্বলে থাকুক, ওদিকে বলো কিন্তু সে যেন স্থির থাকে, বলি তাই কি হয়?

মানুষ সুখী হয় কিসে

মানুষ সুখী হয় কিসে?

সুখ পেয়ে
    না দুঃখ দিয়ে?

মানুষ দুঃখী হয় কিসে?
দুঃখ পেয়ে
    না সুখ দেখে?

ধর্ম আর আগুন

তিনি কয়েকদিন হল দল পরিবর্তন করেছেন। এবং হিসাব মত যে দলে গেলেন, সে দলে যে সুরটা বাদী সেই সুরে নিজের কথাকেও বাঁধতে সচেষ্ট হয়েছেন। কথা হল সেই দলের প্রধান সুর হল ধর্ম। তো ইনিও ধর্মের সুরেই কথা বলছেন। সে তো বলতেই হবে, সেখানে গোলমাল কিছু নেই। তিনি তো আর হঠাৎ করে কোন রাজ্যে কতদিন ধরে কত মহিলা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ জানিয়ে যাচ্ছেন চাষাবাদ নীতি নিয়ে সে কথা তুলবেন না, এতো বোঝা

Anyway?

I can't find myself
In my body
In my mind
In my words

What is wrong with me?

I can't find myself
In my room
In my study
In my bed 

Where am I then? 

শান্তিকে পায় না

মাধ্যাকর্ষণ সূত্র আপেক্ষিকবাদের তত্ত্বকে ভয় পায় না। 

ডারউইনের তত্ত্ব অনায়াসে সংশ্লেষবাদ কি জিনতত্ত্বকে জায়গা দিয়ে দেয়। 

ফ্রয়েডকেও কোথাও কোথাও অস্বীকার করে উত্তরসূরীরা।

কিন্তু কেউ কোথাও মুখ ভার করে বসে থাকে না,
    অথবা "দেখে নেব" বলে অস্ত্র শাণায় না। 

সর্বস্ব খুইয়েছি

কতবার
মোবাইলের পর্দায় ভাসা
        তোমার ছবিতেই
    দু ঠোঁট জড়ো করে
            চুমু খেয়েছি

ভালোবাসতে
   শুধুমুধু সব সময়
      কাছে পেতে হয় নাকি?
           আমি এক নতুন রাস্তা পেয়েছি

ভ্যাক্সিন

ভ্যাক্সিন নিয়ে আমাদের মনে নানা ভয়, সংশয়। পোলিও ভ্যাক্সিন নিয়ে যখন স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে গ্রামে যেতেন তখন তাদের অনেকের মুখে শুনেছি, অনেক লেখায় পড়েছি যে কি হেনস্থার শিকার হতে হত তাদের। অনেক গ্রামে একদম নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তাদের প্রবেশ। শারীরিক নির্যাতনের অবধি উদাহরণ আছে। তখন নিজেকে বেশ শিক্ষিত ভাবতাম। নিজের শিক্ষা নিয়ে গর্ব বোধও করতাম। এখন দেখছি এটা ঠিক শিক্ষা বা

বহিরাগত

প্রতিবার ভোটে কোনো না কোনো একটা শব্দ প্রাধান্য পায়। এবারের শব্দ হল 'বহিরাগত'। অ্যাদ্দিন শুনছিলাম শুধু পদ্মে আসীন মুখেরাই বহিরাগত। আজ খবরের কাগজ খুলে দেখছি তা তো নয়, দেখছি ঘাসফুলের এদিকে ওদিকেও বহিরাগত।

শান্তি করো বরিষণ

শিরডি'র সাঁইবাবাকে নিয়ে লেখা 'সাঁই সৎচরিত্র' বইতে একটা ঘটনার বর্ণনা আছে। আমি গল্পটার অলৌকিক দিকটার দিকে মন না দিয়ে ঘটনাটার কথা বলি---

 

Don't raise issues man

Don't raise issues man! We least bother all those bullshit...

সবাই কি আর জিনিয়াস

মানুষ অভিনয় করতে না শিখলে শুধু কি আর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি উবে যেত? 

ধর্ম, সমাজ, শিক্ষা, রাজনীতি.... কিছুই টিকত না বৃহদাকারে.....

আরে কত্তা সবাই কি আর জিনিয়াস?.... আবেগ কই... তাই তো গ্লিসাসিরনের ডাক পড়ে বেশি.... মহৎস্বার্থে না হলেও, বৃহৎ স্বার্থে তো বটেই.... জয়গুরু..

রুক্ষ মর্মে

তুমি নিশ্চিন্তে এসো
আমার নিঃস্বতা 
   আমায় লজ্জা দেয় না আর

তুমি নিশ্চিন্তে ফিরো
আমার রিক্ততা 
    আমায় কুণ্ঠিত করে না আর

ওরে ভাই মিথ্যা ভেবো না

দুশ্চিন্তা কিসের এত? আমার ভাবনাই শেষ কথা? তা তো নয়। আমার ভাবনার পরে আরো কিছু আছে। সে ভাবনা না, সে ঘটনা। যা ঘটে চলেছে। সেকি আমার ভাবনার অপেক্ষা করে?

এখনই... এমনিই

গুরু বেণারস যাওয়ার টিকিট কেটে, খাটে বসে, পা দুলিয়ে দুলিয়ে, দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মুড়ি চিবাচ্ছিলেন।

সেই বিশ্বাসে

আসলে আমরা কেউ স্বীকার করতে চাইছি না
   আমরা আলো হারিয়েছি
  আমরা যে যার মত
        ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গণ্ডি টেনে
নিজেদের অন্ধকার উদযাপন করছি সোল্লাসে 

ডুব

ট্রেনের মাথাটা দেখা যাচ্ছে। সিগন্যাল লাল। স্টেশানে লোক নেই। দাঁড়াবার কথা নয় ট্রেনটার। পূর্ণিমার চাঁদ। রেললাইনের উপর আমগাছের ছায়া। বোলের গন্ধ নেশার মত।

মনের গুহায়

যেখানে যত আঘাত পেয়েছ
    জমিয়ে রেখেছ
         গভীর সুখে
            গোপন সুখে 
              মনের গুহায় 

সবই রঙের কারচুপি

তুমি তো কপট নও
     তুমি তো বহুরূপী 

অভিনেতা কি প্রতিশ্রুতি দেয়?
    কি যে বলো!
            সবই রঙের কারচুপি

ভালো শিক্ষা

সেই ছোটোবেলায় এরকম হত, আপনাদের সঙ্গেও নিশ্চয়ই হয়েছে, ধরুন একজন বল হারিয়ে ফেলেছে, তখন তার উপর দায়িত্ব পড়ত সে যেন মাঠে নতুন বল নিয়ে আসে। কিম্বা ধরুন কেউ কারোর পেন হারিয়ে ফেলেছে, বা পেন্সিল বক্স ইচ্ছা করে ভেঙে দিয়েছে, তখন তাকে কিনে এনে দিতে হত। তারপর আমাদের উঁচু ক্লাসের প্র‍্যাক্টিকাল রুমের কথাই ভাবুন না, কি হত স

এ বুদ্ধিকে কি বলো তুমি?

এই যে মাঝে মাঝে
   যাব যাব বাই ওঠে তোমার
ভাবটা এমন
     যেন ধুম করে চলে গেলেই হয়
চৌকাঠ পেরোলেই আদিগন্ত সমুদ্র
   নাকি খোলা তেপান্তরের মাঠ
       নাকি হিমালয়ের কোল 
কারা এত ডাকে তোমায়? 
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে
      সত্যি করে বলো তো?
হাতের নাগালে যা আছে

অন্তরে আর বাহিরে তাই..

রাধাকান্তবাবুর বহুদিনের অভ্যাস, ঘুম থেকে উঠে কখনও হাতে তালি দিয়ে, কখনও খোল বাজিয়ে, খঞ্জনি বাজিয়ে রামনাম করেন। কখনও "প্রেম মুদিত মন সে কহো রাম রাম রাম, শ্রীরাম রাম রাম"....কখনও "শ্রীরামচন্দ্র কৃপালু ভজ মন".. এইসব ভজন গান। বাড়ির লোক, পাড়াপ্রতিবেশী সকলে তার সরল প্রাণের ভক্তিতে আবিষ্ট হয়ে, সাধু সাধু বলেন। 

ক্ষণিকের দেখা হওয়া

ক্ষণিকের দেখা হওয়া
তারপর ফিরে যাওয়া
এইটুকু তো কাব্য
মন খারাপের শুরু
আর
মন খারাপের শেষ হওয়া


(ছবি Aniket Ghosh)

সবাই সেক্যুলার

ভারতবর্ষে কে না সেক্যুলার, ধনি?
আমরা সবাই সেক্যুলার
নিজের মত করে সবাই সেক্যুলার

আমাদের মন্দির মসজিদ গীর্জা সব সেক্যুলার 

স্কুলের সরস্বতীপুজো থেকে
    থানায় কালীপুজো
        কারখানায় বিশ্বকর্মা 

         সব সেক্যুলার 

জানি পলাশ এসেছে

জানি পলাশ এসেছে

জানি বসন্তের বাতাস বইছে অহরহ

কিন্তু বলো তো প্রেমিক
    এ বসন্তে কিসের দাহ বেশি?
       হৃদয়ের, না পকেটের? 

কে বেশি যাতনাময় 
   বসন্তের কোকিল? 
       নাকি সিলিণ্ডার আর পেট্রোল? 

"রোদনভরা এ বসন্ত, সখী কখনও আসেনি বুঝি আগে"....