Skip to main content
vaccine

ভ্যাক্সিন নিয়ে আমাদের মনে নানা ভয়, সংশয়। পোলিও ভ্যাক্সিন নিয়ে যখন স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে গ্রামে যেতেন তখন তাদের অনেকের মুখে শুনেছি, অনেক লেখায় পড়েছি যে কি হেনস্থার শিকার হতে হত তাদের। অনেক গ্রামে একদম নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তাদের প্রবেশ। শারীরিক নির্যাতনের অবধি উদাহরণ আছে। তখন নিজেকে বেশ শিক্ষিত ভাবতাম। নিজের শিক্ষা নিয়ে গর্ব বোধও করতাম। এখন দেখছি এটা ঠিক শিক্ষা বা স্ট্যাস্টেস্টিক্স এর জ্ঞানের উপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে কিছুটা মানসিকতার উপর। কতটা ভয় পাচ্ছি আমি, আর সে ভয় কতটা অমূলক ও অযৌক্তিক, সেটা দেখার।

    সারা ভারতে ইতিমধ্যে দু কোটির উপর মানুষের টীকাকরণ হয়ে গেছে। দলাই লামা, মোরারিবাপুর মত ধর্মগুরুরাও নিজেদের টীকাকরণের ছবি, ভিডিও দিয়ে মানুষের মনের ভয় কাটানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। আমার অনেক ফেসবুকের বন্ধু নিজেদের টিকাকরণের ছবি শেয়ার করেছেন। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় সেটা খুব একটা সাধু উদ্যোগ। আমার জেঠিমাও কয়েকদিন আগে নিয়ে এলেন টিকা। একদম ঠিক আছেন।

    আপাতত ভোটকর্মী, ষাটোর্ধ ব্যক্তি ও পঁয়তাল্লিশ ঊর্ধ্ব নানা রোগে আক্রান্ত মানুষের টিকাকরণ হচ্ছে। cowin.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার নামটা রেজিস্টার করে, টিকাকেন্দ্র বেছে, কোন দিন টিকা নিতে চান সেটা কমফার্ম করে সেইদিন একটা পরিচয়পত্র নিয়ে চলে গেলেই হল। আমার মনে হয় এই সময়ে এটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। নিজেকে ও চারপাশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। কারণ করোনা আপাতত যাচ্ছে না আর হার্ড ইমিউনিটিরও আশা নেই। তবে উপায়? উপায় একমাত্র টিকাকরণ। দুদিন আগে বিবিসিতে একটা রিপোর্ট বেরিয়েছিল যে গুজব আর মিথ্যাপ্রচারে কিভাবে ভারতে টিকাকরণের গতি ব্যহত হচ্ছে। আমার মনে হয় নানা গুজবে কান না দিয়ে, সঠিক তথ্যটা জেনে নিয়ে, নিজের নানা কাল্পনিক বিশ্লেষণে না গিয়ে টিকাটা নিয়ে নেওয়াই ভালো। কোনো অসুবিধা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে চলে এলে সবার মঙ্গল। ভয়ে না, একমাত্র জ্ঞানের আলোতেই সামনের রাস্তা। এ তো বারবার বলেইছি আমরা। কাজের বেলায়?


Debasish -কে অসংখ্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাই, আমাদের নান্না স্বাস্থ্যকেন্দ্রের টিকাকরণ কর্মসূচীর ছবিগুলো ওনাদের অনুমতি অনুসারে তুলে আমায় বাধিত করেছে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই প্রার্থনা।