হও জড়প্রায়, অতি নীচ, মুখে মধু, অন্তরে গরল
এখন কথাটার মানে হল কি? আমার এক রসিক বন্ধু এক পাগলকে রাস্তায় অনর্গল কথা বলতে দেখে বলেছিলেন, এই এক মানুষ দেখলাম যার মন আর মুখ এক হয়েছে।
স্বামীজি কি মন আর মুখ এক করার কথা বললেন?
...
হাঁটো পথিকবর
...
হরিহর
দোকানের বাইরে এসে দাঁড়ালো হরিহর
মাথার উপরে গনগনে চাঁদ
চাঁদের নীচে কৃষ্ণচূড়া
...
হারাইনি কিছু --- পাঠ : সংহিতা ব্যানার্জী
হামিটামি বন্ধ
আজ কোথা গেল ওরে
বল দেখি তোরা ব্যাটা
চুল কই গেল
...
হারাইনি কিছু
রেখেছি মরমে যতনে
প্রকাশ্যে কিছু
কিছু গোপনে
কিছু রেখেছি আমার
...
হয় তো লজ্জা লাগছিল
একদল বলল
লোকটা তেষ্টায় মারা গেল
আরেকদল বলল
তা তো না,
লোকটা জল না
...
হঠাৎ যেন এই সময়ে
বললাম, ভয় করছে দাদাঠাকুর।
ফকির অমনি পাশ থেকে হেসে বললেন, ধৈর্য ধর বাবা।
বলতাম, আরো কদ্দিন?
...
হেলিকপ্টার
মুদির দোকান। সামনে একটা চাপাকল। দোকানের পাশ দিয়ে গলি। দোকানের সামনে রাস্তা। গাড়িটাড়ি যায় না বড় একটা। সাইকেল, বাইক, রিকশা, হাঁটা মানুষ - তাও
...
হঠাৎ করে কি হয়ে গেল
হাতের উপর হাত রাখা আজ সত্যিই সহজ নয়
স্যানিটাইজার হাতের নাগালে না হলে...
হঠাৎ হাওয়ায় উড়ে এলো
একগুচ্ছ শুকনো পাতা
...
হে মহাজীবন
হে মহাজীবন
আমার ঈশ্বর, বিজ্ঞান, উন্নত সভ্যতা
সব নিয়ে নাও
শুধু বলে যাও
মানুষ তবু কেন শান্তি চায় না?
হয়ে ওঠা
মানুষের সঙ্কীর্ণতার বিশ্বে কোথাও কোনোদিন পাকাপাকি জায়গা হয় না, এটা মানুষ বুঝতে কতদিন সময় নেয় কে জানে। এটা বুঝে গেলেই যে কত ঝক্কি, কত চালাকি আপনি খসে পড়ে, সে যদি আগে জানতে পারে তবে সংসারে রাতদিন সে নিজের পায়ে নিজে এভাবে কুড়ুল মেরে চলতে পারে না।
হ্যাপি জার্নি
তুমি যা বলছ সে অতীতের কথা। অতীতের স্মৃতিগুলো আঁকড়ে তো বেঁচে থাকা যায় না, এটা আমরা দু'জনেই বুঝতে পারছি, না কি? খারাপ দু'জনেরই লাগছে। ভবিষ্যতেও লাগবে। কিন্তু অতীতটা অতীতই, তাকে জাগিয়ে রেখে বর্তমান চলে না, এটা কি সত্যি নয়?
হনুমান আর দুষ্টু
হাস্পাতাল
সারা পৃথিবীতে একটা জায়গাতেই জাতি-ধর্ম-বর্ণ ইত্যাদির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে তর্ক হয় না, সেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেবলমাত্র মানুষের মঙ্গল নিয়েই এই নিয়ে আলোচনা, ব্যস্ততা - সে হল হাস্পাতাল।
হংসবলাকা
জঙ্গলের মধ্যে দাঁড়িয়ে কে ও? যেন শতাব্দী আগে দাঁড়িয়ে ছিল এখানে। অবচেতন মনে পূর্বজন্মের হাজারও জিজ্ঞাসার ভিড়। জিজ্ঞাসা করলাম, আমায় চেনো? উত্তর দিল না। মিলিয়ে গেল। এখন জঙ্গলজুড়ে পাখির ডাক। ঘুমন্ত মাঝি। জ্যোৎস্নায় ভাসা নদী।
হে সরীসৃপ
দেওয়াল জুড়িয়া দুইখানি টিকটিকি ঘুরিয়া ফিরিয়া বেড়ায়। ঝগড়া, ভালোবাসা লইয়া উহাদের সংসার। সারাদিন কয়েকটি পতঙ্গের খোঁজ পাইলে তাহাদের আমোদে-প্রমোদে দিন কাটিয়া যায়। আমার ঘর ভর্তি এত এত মূল্যবান বই, এত গভীর আলোচনা, কিছুতেই তাহাদের কোনো আগ্রহ দেখি না। তাহারা সুখে শান্তিতে আছে বলিয়াই বোধ হয়।
হালখাতা
বাবার লটারীর দোকানে বসে আছে তিন্নি। সে ক্লাস টু-তে পড়ে। বাবার দোকানে হালখাতা করতে কেউ আসে না। রাস্তায় প্রচুর ভিড়। সবাই কি সুন্দর সুন্দর সেজে রাস্তায় বেরিয়েছে। বাচ্চুকাকার সোনার দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়। সরবত,
হাতের কাছেই...
একজনকে গোলাপ আনতে বললে। সে বাগানে গেলই না, এসে বলল বাগানে গোলাপ নেই। সে একবারই আঘাত করবে, যখন জানবে সে মিথ্যা বলেছিল।
...
হাজা উপাখ্যান
হাম্বা হাম্ বা!
তুমি সান্ত্বনা পেতে চাও? যে কোনো কিছুর সহজ ব্যাখ্যা পেতে চাও? জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজতে চাও? জীবনের অর্থ পেতে চাও?
হারিয়ে
মানুষটা হাতের উপর রাখল জিভ, কান, চোখ, হৃদয় সাজিয়ে। বলল, নাও। আজ থেকে আমি তোমার।
হিমালয়ে গুহা চাইলেন না
হাতের নাগালে পাওয়া সত্য
কতটা অসহায় লাগে তার মাপ পরিমাপ হয়কি ?
হাসতে হাসতে
হরেনের শাড়ির দোকানের সামনে দু'জন পাগল, আর একজন ভীষণ বোকা লোক বসে থ
হ্যাঁ গা, জিরাফে এত ভয়!
কোভিডের কারণে যখন সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করা হল তখনও অভিব্যক্তি বাদ গিয়েছিল। আমি হাউমাউ করে এটা সেটা লিখেছিলাম। যা হোক
হিরি
সেদিনও এরকম মেঘলা ছিল…. হয় তো বর্ষাকাল হবে… আমি পড়ে ফিরছি… রেলের হাস্পাতালটা পেরিয়েই বিরাট কৃষ্ণচূড়া গাছ… তার মাথার উপর কালো মেঘের ছায়া..গাছটা ফুলে ভর্তি….
হৃদয় তো দশপ্রহরণধারিণী
হাতটা
করোনার বছর দুই আগের ঘটনা হবে। দার্জিলিঙে একটা অফিশিয়াল কাজে গেছি। দুদিনের ট্যুর। প্রায়ই যেতে হয়। কিন্তু এবারে একটা সমস্যা হয়েছে। যে হোটেলে প্রতিবার উঠি, সেটা
হাঁফ
ওই ইকোপার্কে নাকি শীতকালে হেব্বি ভিড় হয়…. কত টাকা ঢুকতে নেয়?
হাতঘড়ি
হাসি
হক
হেরে গেলাম
ঈশ্বর চাননি