হৃদয়পুর
এ চোখে আছে মাটির সাথে বীজের কথার সুর
এ চোখেই পথ সেই সে হৃদয়পুর
দেখছো নাকি চোখে আমার বিশ্বের জলছবি?
না হলে তুমি আর যেই হও, কক্ষনো নও কবি!
(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)
হাতের কাছেই আছো ভেবে
হাতের কাছেই আছো ভেবে, কখনো হাত বাড়ালাম না
আজ হাত বাড়াতে গিয়ে দেখি, হিসাবে ঠিক ছিলাম না
হাজার দূরত্ব সরিয়েও
কেউ কেউ অখণ্ড অবসর নিয়ে ফেরে
হাজার কাজের দমবন্ধ করা ভীড়েও
কেউ কেউ দৃষ্টির আলিঙ্গনে আশ্রয় নিয়ে ফেরে
হাজার বেড়া, হাজার দূরত্ব সরিয়েও
হ্যাঁ শুধু আমারই জন্য
আমি সব কাজগুলো সেরে আসব
তোমার ঘুম পেলে ঘুমিয়ে পোড়ো
তোমার ঘুমন্ত চোখের পাতার
প্রতিটা রশ্মি জেগে থাকে আমার জন্য
হ্যাঁ শুধু আমারই জন্য
হ্যাঁ তো
চাঁদের দিকে তাকালাম
বিজ্ঞানী বললেন, ওটা আসলে সূর্যের আলো
বললাম, সত্যি বটে।
জ্যোৎস্নাস্নাত সামনের বাগানের দিকে তাকালাম
জ্ঞানী বললেন, সব মিথ্যা, মায়া, ক্ষণস্থায়ী
বললাম, তাই তো।
হওয়া - রওয়া
লতানে গাছটা বটগাছটাকে জড়িয়ে উঠছিলো
তা উঠছিলো তো উঠছিলো,
ক্ষতি ছিল না তো কোনো!
হঠাৎ বেশ কিছুটা ওঠার পর
লতানো গাছের সাধ হল
হারাইনি কিছু
বুঝলাম হারাইনি কিছু,
শুধু ভেঙে গেল
যাদের আমি জোড়া দিয়ে রেখেছিলাম
হ্যাঁ রে মেয়ে
এত অভিমানী চোখ কেন গো?
মেঘ জমেছে, না লাভা ফুটছে বুকে?
ছাদের উপর তিনটে শালিক
না দরজার আগলে দশটা চড়াই?
কি হারালো? বল না রে মেয়ে?
কি হারালো, বেরিলি বাজারে ঝুমকা?
হালের খোঁজে
হয়েছে কখনও?
আবীর চুমুক দিয়ে পান করেছো কখনও?
আমি করেছি
আমার ধমনী-শিরাতে সে রঙ মিশেছে
মস্তিষ্কের প্রতিটা স্নায়ু অবধি রাঙিয়ে ছেড়েছে যখন
হিসেবী
হিন্দীভাষাঃ একসূত্র
হিন্দীভাষা নিয়ে আমাদের একটা ছুঁচিবাই আছে। আমরা হিন্দী গান শুনব, হিন্দী সিনেমা দেখব। কিন্তু হিন্দী ভাষাটা লিখতে বা পড়তে শিখব না। দক্ষিণ ভারতে এ গোঁড়ামি আরো ভীষণ। হিন্দী আমাদের জাতীয় ভাষা – এ কথাটা ভুল। জাতীয় ভাষা আমাদের সবক’টাই। মানে বাইশটা ভারতীয় ভাষাই জাতীয় ভাষা। সেখানে হিন্দী আর ইংরাজী আমাদের কাজের ভাষা, বা official language.
হৃদয় ফুঁড়ে
নাবিকের সাড়া না মিলুক
ধ্রুবতারায় গ্রহণ লাগুক
প্রেম নিঃশব্দ হোক
...
হাল ছেড়ো না
...
হাওয়াই মিঠাই
তোমাদের মত
হাওয়াই মিঠাইয়ের মত লাল, নীল, সবুজ, হলুদ
ভালোবাসা টাঙিয়ে রাখব সুতোয় বেঁধে
...
হরিনাভী
...
হারিয়ে গিয়ে
...
হিন্দুরা মানুষ-পুজো করতে ভালোবাসে
...
হতাশ
জীবন ছিল। মোড়ক ছিল না।
সারপ্রাইজ তো নয়ই।
হতাশ হলে তুমি
হতাশ করলে আমাকেও
হ্যাপি ফ্রেনিমিশেপ ডে
বারবার নিজের রক্ত-মাংসের টুকরোর পসার সাজিয়ে বাজারে বসা। বন্ধুত্ব কেনার জন্য। দেখতে হবে - মাংস যেন পচে না যায়, রক্তের রং যেন ফিকে না হয়!
হয়ত মেঘ বুঝেও বোঝে না
তুমি আমার সামনে দাঁড়াবার পর বুঝলাম
তুমি এতক্ষণ আমার আশেপাশে ছিলে না
কিন্তু তা তো নয়?
তুমিই, তুমি-ই তো ছিলে
বৃষ্টির ভিজে হাওয়া ঘরেও আসে
হয়ত মেঘ বুঝেও বোঝে না
হেঁসেলের সহমর্মিতা
হাঁটছি
দুঃখ আমার সমবয়েসি নয়
আনন্দ আমার সমবয়েসি নয়
ভালোবাসা আমার সমবয়েসি নয়
ঘৃণা আমার সমবয়েসি নয়
এ আকাশ, মাটি, জল, বাতাস, আলো
এরা কেউই আমার সমবয়েসি নয়
এ গ্রহ, তারা, নক্ষত্র, ধূমকেতু
এরাও নয় আমার সমবয়েসি
হুলো কাঠবেড়ালি উপাখ্যান
হারানো বাসা
লোকটার কাঠ ঘষা দেখছিলাম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
ঘষতে ঘষতে এমন মসৃণ করে দিল
যে দুপুরের চড়া রোদ ঠিকরে
ওর দোকানের দেওয়াল ঘড়ির কাঁচকে যেন হার মানিয়ে গেল
হিন্দুতভা
বলা হচ্ছে 'হিন্দুতভা'(Hindutva) শব্দটা প্রথম চালু করেছিলেন বিনায়ক সাভারকর ১৯২৩ সালে। যার অর্থ কম বেশি আমরা সবাই জানি, সেই নিয়ে আলোচনা করার জন্য না। আমি ঠেক খেলাম আবার 'গোরা' পড়তে আর বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের দুটো প্রবন্ধে যা একটা ১৮৯১ আর পরেরটা ১৯০১ সালে লেখা হয়েছে। খেয়াল করার মত 'হিঁদুয়ানি' শব্দটার ব্যবহার। দুটো শব্দই একটা আরেকটার উপচ্ছায়া মাড়িয়ে এ
হাইবেঞ্চ
...
হরবোলা আর গিরগিটি
হরবোলা সমুদ্র শুষে নেওয়ার আওয়াজ করছিল।
গিরগিটি সমুদ্রর রঙ ধরে সমুদ্র সেজেছিল।
...
হিন্দী ভাষা
- নেহি, হিন্দী মিলেগা... দৈনিক ভাস্কর, দৈনিক জাগরণ, অমর উজালা...
এ ঘটনা শুরু হল মুঘলসরাই (দীন দয়াল উপাধ্যায়) থেকে কানপুর,
...
হয় তো আসব
কেউ শুনল না। তখন প্রচণ্ড ভিড় চায়ের দোকানে। আগন্তুক এক প্যাকেট বিস্কুট কিনে ষাঁড়কে খাওয়ালো।
শীত পড়ছে। আগন্তুকের গায়ে মোটা জামা। মাথায় পাগড়ি। ধুতিটা ময়লা। গঙ্গার ধার।
...
হলুদ নেলপলিশ
তোমার আঙুলে হলুদ নেলপলিশ
বিশ্রী
...
হাত ধরো মন
এক আকাশ তারা
শিশিরসিক্ত ঘাসেদের শরীর
...
হাঁটো, শুধু হাঁটো
...
হৃদয়ের সাবওয়ে
...
হৃদয়
তুমি যে পোশাকেই ঢেকে রাখো
...
হজম হল না
...