শুধুই জলশূন্য সসাগরা?
ধর্মহীন, দর্শনহীন, আদর্শহীন একটা সময়। বুদ্ধি তীক্ষ্ম। কিন্তু বুদ্ধির উপর ভরসা নেই। যে যত বুদ্ধিমান তাকে তত ভয়,
...
শব্দের নেশা
হাততালির শব্দের নেশায়
যেন ভবঘুরে না হয়
...
শুনুন ধর্মাবতার
আমার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করুন। আগামী প্রজন্মের মানুষদের কানেও যেন এই জবানবন্দি পৌঁছায় তার ব্যবস্থা আপনি করুন। কারণ আপনার ন্যায়বিচারের শেষে আপনি যে শাস্তি আমার জন্য বরাদ্দ করবেন তাতে আমি জীবিত থাকার যোগ্যতা হারালেও হারাতে পারি।
...
শর্ত, স্বপ্ন, শেষ ধাপ
...
শান্তং শিবম
...
শিশুর বনলতা সেন
...
শুধু তুমিটুকু হয়ো
ভীষণ অগোছালো
ভাঙা পাল্লা
ছেঁড়া পর্দা
...
শবরীমালার চুক্তি
...
শান্তি করো বরিষণ
শিরডি'র সাঁইবাবাকে নিয়ে লেখা 'সাঁই সৎচরিত্র' বইতে একটা ঘটনার বর্ণনা আছে। আমি গল্পটার অলৌকিক দিকটার দিকে মন না দিয়ে ঘটনাটার কথা বলি---
শুশ্রূষার আশায়
মাত্র কদিনের পরিচয়
মাত্র এই কদিনেই তোমায় ভালোবেসে ফেললাম
বন্যায় গাছপালা বাড়িঘর
ভেসে যেতে দেখেছি টিভিতে
এইবার নিজেকে ভেসে যেতে দেখলাম
হৃদয়ে
সারাক্ষণ কেমন যেন
মন খারাপ খারাপ লাগা
যেন গ্রীষ্মের দুপুরে বন্ধ পাখার দিকে তাকিয়ে
শুশ্রূষা
শুশ্রূষা শিশুর হাসি
শুশ্রূষা তারায় তারায়
শুশ্রূষা তোমার গানে
শুশ্রূষা নোঙর তোলায়
শুশ্রূষা সবুজ ঘাসে
শুশ্রূষা গাছের ছায়ায়
শুশ্রূষা চোখের জলে
শুশ্রূষা বর্ষা ধারায়
শুশ্রূষা বিরাগী মনে
শুশ্রূষা পথের ধুলায়
শুশ্রুষা আমায় ভুলে
আমাকেই খুঁজে ফেরায়
শুধু এই
ঘটনাটা শুধু এই
দেখা হয়নি কয়েকদিন
ঘটনাটা শুধু এই
শুধু এই
হ্যাঁ ঘটনাটা শুধু এই-ই
দেখা হয়নি কয়েকদিন
আর কিছু না
ঘটনাটা শুধু এই
দেখা হয়নি কয়েকদিন
শুধু এই
শুধু এই
শুধুই এই
শর্তাবলী প্রযোজ্য
পকাদা ঘুমের মধ্যেই নাকে একটা বোঁটকা গন্ধ পেল। লঞ্চটা অল্প অল্প দুলছে, ঘুমটা দারুণ হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ গন্ধ কোত্থেকে এলো? পকাদার চোখ খুলে মনে হল সামনের বেডে কেউ একটা শুয়ে। চশমাটা চোখে দিয়েই আঁতকে উঠল পকাদা, একটা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার তার মুখের দিকে তাকিয়ে বসে আছে। পকাদা'র দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল, গুড মর্নিং।
শোক
একটা নিজস্ব ঘোর থাকে
সে ঘোরে থাকি আমি
...
শব্দ হারিয়ে শূন্য
আমি থেকেছি। আরাম লেগেছে।
একটা নিঃশব্দ পাহাড়ের কাছে চুপ করে বসে থেকেছ?
আমি থেকেছি। বিস্ময় লেগেছে।
...
শান্তিকাব্য
নাও পারি
সে আমার ইচ্ছা
জানলাটা খুললে যদি
...
শাস্তি হোক
ইনভার্টারে জল দেওয়ার ছেলেটাকে ডাকা হয়নি
ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন
স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য
...
শ্রাবণের ধারার মত
কলকাতা ভিজছে শ্রাবণের ধারাপাতে
ভীষণ জেদি মানুষ এক
হাঁটছেন আপনমনে, দ্রুত পদে পথে।
আজন্মই অসম্ভব জেদ তার
...
শূন্যের জন্য সোয়েটার বোনে
- জানি না।
- তবে আমার পাতে এল কেন?
- মনে হল তাই দিলাম।
- এ আলু কি তুমি ভেজেছ?
...
শকুন্তলা দেবী
...
শ্রাবণ প্রার্থনা
আজ শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার। খুব বৃষ্টি। বাগবাজারের রাস্তাঘাটও নিশ্চয় বৃষ্টিতে ভিজছে। শ্রাবণের বৃষ্টি। তুমি বৃষ্টিতে কি করতে? কেউ লেখেনি কেন? তোমার নরেন বৃষ্টি দেখতে ভীষণ ভালোবাসত
...
শুনতে পাচ্ছ?
তারপর তা ব্রেকিং নিউজ।
তারপর তা নিয়ে বিতর্ক সভা।
তারপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেণ্ড।
...
শুকতারা
ভাবনাটা যেন হাতের মাটি। যেমন খুশী মোড় দেওয়া যায়। অনুভূতি তো হাওয়া, কখন কোনদিক থেকে এসে পড়ে, উড়িয়ে নিয়ে যায়... ভেঙে দিয়ে যায়..
মানুষটাকে কেউ ভালোবাসতে
...
শূন্যই অনন্তকাল
যখন নিজের চার দেওয়ালের মধ্যে নিজেই অপরিচিত
শব্দের মান
সে অনেক কাল আগের কথা। কোনো এক দেশে এক বিদ্বান রাজা ছিলেন। তার মত বিদ্যা আশেপাশে যোজন যোজন দূর রাজ্যের রাজাদেরও ছিল না। তিনি বিদ্যাকেই ঈশ্বর মানতেন। তাই সে রাজ্যে সব মন্দিরে শুধু বর্ণমালালিপি পূজিত হত। সরস্বতীপুজো ছাড়া অন্য পুজোও ছিল নিষিদ্ধ।
শিশিরভেজা ঘাস
ধুয়ে গেল বৃষ্টিজলে
বাচ্চাটা ফিরছে
বাঁশি হাতে
মেলা থেকে ...
শোক হঠাৎ এসে দাঁড়ালো
শ্মশানযাত্রী
খবরটা রটতেই রাত দুটো থেকে লোক জমা হতে শুরু করল। কনকনে ঠাণ্ডায় বারুইদের উঠানে এক এক করে লোক জমছে। পেয়ারা গাছে বসে থাকা প্যাঁচাটা ডাকছে না। লোক দেখছে। এত রাতে এত লোক! আধখানা খাওয়া চাঁদটাও যেন থমকে দাঁড়িয়ে, এত মানুষ!
শান্ত শিব
ভক্ত এলো। এসেই এক লাথি মেরে বলল, ভাগ শালা!
কুকুরটা কাঁপা কাঁপা শরীরটা নিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে, ঘুমের মধ্যে আচমকা ধাক্কাটা সামলিয়ে, ধীরে ধীরে নেমে গেল।
...
শুকনো নদী
শুকনো নদী। রাতের তারাভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, আর কতদিন?
কেউ উত্তর দিল না।
ভোরবেলা এলো মেঘ। বৃষ্টি শুরু হল মুষলধারে। নদী ভাসল জলে।
রাতে তারাদের ছায়া পড়েছে উচ্ছল নদীর বুকে। তারা ফিসফিস করে নদীর কানে কানে বলল, আমরা তোমার মোহনা অবধি দেখতে পাই, জানো, তোমার রহস্য বলে কিছু নেই!
নদী বলল, মোহনায় পৌঁছানোর সুখ পাও কি?
শ্যামাপোকার আব্বুলিশ
তার ছোটোবেলার সব শ্যামাপোকারা ভিড় করে তার সারা শরীর মন ছেয়ে গেল। বাবা, মা, ভাই, বোন সবার গায়ে শ্যামাপোকা। সবাই নতুন জামা পরেছে। না, সবাই তো না, বাবা আর মায়ের নতুন জামা, শাড়ি নেই। তারা তখন গরীব।
...
শূন্য খোল ঝিনুকের মত
একটা সত্যের খোঁজ করছি না?
আলগা বুকের পাঁজরে
আর কান্না ধরবে না জেনেও?
....
শান্তিই পথ
মহানামব্রত ব্রহ্মচারী বলতেন, রিলিজিয়ন ইজ ফর জেন্টলম্যান। এ কথাটা ওঁর বক্তৃতায়, ভাষণে, লেখায় বারবার ঘুরে ফিরে আসত। রিলিজিয়ন ইজ ফর জেন্টলম্যান। বলতেন আগে ভদ্র হও, মার্জিত হও, সুসংস্কৃত হও, তারপর এসো ধর্মে। তবে ধর্মের মর্ম বুঝতে পারবে।
শুভ বিজয়া
- দাদা, প্যাণ্ডেল কি খোলা হয়ে গেছে?
- না, কেন? লক্ষ্মীপুজোটা যাক তারপর তো।
- আচ্ছা।
- কেন?
- মাকে বাড়ি আনব। হুইল চেয়ারে আনব তো, ওইটুকু ফাঁক দিয়ে আনা যাবে না, তাই জিজ্ঞাসা করছিলাম।
শামুক
পাঁচু পাগলা জেটিতে এসে বসেছে। গ্রামে সবাই তাকে এই নামেই ডাকে। লঞ্চ আসতে দেরি আছে আরো আধঘন্টা। হঠাৎ খুব জোরে আওয়াজ শুনে ফিরে তাকালো, একটা লরি করে অনেক লোক এসেছে। বড় বড় বক্স বাজছে। হিন্দী গান হচ্ছে। কি ড্রাম পেটানো আওয়াজ। বেশি লোক দেখলে পাঁচু পাগল জড়সড় হয়ে যায়। এখনও হল। তার পিঠের ব্যাগটা পিঠ থেকে খুলে বুকের কাছে নিয়ে নিজেকে শামুকের মত গুটিয়ে বসল।
শূন্য করিয়া রাখ তোর বাঁশি
ভাগবত একটা কথা বলে বসলেন, দেখো, এই যে মাটি, এই যে মাটিকে শুকিয়ে তুমি নানা বাসন বানাও, কাউকে বলো থালা, কাউকে বলো ঘটি, কাউকে গ্লাস, আদতে তো সব মাটি, তাই তো? এখন যদি বলো মাটি সত্য না বাসনগুলো সত্য? আমি বলি কি, তুমি সব কিছুকে মাটি বলে খেলাটাকে মাটি করে দিও না, মাটি যে যে রূপ ধারণ করেছে, সেই সেই রূপে না হয় ডাকলে তাকে। সেই হোক বাস্তব।