শিরদাঁড়া
তবু রাস্তাটা পেরোতেই হবে
অবশেষে মনে পড়বেই
মানুষের একমাত্র রক্ষাকবচ -
বলিষ্ঠ একটা শিরদাঁড়া
শুধু আমি শুধু তুমি
শুধু আমিই নই
তুমিও তো অসহায়ের মত দাঁড়িয়েছো
আমার সামনে কতবার
শুভ দীপাবলি
সাজানো কথা আর মিথ্যা কথা এক না। প্রথমটায় খানিক শিল্পীসত্তার দরকার হয়, দ্বিতীয়টায় সে দরকার নেই।
যেমন সত্যভাষণে আর কটুভাষণে। প্রথমটায় বিবেচনাবোধ জরুরী। দ্বিতীয়টায় নয়।
শরৎ অভিসার
শপিংমলে থিকথিক করছে ভিড়
শপিংমলে থিকথিক করছে ভিড়। সন্ধ্যেবেলা। পেমেন্টের লাইনই চার পাঁচটা। একটা অবাঙালী পরিবার। হিন্দিভাষী। হিন্দিটা শুনলে ছত্রিশগড়ের মানুষ মনে হয়। ভদ্রলোকের বয়েস চল্লিশের একটু উপরে। ভদ্রমহিলার তিরিশের আশেপাশে। সালোয়ার কামিজ পরা শীর্ণ শরীরটায় যেন ভার বহনের আর শক্তি নেই। চোখ দুটো কোটরে। একটা বিপন্নতা আর উদ্বেগ মিলেমিশে চাহনি।
শহরটা
স্মৃতি নয়, এই তো দাঁড়িয়ে সামনে
যে সময় হারানো
...
শবরীমালা আখ্যান
...
শঙ্কা
থর থর শিখা
ওত পেতে বসা
সর্বগ্রাসী অন্ধকার
বাতাসের
ফিসফিসানি
শুনেছি নাকি
শান্তই থাকো। ঝড়ে ঝোড়ো কাক হয়ে লাভ নেই বুঝলে। শুনেছি নাকি বালিঝড় থেকে বাঁচার জন্যেই উটের অমন লম্বা লম্বা পলক।
শীতে এবার মৃত্যু বড় কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করছে
...
শুদ্ধতার মোহ
শোধন
সমস্ত অন্ধকার লুকিয়ে
সূর্যোদয়ের বিপরীতে হাঁটছিলাম
ভোরের শিশিরে পা পিছলালো
সূর্যাস্তের পোড়া ইটের রঙে
সূর্যোদয়ের কান্না কাঁদলাম
শিশুদিবস
আজ এই প্রথম ১৪ই নভেম্বর আমার কাছে শিশুদিবস নয় শুধু। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিন। আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।
শান্তি
ঘুমিয়ে পড়লে
বললাম, শান্তি
চোখে ঠুলি পরলে
অথচ একবারও দুটো বিরুদ্ধ স্রোতের মাঝে
পাটাতনটা খুঁজে দেখলে না
শিশু
হাস্পাতালের কোলাহলে
বছর তিনেকের বাচ্চা
মায়ের কোলের নির্জনতায়
মানুষের বানানো বোমার আঘাতে
মানুষের বানানো ব্যথা কমানোর ওষুধে
শুধু যুক্তি না তো
শুধু যুক্তি না তো
সময়ও যে গো লাগে
ক্যালেণ্ডারের পাতা ওল্টালেই বসন্ত আসে না
শীতের কুয়াশা মিলিয়ে যাক আগে
শবরীমালা
শবরীমালাতে রজঃস্বলা নারীদের প্রবেশাধিকার নিয়ে যিনি একমাত্র বিরোধীতা করলেন সুপ্রিম কোর্টে রায়দানের সময়, তিনি একজন মহিলা বিচারপতি। তার বক্তব্য - ধর্ম আর প্রথার সাথে যুক্তির কোনো সম্পর্ক থাকা উচিৎ নয়।
শান্তি
হাতটা ঠাণ্ডা বস্তুতে লাগলে ঠাণ্ডা অনুভব হয়, গরম বস্তুতে লাগলে অবশ্যই গরম অনুভব হয়। আবার দুঃখ অনুভব হয়, আনন্দ অনুভব হয়, ফ্রেশ অনুভব হয়, কুল অনুভব হয়। কথা হচ্ছে, এই অনুভবটা কি তবে? অনুভব কি অভিজ্ঞতা, না কোনো অভিজ্ঞতার দরজা?
শোধন
মহিলাকে ক্লাবের ছেলেরা রাতে ডেকে নিয়ে যেত। ভোরে ছেড়ে দিত। উনি ভোরে আবার যে কটা বাড়ি কাজ করেন, পর পর করে বাড়ি ফিরতেন। স্বামী নেই। দুই মেয়ে, এক ছেলে। ছেলেটা বড়, কুড়ি বছর, বেকার। বড় মেয়েটা অন্যরকম। কেউ বলে পাগলী, কেউ বলে সাধিকা। তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও বড় মেয়েটাকে প
শিবনারায়ণ রায়
...
শঙ্কা
রমজানের হাতে কড়া। তাও মাথায় বিলি কেটে দিলে ভালোই লাগে পরাশরবাবুর। রমজান বছর দশেক আগে পরাশরবাবুর বাগানের কাঁঠাল গাছে গলায় দড়ি দিয়েছিল। কেন দিয়েছিল কেউ জানে না। সে অকৃতদার ছিল। গরীব মানুষ, পরাশরবাবুদের বাড়িতেই ফাইফরমাশ খেটে দিন চলে যেত। তাকে অবশ্য হাসতে দেখেনি কেউ কোনোদিন। গায়ের রঙ তামাটে, রোগা-বেঁটেখাটো শরীর, তবে খাটতে পারত। পরাশরবাবুর স্ত্রী বেঁচে
শাসিত
এত অবাধ্য বলেই
ঘাসের শিকড়ে জমে রক্ত
নত হও
শান্ত রাখো দেশ
স্বাধীনতা মানে অধীনতা প্রসাদ
লাগাম টানো, হয়ে ওঠো রাজভক্ত
শালুক
শব্দ
শব্দ মারা যায়
কখন মারা গেল
কেউ টের পায় না
শূন্য শামুকের খোলকের মত পড়ে থাকে
একা - অবদ্য
শান্ত হব বলে
সব ক'টা তারাতেই
চন্দ্র, সূর্য-
এমনকি গনগনে চিতার আগুনেও
ঠোঁট ছুঁইয়ে এসেছি
পুড়িয়ে এসেছি
শুধু একবার তোমার ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াবো বলে
শান্ত হব বলে
বৃষ্টি ভেজা পালকগুলো শুকিয়ে নেব
তাই
শান্তিজল
একবার তাকিয়ো
বুঝে নেব
...
শেষ নাহি যে
...
শিখাটার ছুটি
...
শিখা যখন জ্বলে উঠল
...
শনিবারের সৌন্দর্য
...
শ্রী
...
শূন্য পোস্টবক্স
...
শিক্ষক আর সংস্কার
...
শেষ আরতি
আমি তো শুনি
চিরনূতনের ডাক
পঁচিশে বৈশাখ
...
শুভ রাত্রি
...
শুনছেন
- কেন নাচব?
- বা রে, এতবড় মিউজিক সিস্টেম চলছে শুনছেন না?... কালা?
...