কাশ বর্ষাকে দেখে ইতস্তত করল খানিক
বর্ষা বলল, আমার হল যাওয়ার দেরি, তুমি এসো
কাশ দ্বিধা ভরে আকাশের দিকে চাইল
সেখানে কালো মেঘের ঘনঘটা
দীঘির জলের দিকে চাইল
সেখানেও কালো মেঘের ছায়া
কাশের মুখ হল ম্লান।
তবে কি শরতের সাথে হবে না মিলন?
ব্যর্থ হবে এবারের আসা?
রাত হল। হঠাৎ মেঘ সরে গিয়ে তারায় ঝলমল করে উঠল আকাশ। দূরে কোথাও বাঁশি বাজছে বেহাগে।
কাশ আকুল হয়ে আকাশকে বলল, তুমি শরতের না বর্ষার? আমি যে কিচ্ছু বুঝছি না গো! আমি কি এসেছি অসময়ে?
আকাশ চুপ করে রইল। কাশ উৎসুক হয়ে চেয়ে রইল তার মুখের দিকে।
এমন সময় উঠল চাঁদ। শ্বেতচন্দন আভাতে স্নাত হল কাশ। স্বর্গীয় সাদা মাটির সাদাকে করল আলিঙ্গন। কাশ বাকরুদ্ধ হল সে স্পর্শে। ভোরের শুকতারা চাঁদকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল। কাশের ঘোর ভাঙল। সে বলল, হ্যাঁ গো ভোরের আকাশ, শরৎ কি এলো তবে? দূরে বাজছে ভৈরবী সানাইতে কোথাও।
কাশ কিসের সৌরভে আকুল হল। খেয়াল করল, তার কিছুটা দূরে ফুটেছে শিউলি নিজেকে উজাড় করে। কাশ শরতের খবর চেয়েছিল দূরের আকাশের কাছে, পায়নি। মাটির শিউলি নিয়ে এলো সে শরতের বার্তা দু'হাতের অঞ্জলিতে।
এমন সময় আকাশ ছেয়ে গেল কালো মেঘে। ঝমঝমিয়ে নামল বৃষ্টি। শিউলি ভিজল। কাশ ভিজল। শরৎ ভিজল অকাল বর্ষণে। কাশ নিঃসংশয় আজ। সে, শিউলিকে বলল, আমাদের সাদা মেঘে আজ কাজল লেগেছে, গত শরতে কারোর নজর লেগেছিল বুঝি?
(Sudhi দার সুধাঙ্কন সাগরে ডুবছি। প্রণাম সুধীদা)