শুধু তুমি
কিছু বোলো না
মুখের ওপর পড়ে থাকা চুলগুলো সরাও
তাকাও আমার দিকে
হাতটা আলগা করো
চুপ করে বোসো
আমার আঙ্গুলে
তোমার আঙ্গুল আলগোছে রেখে।
সন্ধ্যার নিভৃত ঝর্ণার পাশে
ঝিঁঝিঁ'র ডাক থাকুক গোপন উন্মুখ সুখে
শঙ্করদা
শরীরাধীনতা
গভীর রাতে স্মার্টফোনে অবৈধ ডাক
ঘুমের অভিনয়ে রপ্ত করা চিচিংফাঁক
শরীরের পাশে শুয়ে অদেখা শরীর
ঘামের গন্ধ নেই তবু বেইমানি শিরশির
শিবানী
শ্বাসবায়ু
আমি তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি না
তোমায় নিয়ে আমার কোনো রঙীন কল্পনাও নেই
শামুকের খোলা
আজ বহুদিন পর পুকুরের পাড়ে এসে দাঁড়ালাম
কয়েকটা ধাপ নামতেই পা ডুবে গেল জলে
চেনা সুর শুনলাম অচেনা গলায়
চেনা ছবি অচেনা ফ্রেমে বাঁধা পড়ল
কোমর জলে দাঁড়িয়ে তাকালাম আকাশের দিকে
ছেঁড়া ছেঁড়া ছন্দ নিয়ে কয়েক টুকরো মেঘ বুকে আকাশ
আমায় বলল, আসব?
আমার সারা পুকুরের জল আকাশের ছায়ায় ঢেকে গেল
শীতলতা
উদ্বিগ্ন ছায়ার শীতলতা
জ্বলন্ত দশদিক
ক্লান্ত কাকের ডাক
আকাশে মরীচিকার খোঁজ
শীতল সুখে
শুভ নববর্ষ
শূন্য হাতে
শিখা
নদীটা যতটা সম্ভব বুকটা চওড়া করে জেগে
সারাটা বুক দিয়ে জ্যোৎস্নায় ভিজবে বলে
চাঁদের সাথে একা
তার বুকে জল থাকুক
না থাকুক
সে পরোয়া করে না
পরোয়া করে না চাঁদও
শেষ বগি
শুভস্য শীঘ্রম
সরস্বতী পূজো-জন্মাষ্টমী-দোল-কালীপূজো ইত্যাদি স্কুল ছুটি; ঈদ মহরম স্কুল ছুটি; পঁচিশে ডিসেম্বর স্কুল ছুটি; বুদ্ধ পূর্ণিমা স্কুল ছুটি।
শান্তি
রাত অনেক হল
ঘুম দরকার যে ভীষণ!
মানুষ ঘুমালে শুধুই মানুষ
ঘুমন্ত মানুষের ধর্ম থাকে না
ঘুম কে আনে?
আইন আনে না, পুলিশ আনে না
শুচি
অনবরত হাওয়ায় দুলতে দুলতে ফুলটা অবশেষে মাটিটা ছুঁয়েই ফেলল। তখন শেষ রাত্তির। শুকতারার গুনগুন শোনা যাচ্ছে কান পাতলেই।
লাল পাপড়িতে কাদা লেগে শূন্যে উঠে গেল - হুস!!!
শান্তি
শান্ত থাকা যায় কি করে? এ প্রশ্নটা বড় ঘোরেল। 'কিছু করা' আর 'শান্ত থাকা' কি এক বস্তু? অনেকে জপ-ধ্যান করে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন দেখেছি। আমিও করে দেখেছি। ওতে কি কাজের কাজ কিছু হয়? আমার মনে হয় না। এ অনেকটা সিনেমা দেখার মত। যতক্ষণ দেখছি, মনটা একাগ্র, স্থির। যেই হল থেকে বেরোলাম, যেই কে সেই। কিছুক্ষণের জন্য মনের বিরাম কি তবে শান্ত হওয়ার লক্ষণ?
শূন্য আনন্দ ভালোবাসা
ভালোবাসার গায়ে একটা রঙীন চাদর জড়ানো থাকে। সেই চাদরটা হয় ঝড়ে উড়ে যায়, নয় পোকায় কাটে, কখনও বা আগুন লাগে।
শপথ নিয়েছি
নম্রতা বলতে মাথা নীচু বুঝিনি
বরং মাথা উঁচু করে "জানি না" বলাকেই বুঝেছি
আর কিছু না মিলুক,
হেমলককে নিরাশ না করার শপথ নিয়েছি
শাড়ি কাকিমা
"মা বাড়ি আছেন?"
সাদার উপর নীল ফুল ফুল শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছেন শাড়ি কাকিমা। মাঝারি উচ্চতা। প্রায় সব চুলই সাদা। চোখে কার্বন ফ্রেমের চশমা, দুটো হাতে দুটো বড় বড় চটের ব্যাগ।
শুভ নববর্ষ
শাণ
ভীষণ অস্পষ্ট চারিদিক
প্রশ্নেরা বিরুদ্ধ বিশ্বাস
বিশ্বাস বড় স্পর্শকাতর আজ
যখন তখন লুকানো নখে আঁচড়ে
শান্তির বার্তা বুঝিয়ে দিতে চায়
শিবগুরু বনাম কর্পোরেট-গুরু
শপিং কমপ্লেক্স
ভালোবাসা একটা বহুতল আবাসন
আবাসন? না শপিং কমপ্লেক্স?
প্রতিটা ঘরে, প্রতিটা ফ্লোরে কি প্রচণ্ড ভালোবাসা
সবাই যেন মহড়া দিচ্ছে,
কোথায় কবে যেন হবে অসম্ভব রকম প্রতিযোগিতা
শুধু তাই তোমার হাতটা চাইছিলাম
শুভ নববর্ষ
দাবী একটাই
ইচ্ছা একটাই
বাসনা একটাই
লোভ একটাই
স্বপ্ন একটাই
সবাই মিলে
কাছাকাছি থাকি
পাশাপাশি থাকি
ঘেঁষাঘেঁষি থাকি
এমনি ভাবেই
শুভ নববর্ষ
শ্রীশ্রীমা সারদাদেবীর শুভ জন্মতিথি
শোনো
গোড়ায় একটা মস্ত ভুল হয়েছে
কি খুঁজছ তুমি? প্রেম?
ভুল করছ
শিখণ্ডী
কাঁটার মত বিঁধে আছে
শোভনীয় ?
প্রোফাইল পিক কালো না করে, গুগুল সার্চ করে ভ্যাজাইনার ছবি দিন। অন্তত শিল্পীর আঁকাই দিন। এই পুরুষজাতটা বুঝুক, একটা জননাঙ্গের সাথে তার পুরুষত্বের আক্রোশের কোনো সম্পর্ক নেই।
...
শুকনো জলের দাগ
যেন তুমিও অপেক্ষায় ছিলে
যেন কাল রাতে ঘুম হয়নি তোমারও
...
শূন্যতা
তাকে বুকে নিয়ে বেড়াও তো তার থেকে ভারী বস্তু সংসারে আর দুটো নেই।
...
শালীনতা
বিকেলের পড়ন্ত রোদ এসেছে, পড়েছে তার শুভ্রশ্বেত বস্ত্রে। এমন সময় একটা প্রজাপতি কি করে ঢুকে পড়ল তার লেখার ঘরে। সে উড়ে গিয়ে বসল পাখার ব্লেডে। ধুলো লাগল। উড়ে গিয়ে বসল টিউবলাইটের উপরে। গরম লাগল। ফুলদানির ফুলে গিয়ে বসল। প্লাস্টিকের কাঁটা বিঁধল। অবশেষে গিয়ে বসল খোলা খাতাটার উপরে।
...
শান্ত থেকো
শান্ত থেকো
ওরা জানতে পারলে
সাগরের নামেও করতে পারে ফতোয়া জারি
...
শ্রীরামকৃষনঃ বিতর্কিত সাক্ষাৎ প্রসঙ্গ
"সত্যের জন্য সবকিছুকে ত্যাগ করা চলে কিন্তু, কোনো কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা চলে না"...উক্তি দুটির প্রথমটি রামকৃষ্ণদেবের পরেরটি বিবেকানন্দের।
...
শিক্ষার অন্ধকার
...
শব্দরূপ আর ধাতুরূপ
একটা সংস্কৃত বই পড়তে গিয়ে একটা ঘটনা মনে পড়ল।
আমাদের ক্লাস সেভেন আর এইটে সংস্কৃত ছিল। শব্দরূপ আর ধাতুরূপের চক্করে আমাদের তো একেবারে নাজেহাল অবস্থা। ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় অনেকেই বেঞ্চে বসে থাকার যোগ্যতা হারাতো। সটান বসার বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে পড়ে নরো নরৌ নরাঃ আওড়াতে হত।