Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

শুধু তুমি

কিছু বোলো না
মুখের ওপর পড়ে থাকা চুলগুলো সরাও
তাকাও আমার দিকে
  হাতটা আলগা করো
      চুপ করে বোসো
         আমার আঙ্গুলে
 তোমার আঙ্গুল আলগোছে রেখে।
 সন্ধ্যার নিভৃত ঝর্ণার পাশে
      ঝিঁঝিঁ'র ডাক থাকুক গোপন উন্মুখ সুখে

শঙ্করদা

ফেসবুকে পরিচয় হয় তো কত মানুষের সাথে। 'ভারচুয়াল' শব্দটা এই ফেসবুকের দৌলতেই বুঝতে শিখলাম। তবে কতিপয় মানুষের সাথে আলাপের তাগিদ, বৈদ্যুতিন মাধ্যমের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেখা শোনা ছোঁয়ার জগতে এসে পড়ে। Sankarদা এমনই মানুষের মধ্যে পড়েন।

শরীরাধীনতা

গভীর রাতে স্মার্টফোনে অবৈধ ডাক
ঘুমের অভিনয়ে রপ্ত করা চিচিংফাঁক
শরীরের পাশে শুয়ে অদেখা শরীর
ঘামের গন্ধ নেই তবু বেইমানি শিরশির

শিবানী


-----
ঘটনার সময়কাল ১৯৪০ সাল। বাংলাদেশের একটা ছোটো গ্রাম। মেয়েটা বিয়ে হয়ে গ্রামে এল ঘোর বর্ষা মাথায় করে। মেয়েটার নাম শিবানী। তার বরের সাথে পরিচয় হওয়ার আগে হল পরিবারের সাথে পরিচয়, গ্রামের সাথে পরিচয়। সেবারে ধান হল গোলা ছাপানো। লোকে বলল - লক্ষী।

শ্বাসবায়ু

আমি তোমায় নিয়ে ভাবি না
   আমি তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি না
  তোমায় নিয়ে আমার কোনো রঙীন কল্পনাও নেই

শামুকের খোলা

আজ বহুদিন পর পুকুরের পাড়ে এসে দাঁড়ালাম
কয়েকটা ধাপ নামতেই পা ডুবে গেল জলে
চেনা সুর শুনলাম অচেনা গলায়
   চেনা ছবি অচেনা ফ্রেমে বাঁধা পড়ল
কোমর জলে দাঁড়িয়ে তাকালাম আকাশের দিকে
ছেঁড়া ছেঁড়া ছন্দ নিয়ে কয়েক টুকরো মেঘ বুকে আকাশ
আমায় বলল, আসব?
আমার সারা পুকুরের জল আকাশের ছায়ায় ঢেকে গেল

শীতলতা

উদ্বিগ্ন ছায়ার শীতলতা
  জ্বলন্ত দশদিক
 ক্লান্ত কাকের ডাক
আকাশে মরীচিকার খোঁজ

 

শীতল সুখে

গত সূর্যের বাণী নিয়ে চাঁদ এলো রাতের বুকে
রাত বলল,
ধীরে এসো, প্রাণের বিশ্রাম আনো শীতল সুখে

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

শুভ নববর্ষ

সব মেঘ কাটবে না      সব বাধা সরবে না
           তবু রে মন হাঁটতে হবে

সব আলো জ্বলবে না     সব আশা মিটবে না
           তবু রে মন হাঁটতে হবে

শূন্য হাতে

সব ঋণ শুধে বাড়ি ফিরে গেলে

       শূন্য হাতে

এখন শুধু সময় গোনার পালা

       দিনে রাতে


(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

শিখা

নদীটা যতটা সম্ভব বুকটা চওড়া করে জেগে

সারাটা বুক দিয়ে জ্যোৎস্নায় ভিজবে বলে
   চাঁদের সাথে একা
তার বুকে জল থাকুক
        না থাকুক
 সে পরোয়া করে না
পরোয়া করে না চাঁদও

শেষ বগি

 

রেল লাইনের বুক
থরথর ঝনঝন করে কেঁপে উঠল
বুকের পাঁজরের কেন্দ্রে বিঁধল সুক্ষ্ম সুতীব্র যন্ত্রণা

 সে চুপ করে শুয়ে থাকল
    জানে তো
   সব ট্রেনেরই একটা শেষ বগি থাকে

তার বুকে ওঠে শব্দ
   আমার কানে বাজে সংগীত

শুভস্য শীঘ্রম

সরস্বতী পূজো-জন্মাষ্টমী-দোল-কালীপূজো ইত্যাদি স্কুল ছুটি; ঈদ মহরম স্কুল ছুটি; পঁচিশে ডিসেম্বর স্কুল ছুটি; বুদ্ধ পূর্ণিমা স্কুল ছুটি। 

শান্তি

রাত অনেক হল
ঘুম দরকার যে ভীষণ!

মানুষ ঘুমালে শুধুই মানুষ
ঘুমন্ত মানুষের ধর্ম থাকে না

ঘুম কে আনে?
আইন আনে না, পুলিশ আনে না

শুচি

অনবরত হাওয়ায় দুলতে দুলতে ফুলটা অবশেষে মাটিটা ছুঁয়েই ফেলল। তখন শেষ রাত্তির। শুকতারার গুনগুন শোনা যাচ্ছে কান পাতলেই। 
লাল পাপড়িতে কাদা লেগে শূন্যে উঠে গেল - হুস!!!

শান্তি

শান্ত থাকা যায় কি করে? এ প্রশ্নটা বড় ঘোরেল। 'কিছু করা' আর 'শান্ত থাকা' কি এক বস্তু? অনেকে জপ-ধ্যান করে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন দেখেছি। আমিও করে দেখেছি। ওতে কি কাজের কাজ কিছু হয়? আমার মনে হয় না। এ অনেকটা সিনেমা দেখার মত। যতক্ষণ দেখছি, মনটা একাগ্র, স্থির। যেই হল থেকে বেরোলাম, যেই কে সেই। কিছুক্ষণের জন্য মনের বিরাম কি তবে শান্ত হওয়ার লক্ষণ?

শূন্য আনন্দ ভালোবাসা

ভালোবাসার গায়ে একটা রঙীন চাদর জড়ানো থাকে। সেই চাদরটা হয় ঝড়ে উড়ে যায়, নয় পোকায় কাটে, কখনও বা আগুন লাগে।

শপথ নিয়েছি

নম্রতা বলতে মাথা নীচু বুঝিনি

বরং মাথা উঁচু করে "জানি না" বলাকেই বুঝেছি

আর কিছু না মিলুক,
   হেমলককে নিরাশ না করার শপথ নিয়েছি

শাড়ি কাকিমা

"মা বাড়ি আছেন?"
সাদার উপর নীল ফুল ফুল শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছেন শাড়ি কাকিমা। মাঝারি উচ্চতা। প্রায় সব চুলই সাদা। চোখে কার্বন ফ্রেমের চশমা, দুটো হাতে দুটো বড় বড় চটের ব্যাগ। 

শুভ নববর্ষ

আমাদের বাংলা সালটা শ্রাবণের মেঘে ঢাকা চাঁদের মত কিছু কিছু মুহূর্তে উঁকি দিয়ে আবার মেঘের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে। আজ যেমন উঁকি দিচ্ছে। আবার দেবে পঁচিশে বৈশাখ, তারপর বাইশে শ্রাবণ..এরকম আরো কয়েকটা দিন ( আসলে আর মনে পড়ছে না)। 

শাণ


ভীষণ অস্পষ্ট চারিদিক
প্রশ্নেরা বিরুদ্ধ বিশ্বাস
বিশ্বাস বড় স্পর্শকাতর আজ
যখন তখন লুকানো নখে আঁচড়ে
         শান্তির বার্তা বুঝিয়ে দিতে চায়

শিবগুরু বনাম কর্পোরেট-গুরু

কালকের Times of India'র প্রথমপাতায় চোখ পড়তেই 'রাজা' নাটকটা মনে পড়ল রবীন্দ্রনাথের। সেখানে বলা হচ্ছে, 'তিনি সবখানেই আছেন বলে কোনোখানে বিশেষ করে নেই'।

শপিং কমপ্লেক্স

ভালোবাসা একটা বহুতল আবাসন
        আবাসন? না শপিং কমপ্লেক্স?

প্রতিটা ঘরে, প্রতিটা ফ্লোরে কি প্রচণ্ড ভালোবাসা
     সবাই যেন মহড়া দিচ্ছে, 
কোথায় কবে যেন হবে অসম্ভব রকম প্রতিযোগিতা

শুভ নববর্ষ

দাবী একটাই
ইচ্ছা একটাই
বাসনা একটাই
লোভ একটাই
স্বপ্ন একটাই

সবাই মিলে

কাছাকাছি থাকি
পাশাপাশি থাকি
ঘেঁষাঘেঁষি থাকি
এমনি ভাবেই

শুভ নববর্ষ

শ্রীশ্রীমা সারদাদেবীর শুভ জন্মতিথি

ছেঁড়া ছেঁড়া কিছু পুঁথির মালা জড়ো করে এনেছি। তুমি একটা মালা গেঁথে দেবে? সব পুঁথি আনতে পারলাম কই? কিছু নিল পাখিতে, কিছু হারালো ঝড়ে, কিছু পড়ল কোঁচড় থেকে অজান্তে, আর কিছু বেরোলো ফুটোফাটা। তবু যে ক’টা এনেছি তাদের একটা সুতোয় গেঁথে দাও না। ...

শোনো

দাঁড়াও বন্ধু
গোড়ায় একটা মস্ত ভুল হয়েছে
কি খুঁজছ তুমি? প্রেম?
ভুল করছ

শিখণ্ডী

কথাগুলো মিলিয়ে গেছে
     কাঁটার মত বিঁধে আছে

শোভনীয় ?

অনেক মহিলাদের দেখছি প্রোফাইল পিকচার কালো করছেন। প্লিজ কালো করবেন না। আমার একটা একান্ত অনুরোধ আছে। আমায় ভুল বুঝবেন না। 

        প্রোফাইল পিক কালো না করে, গুগুল সার্চ করে ভ্যাজাইনার ছবি দিন। অন্তত শিল্পীর আঁকাই দিন। এই পুরুষজাতটা বুঝুক, একটা জননাঙ্গের সাথে তার পুরুষত্বের আক্রোশের কোনো সম্পর্ক নেই।
...

শুকনো জলের দাগ

যেন জানতে
যেন তুমিও অপেক্ষায় ছিলে
যেন কাল রাতে ঘুম হয়নি তোমারও
...

শূন্যতা

শূন্যতা বড় আজিব বস্তু....বস্তু?!
তাকে বুকে নিয়ে বেড়াও তো তার থেকে ভারী বস্তু সংসারে আর দুটো নেই।
...

শালীনতা

'শালীনতা' নিয়ে প্রবন্ধ লেখা হল। লেখক কলম বন্ধ করে, ইজি চেয়ারে এলিয়ে, চোখ বন্ধ করে বসলেন।
        বিকেলের পড়ন্ত রোদ এসেছে, পড়েছে তার শুভ্রশ্বেত বস্ত্রে। এমন সময় একটা প্রজাপতি কি করে ঢুকে পড়ল তার লেখার ঘরে। সে উড়ে গিয়ে বসল পাখার ব্লেডে। ধুলো লাগল। উড়ে গিয়ে বসল টিউবলাইটের উপরে। গরম লাগল। ফুলদানির ফুলে গিয়ে বসল। প্লাস্টিকের কাঁটা বিঁধল। অবশেষে গিয়ে বসল খোলা খাতাটার উপরে।
...

শান্ত থেকো

বুকের ভিতর ঢেউ উঠলেও 
শান্ত থেকো
ওরা জানতে পারলে
  সাগরের নামেও করতে পারে ফতোয়া জারি
...

শ্রীরামকৃষনঃ বিতর্কিত সাক্ষাৎ প্রসঙ্গ

"সত্যতে থাকলে ঈশ্বর লাভ হয়"....
"সত্যের জন্য সবকিছুকে ত্যাগ করা চলে কিন্তু, কোনো কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা চলে না"...উক্তি দুটির প্রথমটি রামকৃষ্ণদেবের পরেরটি বিবেকানন্দের।
...

শিক্ষার অন্ধকার

আজ রামকৃষ্ণ জিতে গেলেন। বলেছিলেন না, “চালকলা বাঁধা বিদ্যা আমার চাই না”। কি স্পর্ধা না এক মূর্খ বামুনের? এতবড় এডুকেশান সিস্টেম, এত কোটি কোটি টাকা খরচ করে শিক্ষিত মানুষ তৈরির উপায়। এত গবেষণা, এত গবেষক, এত শিক্ষক, এত অধ্যাপক, এত স্কলার... সব শেখালো, শুধু অসুস্থ মাকে কি করে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, সেবা করতে হয়... না ‘সেবা’ কথাটা আবার সেকেলে, কি করে take care করতে হয় আর শেখাল না। 
...

শব্দরূপ আর ধাতুরূপ

একটা সংস্কৃত বই পড়তে গিয়ে একটা ঘটনা মনে পড়ল।
        আমাদের ক্লাস সেভেন আর এইটে সংস্কৃত ছিল। শব্দরূপ আর ধাতুরূপের চক্করে আমাদের তো একেবারে নাজেহাল অবস্থা। ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় অনেকেই বেঞ্চে বসে থাকার যোগ্যতা হারাতো। সটান বসার বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে পড়ে নরো নরৌ নরাঃ আওড়াতে হত।