Skip to main content
 
'শালীনতা' নিয়ে প্রবন্ধ লেখা হল। লেখক কলম বন্ধ করে, ইজি চেয়ারে এলিয়ে, চোখ বন্ধ করে বসলেন।
        বিকেলের পড়ন্ত রোদ এসেছে, পড়েছে তার শুভ্রশ্বেত বস্ত্রে। এমন সময় একটা প্রজাপতি কি করে ঢুকে পড়ল তার লেখার ঘরে। সে উড়ে গিয়ে বসল পাখার ব্লেডে। ধুলো লাগল। উড়ে গিয়ে বসল টিউবলাইটের উপরে। গরম লাগল। ফুলদানির ফুলে গিয়ে বসল। প্লাস্টিকের কাঁটা বিঁধল। অবশেষে গিয়ে বসল খোলা খাতাটার উপরে।
 
        লেখক চোখ খুললেন। গরম লাগছে। পাখাটা চালাতে উঠতে যাবেন, খেয়াল করলেন খাতার উপর প্রজাপতিটাকে। বসে পড়লেন। পাখা থাক। যদিও গরম লাগছে। মন দিয়ে নিরীক্ষণ করতে লাগলেন প্রজাপতিটাকে। লেখকের কপাল চুঁইয়ে ঘাম পড়ল খাতার 'শালীনতা' শব্দটার উপর। শব্দটা গেল ঘেঁটে।
        প্রজাপতিটা উড়ে গেল। লেখক একবার ভাবলেন, 'দিই জানলাগুলো বন্ধ করে, রাখি ওকে বন্দী করে'। 
        জানলার দিকে তাকাতেই চোখ পড়ল, দিনান্তের শেষ আলো কোমল অঙ্গ বাড়িয়ে তার ঘরের মেঝেতে দাঁড়িয়ে। কি অপূর্ব তার রূপ! এমন মাধুর্য সে কোথা থেকে পেল? ভাবতে ভাবতে দেখলেন প্রজাপতিটা সে আলোর রেখা ধরে দিল বাইরের বাগানে পাড়ি। 
        লেখক পাখা চালিয়ে, চোখ বন্ধ করে আবার এসে বসলেন ইজি চেয়ারে। বাগানের ফুলের গন্ধ ভরে উঠল তাকে ঘিরে। তিনি দেখছেন, তিনি আলোর রেখা ধরে ধরে এগিয়ে চলেছেন, সামনে সেই প্রজাপতিটা।