Skip to main content

ভালোবাসার গায়ে একটা রঙীন চাদর জড়ানো থাকে। সেই চাদরটা হয় ঝড়ে উড়ে যায়, নয় পোকায় কাটে, কখনও বা আগুন লাগে।
তখন ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখতে ভালোবাসার চেয়ে শক্তিশালী একটা কিছু লাগে, একটা বেপরোয়া করুণা করার ইচ্ছা। সে করুণা, যতটা না সে চাদরের জন্য, তার চেয়ে বেশি নিজের নির্বুদ্ধিতার জন্য। মিষ্টি ভ্রমে জাগার লালসা।
আমার চারদিকে এই ধরণের চোখ এখন বড্ড বেশি। কারণ এখন চাদরটা বড্ড তাড়াতাড়ি উড়ে যায়। এত ঘর বাড়ি মানুষের মাঝখানে সহজ সরল ভালোবাসার অবলম্বনহীন বাঁচতে শিখতে হয়। বুদ্ধি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ধারালো। সতর্ক হয়ে ভালোবাসতে শিখতে হচ্ছে। ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, আরো কতশত সংযোগ ব্যবস্থা। যখন তখন যে কেউ ঘরের ভিতর, প্রবেশাধিকার দিচ্ছে বৈদ্যুতিক সংযোগ। ভালোবাসার অভাব মেটাচ্ছে অন্তঃসারশূন্য শব্দ-শরীর-অর্থ ব্যবহারের কৌশল। ডিল তোমার, যদি কৌশলী হতে শেখো।
এ সবের অন্তরালে সেই প্রাচীন, আদিম, অকৃত্রিম ভালোবাসার চেহারাও উঁকি দিচ্ছে না তা নয়। তার গায়ে চাদর নেই। করুণাও নেই। কিছুই নেই। একটা শূন্যতার আনন্দমগ্নতা আছে। তাকে ছোঁয়া যায় না। তাকে বাঁধা যায় না। তার স্তব হয় না। তার শুরুর আর শেষের কথাটা হল - শূন্যতা। আনন্দমগ্ন শূন্যতা। যদি দরজায় টোকা দেয়, তবে সাবধানে থেকো, সে নিঃস্বতায় পূর্ণ করে। সে ভালোবাসার পাত্রের পরোয়া করে না, সে বাঁচে ভালোবাসার গর্ভদাত্রী হৃদয়ে। শূন্যতা প্রসব করবে আনন্দে। শূন্য হওয়ার পূর্ণ আনন্দকেই বলে আদিম ভালোবাসা।