Skip to main content

শোক হঠাৎ এসে দাঁড়ালো। অপ্রস্তুত আমি। ব্যস্ত ছিলাম অন্যকাজে।

সে থেকে গেল। আমিও যেতে বললাম না। সারাদিন এটাসেটা কাজ করি, সে আমার সঙ্গে সঙ্গে ঘোরে। কোনো কথা বলে না। আমিও বলি না।

   যদিও মাঝে মাঝে হঠাৎ ওর কি হয়, সমস্ত শরীরটা কালো মেঘের মত ফুলিয়ে, কালবৈশাখির মত চঞ্চল হয়ে ওঠ। ঘরের সব কিছু হয় লণ্ডভণ্ড। আমি কিছু বলি না। চাইলেও বলতে পারি না। ওর কোথাও আমার উপর একটা অধিকার আছে। মানুষ যেমন নাভিতে মায়ের সঙ্গে যোগসূত্রকে মনে করে রাখে। শোকও তাই। এপার ওপারের মধ্যে ভালোবাসার নাভি। যোগসূত্র। ভালোবাসা না থাকলে শোক জন্মায় কি করে?

  আবার সে শান্ত হয়। আমি কুয়োর জলের বালতি নামাই। জল তুলি, সব পরিষ্কার করি। শোক বলে, তুমি আমায় ভয় পাও না?

  আমি বলি, না। তুমি যার না থাকার দিকটাই দেখো, দেখাতে চাও, আমি তার জন্যে আমার মধ্যে একটা থাকার ঘর বানিয়েছি। সেখানে তুমি আসতে পারো না। তাই তোমায় আর ভয় পাই না।

শোক বলল, তবে আমায় চলে যেতে বলো না কেন? আমায় তাড়িয়ে দাও না কেন?

   আমি বললাম, তবে এতদিন যে সে বাইরে ছিল, সবার মধ্যে, সবাইকে নিয়ে, সে থাকাটাকে অপমান করা হয়।