Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

শপিংমল আর ঘুণপোকা

একটা সহস্রতলা শপিংমল তৈরি করা হচ্ছিল। সবার কাজ ভাগ করে করে দেওয়া হচ্ছিল। অনেকে থাকবে বাইরে, তারা বাইরে থেকে শপিংমলের যোগানদার হবে। তাদের শপিংমলের উঁচু থেকে খাবার ছুঁড়ে দেওয়া হবে। আর বাদবাকিরা থাকবে ভিতরে। এক একজন এক এক তলায়। সামর্থ্য অনুযায়ী। সবাইকে একটাই জিনিস দিতে হবে, জীবন। আর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে বাদবাকি যা

শব্দ সুখ

শব্দ দিয়ে সত্যি কথাও বলা যায়, শব্দ দিয়ে মিথ্যা কথাও বলা যায়।

শব্দ সে কথা বুঝতে পারে। তাই কখনও কখনও একটা শব্দ তার পাশে বসা শব্দকে দেখে লজ্জায় দূরত্ব তৈরি করে। তার পাশে তার বসার কথা ছিল না তো! সে লজ্জা পাবে না! সেই অস্বস্তিকর দূরত্বকে অনুভব করতে পারে মন।

শুনতে পাচ্ছ?

আড়াইটে বাজতে তিন মিনিট বাকি। এত রাতে টয়লেটে যেতে বিরক্তই লাগে। কিন্তু উপায় কি?

উঠল, টয়লেটের দরজায় ঠেলা দিল। দরজা বন্ধ। ভিতর থেকে।

শৈশব সুরক্ষিত হোক

আজ অনেকক্ষণ আমরা মাঠে কাটালাম। সে গরু দেখে "হাম্বা" বলে ধরতে যায়। সে মাঠের উপর হাঁটতে হাঁটতে খড়ের টুকরো
মুখে পুরতে চায়। সে আকাশে ওড়া প্লেন দেখে 'ট্রেন' বলে ধরতে যায়। চলতে চলতে আমাদের গল্প হয়।
যদিও আমাদের ভাষায় স্বরবর্ণেরই আধিক্যই বেশি। হাসিতে, চুমুতে, আদরেই আমাদের কাজ চলে যায়। ...

শুনলাম

শুনলাম প্রাণায়ামে কোভিড সারে কিনা এই নিয়ে গবেষণা শুরু হল। 

    সেই থেকে আতঙ্কে খবরের কাগজ, ব্রেকিং নিউজে চোখ রাখছি প্রাণ হাতে করে। হঠাৎ না ঘোষণা হয়, আগে গাভীদের (বাছুরসমেত) ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে, তারপর আবার মানুষদের। বলা যায় না!

শলাপরামর্শকারী

তো কথা হল এই যে সব আমি এটাসেটা নিয়ে লিখি, লোকে ভাবে আমি বইটই পড়ে লিখি। আদৌ কথাটা সত্যি যে না, সেটা প্রমাণ করতেই তো ছবিটা দেওয়া। সব লেখা নিয়ে এনার সঙ্গে আলোচনা করে, মতামত নিয়ে, শলাপরামর্শ করে তারপর লিখি।

শিল্পীর নান্দনিকতা

ছোটোবেলায় ঠাকুমার সঙ্গে ভাগবতপাঠ শুনতে যেতাম। তো সেখানে একটা গপ্পো আমার খুব মনে ধরেছিল। কৃষ্ণ নাকি কখনও কারো দোষবর্ণন করতেন না। 

শান্তি আরেক অধ্যবসায়

হিংসা তোমায় পুড়িয়ে যাচ্ছে অহরহ 
ঘৃণা তোমায় শান্তি দিচ্ছে না একদণ্ড
ঈর্ষাকে কোলেপিঠে করে মানুষ করে
      তলিয়ে যাচ্ছ তারই চাপে
                অন্ধকারে 
...

শিকার

সে বাগানের গেটেই অপেক্ষা করছিল। তার জন্য। শুধু তার জন্য। 

     অটো থেকে নামার সময় তার বুকটা ধক করে উঠল। কেউ এভাবে অপেক্ষা করেনি তার জন্য। সে যে ফুল ভালোবাসে, এ কথাই বা ক'টা মানুষ জানে? কেউ ডাকেনি বাগান দেখতে কোনোদিন। সে নিজে থেকে গেছে। অযাচিতের মত। অনাকাঙ্ক্ষিতের মত। আজ কেউ তাকে ডেকেছে। 

শূন্য মন্দির মোর

"এ ভরা বাদর, মাহ ভাদর, শূন্য মন্দির মোর", বিদ্যাপতি লিখলেন। সুর তিনি কি করেছিলেন জানা নেই। রবীন্দ্রনাথ যে সুরটা করলেন, সেটা জানি। 

     বিদ্যাপতির লেখায় বিরহের সুর। শেষে প্রশ্ন, কি করে হরি বিনা দিন রাত কাটাবি? “বিদ্যাপতি কহ কৈছে গোঙায়বি হরি বিনে দিন রাতিয়া”। 

শিউলিফুল

কলিংবেল বাজল। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে যিনি তিনি চেনা মানুষ। অনেক বয়েস। গৃহবন্দী হয়ে থাকেন প্রায়। আরো ভালো করে বললে বিছানাবন্দী।

শিশির আর শূন্যতা

সব জানলাগুলো বন্ধ। বুকে জমা কফের আওয়াজ ঘড়ঘড় করে যাচ্ছে। আগের থেকে ভালো।

শান্তিসৌধ

সংসারে শান্তি রাখতে চেয়েছিল মানুষটা। আজীবন।

শুধু তাকেই

পটলার যখন বিয়ে হচ্ছিল, তখন পাড়ার সবাই বলেছিল, এমন মা না হলে ছেলেটা যে কোথায় ভেসে যেত। এমনকি পটলার যখন ডিভোর্স হচ্ছিল তখনও পাড়ার সবাই বলেছিল, এমন মা না হলে ছে

শিমুল আর হলুদ ফ্রক

সূর্য তো ওঠে ডোবার জন্যেই। এই যে শিমুলফুলগুলো মাটিতে পড়ে, ধুলোয় মাখামাখি, ফুটেছেই তো ওইজন্যে। মানুষ জন্মায়ও তো…..

শক অ্যাবজর্বার

আশ্রমে ঢুকতেই দেখি গোঁসাই টোটোতে উঠছে, আমায় দেখেই বলল, যা রে তোর বিয়েবাড়ির বাস আর ছেড়ে যাবে না…

শামুক

খাবারের অর্ডার দিয়ে বসেই আছি। আসবে, জানি।

শান্তি ও সান্ত্বনা

সান্ত্বনা নেই। শান্তি আছে। যদি সান্ত্বনা চাই, তবে অনেক ব্যাখ্যা, অ

শিকড়

আসলে বলতে চাই, আমি ভুলিনি। হাতের আঁজলায় তিল, কুশ, গঙ্গাজল, মন্ত্র দিয়ে বলতে চাই, এখনও তোমার জন্যে আমার কিছু করার আছে। এখনও। তুমি আগুন পেরিয়ে গেলেও।

শিকড়ের মত

প্রতিটা অসহায় নিরীহ প্রাণের মৃত্যু অবাঞ্ছিত

শুকনো লঙ্কা

“রান্নাঘরে ঢোক। ঢুকে ডালের কৌটোর পিছনে দেখ শুকনো লঙ্কার কৌটো রাখা। ওই কৌটোটা পাড়। দেখিস পড়িস না যেন। ওর মধ্যে হাত ঢোকা। চারটে পাঁচশো টাকার নোট পাবি, নিয়ে আয়।

শান্তি

মানুষের নিজেকে দুঃখ-শোক থেকে বাঁচানোর ক্ষমতা আছে। কিন্তু দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচার ক্ষমতা নেই। দুশ্চিন্তার সাগরে উদ্বেগের ঢেউ। সে সামাল দিতে দিতে আত্মশক্তির অনর

শশী নিভার সংসার

নিভাননী ও শশীবালা পাশাপাশি বসিয়া আছে। নিভার বয়েস হইয়াছে পঁচাশি। শশীর পঁচাত্তর। নিভার স্বামী রাজনৈতিক আন্দোলনে মারা যায়

শশী নিভার সংসার

নিভাননী ও শশীবালা পাশাপাশি বসিয়া আছে। নিভার বয়েস হইয়াছে পঁচাশি। শশীর পঁচাত্তর। নিভার স্বামী রাজনৈতিক আন্দোলনে মারা যায়, বহু বছর আগে। শশীর স্বামী নিরুদ্দেশ, স

শুন কন্যা

সরস্বতী বড় ভালো মেয়ে। বাবা কাজ থেকে ফিরে এলে বাবাকে জল এগিয়ে দেয়। মাকে রান্নায় সাহায্য করে। কুটনো কুটে দেয়। জল তুলে দেয়। বাসন মেজে দেয়। সরস্বতী স্ক

শ্রাবণ আর স্বামীনী

সুরদাস যখন যমুনার তীরে এসে দাঁড়ালেন তখন কালো করে এসেছে আকাশ। গতকাল সারারাত ঘুম হল না। বুকের মধ্যে এমন একটা কষ্ট জমাট বেঁধে থম ধরে ছিল, বুঝেছিলেন আজ বৃষ্টি হব